Sunday, October 1, 2023
Home > আন্তর্জাতিক > সীমান্ত বেড়া নির্মাণে ঢাকাকে নতুন প্রস্তাব দেবে দিল্লি

সীমান্ত বেড়া নির্মাণে ঢাকাকে নতুন প্রস্তাব দেবে দিল্লি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা, ১১ জুলাই : সীমান্ত সুরক্ষা করতে ঢাকাকে নতুন একটি প্রস্তাব দেবে দিল্লি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আসন্ন ঢাকা সফরে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হতে পারে। এখনও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অনেক এলাকায় বেড়া নির্মাণ করা হয় নি। ওইসব এলাকায় এক লাইনের উঁচু বেড়া (হাই ফেন্সেস) নির্মাণের প্রস্তাব দেবে ভারত। এ বেড়ার বৈশিষ্ট্য হবে তা কাটা যাবে না (এন্টি-কাট) ও তা বেয়ে উঠা যাবে না (এন্টি-ক্লাইম্ব প্রপার্টি)। ভারতের অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমস এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ বিষয়টিতে জানেন এমন ব্যক্তিরা বলেছেন, প্রায় ৩০০ গ্রামে এমন সীমান্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে এই জাতীয় বেড়া নির্মাণ করার পকিল্পনা নেয়া হচ্ছে। এ গ্রামগুলো জিরো লাইন ও আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবস্থিত।
এ নিয়ে রিপোর্ট লিখেছেন সাংবাদিক মধুপূর্ণা দাস। তিনি আরো লিখেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের পুরোটাই যথাযথভাবে বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার, এই প্রস্তাব তারই অংশ। আগামী ১৩ই জুলাই দু’দিনের জন্য ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এ সময়ে তিনি বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন।
উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ৪০৯৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত। এর মধ্যে বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে ৩০২৬ কিলোমিটারে। ফলে অনেক অংশে এখনও বেড়া নির্মাণ করা হয় নি। এর মধ্যে রয়েছে নদী এলাকা অথবা এমন গ্রাম রয়েছে যেখানে সরকারের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা খুব কঠিন। এসব এলাকাকে নিরাপদ করতে তিন লাইন বেড়ার পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকার এক লাইনের বেড়া নির্মাণ করতে চায়। তবে তিন লাইনের বেড়া নির্মাণ করা হতে পারে সীমান্ত থেকে ১৫০ গজ পিছনে, ভারতের ভিতরে। এমন বেড়া নির্মাণ করতে অধিক জমি প্রয়োজন। বাংলাদেশ যদি সম্মতি দেয় তাহলে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫০ গজ ভিতরে একক বেড়া বা এক লাইনের বেড়া নির্মাণ করতে চায় ভারত। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না।

Like & Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *