নোয়াখালী প্রতিনিধি: শুশ্বর বাড়িতে জামাই গিয়ে হলো ইয়াবা ব্যবসায়ী, জামাই ষড়যন্ত্রের স্বীকার, মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসারত। ঘটনাটি ঘটে সুবর্নচর উপজেলার চরজুবলি গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের মেয়ে বিবি মরিয়মের জামাতা আনোয়ার হোসেন লিটন। তার বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের দিলীলপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে আনোয়ার হোসেন লিটন (৩০)। গাড়ির ড্রাইভারের কাজ করে বিআরটিএ নোয়াখালী লাইন্স নং- এনএম০০০৪৬২৭১এল ০০০০৩।
স্থাণীয় সুত্রে জানা যায়, সে গাড়ী চালক হিসেবে নিয়মিত কাজ করে। অভাবের সংসার পিতা নাই। মা দুই বোন স্ত্রী ও ৭ বছরের একটি মেয়ে আছে। এ সংসার তার নির্ভর বলে রাজগঞ্জের মজিবল হক ,আবদুল হক, জামাল উদ্দিন,আবুল খায়ের ,জসিম, নুর উদ্দিনসহ স্থানীয় বহু লোক জানিয়েছে। তারা বলে অত্র এলাকায় আনোয়ার হোসেন এর লিটনের খারাপ কাজের কোন খবর জানা নাই। সবাই মাদকের বিরুদ্ধে, মাদক ব্যবহারকারীসহ বিচারের দাবী এলাকাবাসীর। এ প্রতিনিধি জব্বর আটকপালিয়া বাজারে আশ পাশে বহু লোকজনের সাথে জানতে চাইলে লোকজন বলে গত রবিবার ৩ জুালাই দিবাগত রাত ২টার সময় সুবর্নচর উপজেলার আটকপালিয়া বাজারে জামাই নামে পরিচিত। অভিযোগে আরো জানা যায়, লিটনের কাছে ৬০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। এর পর স্থানীয় লোকজন তাকে নির্মমভাবে মারধর করে চরজব্বর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় আনার পর পুলিশ হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে দুতলায় হাজতে নিয়ে যাওয়ার সময় সে দৌড়ে তিন তলায় উঠে নিচে লাফ দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে মর্মে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানায়, স্থানীয় ফারুক চটপটি, মিয়া কয়েকজনের সাথে লিটনের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শুশ্বর বাড়িতে গিয়ে মেয়ে ও স্ত্রীর সাথে ছিলো। রাত ২টার দিকে তাকে জোর করে নিয়ে আসে। স্থানীয় শুক্ররা জোর করে ধরে নিয়ে আসে এবং এঘটনা ঘটায়। স্থানীয় অধিবাসীদের মতামত তদন্ত ক্রমে এর সঠিক তথ্য উৎঘটান করে মূল মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী করে।
শুশ্বর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জামাই হলো ইয়াবা ব্যবসায়ী
