নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও সাফল্যের ৫৭তম বছর পূর্তি ও অ্যালামনাই পুনর্মিলনী আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে পুরো মাঠ সাজানো হয়েছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার মধ্যরাতে আকস্মিক অগ্নিকা-ে অনুষ্ঠানস্থলের সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অনুষ্ঠানস্থল পুড়ে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিক উপাচার্যের বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। বেলা দুইটার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আকবর।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সমাবর্তন মাঠে পাঁচ হাজার লোকের আসনবিশিষ্ট একটি প্যান্ডেল এবং মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। গতকাল রাত ১২টার দিকে প্যান্ডেলের ওপরে একজন হঠাৎ আগুনের ফুলকি দেখতে পান। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের মোট সাতটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে প্যান্ডেলের চেয়ার, ফ্যান, সাউন্ড সিস্টেম, এলইডি স্ক্রিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পুড়ে গেছে।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সহিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হই। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
উপাচার্য আলী আকবর বলেন, অনুষ্ঠানের জন্য অনেক অ্যালামনাই ও অতিথি বাইরে থেকে এসেছেন। দুর্ঘটনার কারণে বিকল্প হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ৫৭ বছর পূর্তি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি সেখানে উপস্থিত থাকবেন। তবে মিলনায়তনে দুই হাজার লোকের আসন রয়েছে। সেখানে আসন সংকুলান না হওয়ায় মিলনায়তনের পার্শ্ববর্তী হেলিপ্যাডে যেখানে কৃষি প্রযুক্তি মেলা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে অন্যদের বসার ব্যবস্থা করা হবে। বড় পর্দায় মূল অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা থাকবে।
৫৭ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুড়ে গেছে অনুষ্ঠানস্থল
