এপিপি বাংলা : সরাইলে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর সরাইল থানা পুলিশ রঁশি দিয়ে বেঁধে ছবি প্রকাশ করেন।সেই ছবি নিয়ে নিন্দার আর প্রতিবাদে উত্তাল সামাজিক মাধ্যম।দায়িত্বশীলদের ফেজবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে রাজপথে নামার ঘোষনাও দেখা যাচ্ছে। এমনি কয়েকটি স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হল।সরাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ (সরাইল -আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকা থেকে আওয়ামীলীগে মনোনয়ন প্রত্যাশী, সিনিয়র আইনজীবী এডঃ আশরাফ উদ্দিন মন্তু নিজের ফেজবুক আইডিতে গতকাল একটি স্ট্যাটাস দেন তা নিছে তুলে ধরা হল,
“কত চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ীরা ওয়ারেন্ট নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও সরাইল সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে সামান্য বিদুৎ বিলের মামলায় গ্রেফতারের পর এমন অপমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মেনে নিবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই”।
তার এই স্ট্যাটাস এ কমেন্স করেন সরাইলের সন্তান,মালয়েশিয়া জাতিয় শ্রমিকলীগের সভাপতি ও মালয়েশিয়াস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি মোঃ নাজমুল ইসলাম বাবুল নিম্মে তার কমেন্সটি হুবহু তুলে ধরা হল,
“ভাই কি বলব বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে চলে আসি এবং সবাইকে নিয়ে থানা ঘেরাও করি। কেন? আজ সরাইলের এই অবস্থা একজন মুজিব প্রেমিককে এইভাবে অপমান হতে হবে। তোমরা যারা বর্তমানে নেতৃত্ব দিচ্ছ দয়া করে সবাইকে নিয়ে মাঠে নাম এবং তার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদের জর তুলে থানা ঘেরাও করতে হবে। পুলিশ এত বড় সাহস কোথায় থেকে ফেল তার সঠিক তদন্ত করতে হবে অবশ্যই তার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে” ।
সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শের আলমও একটি প্রতিবাদী একটি স্ট্যাটাস দেন তা নিম্মে তুলে ধরা হল,
“সেলু আপাদমস্তক ছাত্রলীগ। জীবন যৌবন যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্য উৎসর্গ করেছে। মামলা থাকতেই পারে। সে কিন্তু চোর ডাকাত বা মাদক ব্যাবসয়ী নয়। গ্রেফতার হতেই পারে তাই বলে……..।
এই অবস্থাটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের। জয় বাংলা স্লোগান যার আজন্ম ধ্যান আজ তার এই উপহার। ক্ষমা করিস আমাদের।
অভিনন্দন সরাইল থানা পুলিশ!!!
কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ফারুক ব্যাপারী স্ট্যাটাসটি ছিল এমন
“আমি ছাত্রলীগের একজন সাবেক কর্মী হিসেবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অপরাধী হলে শাস্তি সে পাবেই কিন্তু এভাবে দড়ি দিয়ে বেধে আবার ছবি তুলে ফেইসবুকে কারা ভাইরাল করল।
কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা রিদওয়ান আনছারী রিমোর স্ট্যাটাসটিতে তিনি লেখেন “গ্রুপিং এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি যে কতটা মারাত্মক তার জলজ্যান্ত প্রমাণ এই ছবিটা। যে মানুষটা দিনের পর দিন সরাইলের বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য তাকে কিনা সাধারণ একটা বিদ্যুৎ বিলের মামলায় এভাবে দড়ি দিয়ে বেধে থানায় ফটোসেশান করানো হল। সরাইল উপজেলায় ফটোসেশান করার জন্য চিহ্নিত অপরাধীর এতই অভাব ছিল? সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের_সদ্য সাবেক আহবায়ক @Salo Sanaullah এর প্রতি এমন প্রতিহিংসামূলক আচরণের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি”।
এছারাও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ সহ অনেকের ফেজবুক ওয়ালে এখন এমন স্ট্যাটাসের হিরিক পরেছে। যেমন “ছবিটা দেখেই হৃদয়ে কম্পন শুরু হয় গেল।
আজ শামীম ওসমান ভাইয়ের কথা বেশি বেশি মনে পড়ছে এগুলা কিসের আলামত। ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করে যতক্ষণ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদেরকে থামানো না যায় ততক্ষণ বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে রুখতে পারবে না।আমি ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ সেলু ভাইয়ের এই করুন দৃশ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।আর আমি একটা জিনিস লক্ষ করেছি সরাইল থানায় যতগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছে এর অধিকাংশ বি এন পি এবং জামাত শিবিরের মতাদর্শ। তা না হলে সেলুর মত একজন ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণকে এই করুনভাবে গ্রেফতার করতে পারত না”।শত শত কমেন্স এ প্রতিবাদ আর প্রতিবাদ।কেউ কেউ নেতাদের রাজপথে আন্দোলনের ডাক দিতে অনুরুধ জানিয়ে স্ট্যাটাস ও কমেন্স করতেও দেখা গেছে।
এব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন আসলে ছবিটি কিভাবে কে তুলে ছড়িয়ে দিয়েছে তা আমার জানা নেই।আমি সেই সময় থানায় ছিলাম না। আমি এই ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামীলীগে নেতাদের সাথে কথা বলতেছি।সে বিদ্যুৎ সহ পুলিশকে মারধর করার একাধিক মামলার আসামী “।