Tuesday, December 5, 2023
Home > জাতীয় সংবাদ > বগুড়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলায় ঘটনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন

বগুড়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলায় ঘটনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন

 

জাহাঙ্গীর হোসেনঃ বগুড়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে সাংবাদিকরা। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট ফোরাম (বোজাফ) এর আয়োজনে মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন বোজাফ এর সহ সভাপতি সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বোজাফ এর মহাসচিব রেজাউল ইসলাম রাজু, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও অনলাইন প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, অনলাইন প্রেস ইউনিটির চেয়ারম্যান এরশাদুল হক দুলাল, সাপ্তাহিক এর সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট কাজী তাইফুর, সাপ্তাহিক ক্রাইম পেট্রল এর বিশেষ প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান বিভিন্নসাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনেে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে বলেন- পল্লীবিদ্যুতের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে করা রিপোর্টের ২য় পর্বের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গত ২ ডিসেম্বর দুপুরে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ‘মোহনা টিভি’র সাংবাদিক আতিক রহমান, সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন রবিউল ইসলাম ও সিএনআই’এর বগুড়া জেলা প্রতিনিধির উপর বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মোকাম তলা জোনাল অফিসের ডিজিএম, এজিএম ও তাদের ইশারায় উচ্ছৃঙ্খল লোকজন সাংবাদিকদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় এবং এসময় তারা সাংবাদিকদের হাতে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচূড় করে।
তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন- তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি সাংবাদিকদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরাও থেমে থাকব না। আমাদের কলম তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরো তীব্র গতিতে চলবে।
এসময় তারা পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরেন এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের যথাযোগ্য শাস্তি দাবি করেন।

পল্লী বিদ্যুতের দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য :
বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি -১ এর বর্তমান জিএম প্রকৌশলী আবদুল মতিন পাবনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি -১ এর দায়িত্বে থাকাকালীন অনেক অনিয়ম করেছেন।
(১) ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে পার্শ সংযোগ দেওয়ায় বড় অঙ্কের জরিমানা করতো গ্রাহকদের, পরে এলাকা পরিচালকের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে তার সমাধান দিতো।
(২) পাবনা পবিস -১ আওতায় একটি ৬৬ কেভি লাইনের প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার তার চুরি হয় কিন্তু এই চুরির বিষয়ে সে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহন করেননি।
(৩) পাবনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি -২ এর সন্নিকটে নিজের অর্থায়নে বিপুল পরিমাণ জমি করেছে, সেই জমির দলিলে চতুরতার সাথে ভাইয়ের নাম ব্যবহার করেছে।
সম্প্রতি বিইআরসিতে বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে ৭১ টিভির একজন রিপোর্টার চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিনকে জিজ্ঞেস করে- আপনার প্রতিষ্ঠানের মৃত কর্মীদের বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন? উত্তরে তিনি বলেছেন- সকলের পরিবারের একজনকে তিনি চাকরি দিয়েছেন। যা পুরোপুরি মিথ্যে। একই দিনে পল্লীবিদ্যুৎ সদর দপ্তরে এক মৃত লাইনম্যান এর স্ত্রী চাকরীর জন্য এসেছিলেন। তাকে ভুলভাল বুঝিয়ে বিদায় করে দেয়া হয়েছে। সেই মৃত লাইনম্যানের স্ত্রী সেলিনা আক্তার এখন ঢাকাতেই অবস্তান করছেন। তার নাম্বার- ০১৩০১১৫১৫৬৮। তার স্বামী গত ৮ বছর হল মারা গেছেন, অথচ এত বছরেও তার পরিবারের কাউকে কোনা চাকরি দেয়া হয়নি। এমন উদাহরণ আরো অনেক আছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহের নামে প্রতারণা, আরইবির সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে ২-৩ ঘণ্টা লোডশেডিং, লাইন ট্রিপতো লেগেই আছে, বিপর্যয়ের মুখে পুরো শিল্প খাত, শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও ভুল তথ্য দিচ্ছে সংস্থাটি (যুগান্তর রিপোর্ট১৮ নভেম্বর ২০১৯)
#ঢাকা পবিস-৪ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মাহবুবুর রহমান গত প্রায় ৬ ছয় বছর যাবৎ মুন্সীগঞ্জ পবিসের দায়িত্বে ছিল। কর্মরত থাকা অবস্থায় সেখানে ব্যাপক দূর্নীতি করেছে। আর এই দুর্নীতিতে সহযোগিতা পেয়েছে বি.আর.ই.বি এর দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাগণের নিকট থেকে। তিনি মুন্সীগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপকেন্দ্র নির্মান, নতুন লাইন তৈরী, উপকেন্দ্রের জমি ক্রয়, লাইন নির্মাণের মালামাল ক্রয়, ট্রান্সফারমার, মিটার, তার, মিটারবোর্ড, গ্রউন্ডিং রড, এ.সি.আর. ও.সি.আর পাওয়ার ট্রান্সফরমার সহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল ক্রয়ের মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। তিনি ঢাকার পান্থপথ এলাকার লাল বাড়ীতে ২০/১ ৫ম তলায় একটি বিশাল বহুল ফ্ল্যাট একটি গাড়ী টয়াটো ঢাকা মেট্রো-গ-৩৫-২৬৪৭ ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় আরেকটি বহুতল ভবন নির্মান করছেন,তার নিজ জেলা ফরিদপুরে ক্রয় করা আছে ১৫ বিঘা জমি,যাহার আনুমানিক ৪.৫ কোটি টাকা এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে বেনামে বড় অংকের টাকা সঞ্চয়ে আছে।
পল্লীবিদ্যুতের প্রজেক্ট ডিরেক্টর নাজমুল হক
অফিসের পাশে (বনরুপা আবাসিক এলাকায় )এ ৫ কাঠার প্লট যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। মিরপুর রুপ নগর আবাসিক এলাকায় ১২ নং রোড ১১ নং প্লটটি তার যাহার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা, জাপান গার্ডেন সিটির উত্তর পাসে আদাবরে ৫ কাঠার ১টি প্লট অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শ্যালিকার নামে কিনেছে, পরবর্তীতে তারই ছেলেকে দান করার শর্তে। ও যশোরে তার নিজ শশুরের সম্পত্তির উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করছে তার অর্থায়নে ও তার নিজ বাড়ী পাবনা জেলার ইস্বরদী উপজেলার সামনে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে বিদেশি ফিটিংস দ্বারা বিলাসবহুল ৩ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। মিরপুরে ১১ নং নাভানা টাওয়ারে ১৬০০ স্কয়ার ফিটে ১ ফ্ল্যাট যার মূল্য ২ কোটি টাকা ইন্টেরিয়র করাতে খরচ ১ কোটি, ছেলে অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়েছিল সেখানে ঐ দেশের আইন অমান্যকৃত ঝামেলা করায় ছেলের ঝামেলা মিটিয়ে ফিরিয়ে আনতে খরচ প্রায় ১.৫ কোটি।
শশুর, শাশুড়ী, স্ত্রী এদের নামে পর্যাপ্ত অর্থ ব্যাঙ্কে জমা আছে। তাঁর অফিস,নিকুঞ্জ আ/এ-২ এর রোড ৩ বাড়ি নং ০১ তৃতীয় ও চতুর্থ তলা।
#চেয়ারম্যান এর নামে ৩টি গাড়ি বরাদ্দ তার একটি গাড়ী চেয়ারম্যান এর মেয়ে ব্যাবহার করছে। ঢাকা মেট্রো -ঠ ১১- ৭৯১৩ এই পিক আপ দিয়ে তার বাগানে যায় এবং জমি রক্ষানাবেক্ষন করে। ঢাকা মেট্রো -ঘ ১৮ -২৩৩৮ এই গাড়ি দিয়ে তার মেয়েকে আর পি সি এল অফিসে আনা নেওয়া করে। ঢাকা মেট্রো -ঘ ১৭ – ১৩৮৫ এই গাড়িতে সে চড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *