নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা ২৯ জুন : এবার রোজার ঈদে সড়ক-মহাসড়কে ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৩৩৯ জন নিহত এবং এক হাজার ২৬৫ জন আহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ঈদের আগে সব তদারকি সংস্থার সক্রিয় অবস্থানের কারণে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হলেও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে তদারকি না থাকায় সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে দূরপাল্লায় চালকদের যাতে একটানা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে না হয় সেজন্য বিকল্প চালক রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া সড়কের পাশে বিশ্রামাগার তৈরি, সিগন্যাল মেনে চলা, অনিয়মতান্ত্রিক রাস্তা পারাপার বন্ধ, সিট বেল্ট বাঁধা এবং চালক ও তার সহকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
মোজাম্মেল বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তা আমলে নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে সড়কে মৃত্যুর যে গণমিছিল চলছে তা থামানো সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।”
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদযাত্রা শুরুর দিন, অর্থাৎ গত ১১ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার সময় গত ২৩ জুন পর্যন্ত ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৯ জন নিহত এক হাজার ২৬৫ জন আহত হন। একই সময়ে নৌপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, ৫৫ জন নিখোঁজ ও ৯ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া রেল পথে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩৫ জন, ট্রেনের ধাক্কায় চার জন এবং ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে দুই জনসহ ৪১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানান মোজাম্মেল।
তিনি বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল ‘বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য’ জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
রোজার ঈদে ২৭৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩৯ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
