সোমবার দুবাইতে অনুষ্ঠিত আইসিসির বোর্ডসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।সোমবারের বোর্ড সভায় আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর, প্রধান নির্বাহী মানু সাহনির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান তাভেঙ্গোয়া মুকুলানি, দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী ক্রিস্টি কভেন্ট্রি এবং স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশনের চেয়ারম্যান জেরাল্ড এমলোতশোয়া।
স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ায় আগামী জানুয়ারিতে হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং পরবর্তীতে আইসিসি সুপার লিগে অংশগ্রহণে আর কোন বাধা থাকছে না আফ্রিকার দেশটির। জিম্বাবুয়ের পাশাপাশি শর্তসাপেক্ষে নিজেদের সদস্যপদ ফিরে পেয়েছে নেপালও।
ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনায় ব্যাপক অনিয়ম, পক্ষপাত আর ও সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগে স্থগিতাদেশের ফলে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে আইসিসির সব ধরনের অনুদান বন্ধ ছিল। জিম্বাবুয়ের কোনো দলের আইসিসি ইভেন্টে অংশ নেয়ার ব্যাপারেও ছিল নিষেধাজ্ঞা।
বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলেন, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী নিজের প্রতিশ্রুতি রাখায় তাকে ধন্যবাদ জানাই। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের জন্য কাজ করার ব্যাপারে তার সদিচ্ছা স্পষ্ট ছিল। আইসিসি বোর্ড যে শর্তগুলো দিয়েছিল, তিনি সেগুলো শর্তহীনভাবে পূরণ করেছেন।
জিম্বাবুয়ের পাশাপাশি এই সভায় নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছে নেপালও। তাদের নিষেধাজ্ঞা ছিল আরও লম্বা সময়ের। বোর্ড পরিচালনায় সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারায় ২০১৬ সালে তাদের বহিস্কার করেছিল আইসিসি। এই মাসের শুরুতে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ নেপালের নির্বাচনের পরই আইসিসি সদস্যপদ ফিরে পাবার দ্বার উন্মুক্ত হয় নেপালের সামনে।