নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য তিন বছরের দ- পাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার এ আদেশ দেন। এর আগে পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী ইমদাদুল হানিফ, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, তাকে যে মামলায় দ- দেওয়া হয়েছে তিনি সেই অপরাধ করেন নাই। সাজা পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তিনি একজন আইনজীবী, প্রাক্তন এমপি এবং সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন।
তারা বলেন, এ আসামি উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করতে ইচ্ছুক। আপিলের শর্তে জামিন লাভ করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপিল দায়ের করবেন। আপিলের শর্ত ভঙ্গ করবেন না। আপিলের শর্তে তার জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন আইনজীবীরা। একই সঙ্গে তারা তার চিকিৎসা এবং ডিভিশনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। আর কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসা ও ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দেন কারা কর্তৃপক্ষকে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার কিছু পরে রফিকুল ইসলাম মিয়াকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তবে শুনানিকালে রফিকুল ইসলাম মিয়াকে আদালতে তোলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে উত্তরা থানায় দায়ের করা সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের কারাদ-ের আদেশ দেন ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদ- দেন আদালত।
১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা এ আসামি অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা জারি করেন। রায় ঘোষণার পরই পরোয়ানা উত্তরা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে দেখা যায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল সম্পদের হিসাব দাখিল করতে নোটিশ জারি করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। কিন্তু তিনি হিসাব দাখিল না করায় ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি দুদক কর্মকর্তা সৈয়দ লিয়াকত হোসেন উত্তরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। একই বছরের ৩০ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। পরে বিভিন্ন সময়ে ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
কারাগারে ব্যারিস্টার রফিকুল
