এপিপি বাংলা : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, এবার শুধু শাসক বদল নয়-শাসন ব্যবস্থারও বদল করতে হবে। বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থায় যেই ক্ষমতায় যায় সেই স্বৈরাচারী হয়ে উঠে। সংবিধান বলবৎ থাকা অবস্থায় এক দলীয় শাসন প্রবর্তন করা যায়, সামরিক শাসন জারি করা যায়, রাতে ভোট ডাকাতিও করা যায়। সংবিধান অহরহ লঙ্গন করেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অবস্থান করা যায়। সংবিধান কোন অগনতান্ত্রিক শক্তিকে প্রতিরোধ করতে পারে না। ’৭২ এর সংবিধান এতো কাঁটাছেড়া হয়েছে যার মাধ্যমে এখন আর কোন রাজনৈতিক নির্দেশনা নেই। সুতরাং শাসক বদলের সাথে সংবিধান বদলের রাজনীতিকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। দলতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে শ্রমজীবি, কর্মজীবি, পেশাজীবিদের অংশিদারিত্বভিত্তিক নতুন রাজনৈতিক মডেল প্রবর্তন করতে হবে। অংশিদারিত্বভিত্তিক রাজনৈতিক মডেলের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে জেএসডি’র ১০ দফা ও সিরাজুল আলম খান এর ১৪ দফায়। বুধবার সকাল ১০ টায় নোয়াখালী বি আর ডি বি মিলনায়তনে জেলা জেএসডি’র ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল এর উন্মুক্ত অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যদানকালে জনাব রব এ সকল কথা বলেন।
জনাব রব বলেন, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে, এই জাতীয় ঐক্য স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করবে এবং শাসন ব্যবস্থার বদল করতে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে। ওই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেএসডি সহ-সভাপতি মিসেস তানিয়া রব। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের নোয়াখালী জেলা আহবায়ক এ্যাড. আবুল কাশেম।
নোয়াখালী জেলা জেএসডি’র সভাপতি জনাব এম এ জলিল চেয়ারম্যান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যা.ড কাউছার নিয়াজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডি নেতা এস এম রানা চৌধুরী, আনোয়ারুল কবির মানিক, আবুল কাশেম পাটোয়ারী, নুর রহমান চেয়ারম্যান, আমির হোসেন বি এস সি, যুবপরিষদ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম মিঠু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তৌফিক উজ জামান পীরাচা প্রমুখ।
কাউন্সিলে এ্যাড. কাউছার নিয়াজীকে সভাপতি ও আমির হোসেন বি এস সি কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নোয়াখালী জেলা কমিটি গঠন করা হয়।