Tuesday, September 26, 2023
Home > জাতীয় সংবাদ > সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার : অর্থমন্ত্রী

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা : সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এ সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনের আগে কার্যকর হচ্ছে না। সঞ্চয়পত্রের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কমিটি তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার পর সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কতটুকু কমানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘জাতীয় সঞ্চয়পত্রসমূহের বিক্রয় পরিস্থিতি ও মুনাফা’ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘জাতীয় সঞ্চয়পত্রসমূহের বিক্রয় পরিস্থিতি ও মুনাফা’সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থসচিব, মহাপরিচালক জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এবং এনবিআর এর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিপুলসংখ্যক জনগণ তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থ জীবনের নিরাপত্তার তাগিদে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য সঞ্চয়পত্র একটি অন্যতম মাধ্যম। শুধু বিনিয়োগ নয় এটি সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির অন্যতম একটি উপাদান। এখানে খুব সাবধানে হাত দিতে হবে। সেজন্য পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করতে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। অর্থবিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ যৌথভাবে পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে দুই মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবে। তার ওপর নির্ভর করছে কীভাবে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার যৌক্তিকীকরণ করা যায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ৯ আগস্ট থেকে ব্যাংক আমানতে ৬ শতাংশ ও ঋণে ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকর হচ্ছে। তাই ব্যাংক আমানতে সুদহার থেকে সঞ্চয়পত্রে সুদহার পার্থক্য অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সুদহার কমাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহারের ক্ষেত্রে আমরা বাজার রেট থেকে এক বা দেড় শতাংশ বেশি রাখতে চেষ্টা করি। কিন্তু এখন এটা অনেক বেশি হয়ে গেছে। এটা কমাতে হবে। আমরা একটি রূপরেখা তৈরি করে যাচ্ছি। পরবর্তী সরকার সঞ্চয়পত্র কমানোর বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে। আশা করছি, আমরা আবারও সরকারে আসবো। আমরাই এটি বাস্তবায়ন করবো।
অনেকেই অবৈধ অর্থ এ খাতে বিনিয়োগ করছে সেগুলো বন্ধের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না-জানতে চাইলে মুহিত বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকেই সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের সব কার্যক্রম অটোমেশন হয়ে যাবে। এ অটোমেশনে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সঙ্গে লিংক থাকবে। তাই কেউ সীমার অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র কিনছে কি-না সেটি সহজেই ধরা পড়বে। সঞ্চয়পত্রে কালো টাকা বিনিয়োগ রোধে আগামীতে ৫০ হাজার টাকার বেশি কেউ সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে তাকে চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১১ ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এর মধ্যে জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্রগুলোর মধ্যে বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তিন বছর মেয়াদি মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ প্রচলন রয়েছে।

Like & Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *