মারজানুল বারী সিরাজী : পৃথিবীতে কতিপয় ক্ষনজন্মা সাধক জন্মই হয় সবার হৃদয় জয় করার জন্যে, তাদেরই অন্যতম বিশিষ্ট সাংবাদিক সাহিদ সিরাজী!
এই মহান মানব ১৯৬২ সনের ১২ ই ফেব্রুয়ারীতে ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত বাংলাদেশের ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার হরষপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।
স্বপ্নপূরণের সাধনায় যখনই মগ্ন হয়েছেন সফলতা তার পদ চুম্বন করে তরুন বয়স থেকেই কলম সৈনিক হিসেবে নিজের পেশাকে বেছে নেন।তারেই ধারাবাহিতায় 92 থেকে 97 ইং সাল পর্যন্ত জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র দু-দুবার নির্বাচনে বিপ্লব ঘটিয়ে মহাসচিব নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্বপালন করেন।এছারাও বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি, জাতিয় সাংবাদিক সোসাইটির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অনেক সাংবাদিক সংগঠনের সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সাংবাদিকদের অধিকার আদায় ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে গেছেন।
86 সনে হুক্কা প্রতিকে পার্লামেন্ট নির্বাচন করে উদীয়মান রাজনীতিবিদ হিসেবে তৎকালিন ব্রাম্মনবাড়িয়া-3 আসনে আইডল হিসেবে পরিচিতি পান।
২০১৪ বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সকলের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
তিনি একাধারে সাংবাদিক ,রাজনীতিবিদ, সংগঠক ও সম্পাদক হিসেবে সকলের কাছ থেকে সন্মান কুড়িয়েছেন।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নিউজ এজেন্সি “এপিপি বাংলা ডট কম” এর প্রতিষ্ঠাতা ও চীপ এডিটর ছিলেন।
শুধু বাংলাদেশেই তিনি গন্ডিবদ্ধ ছিলেন না, ভারতবর্ষের অনেক সংবাদ সংস্থার সাথে তিনি জড়িত ছিলেন, ত্রিপুরার রাজ্যের নিউজ ভ্যানগার্ড, দৈনিক সংবাদ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি, দিল্লি এক্সপ্রেস এর কূটনীতিক প্রতিনিধিসহ ভারতবর্ষের অনেক মিডিয়ায় বাংলাদেশ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার তীক্ষ্ণ মেধা এতই সচল যে শুধু দেশ নয় বরং বিদেশও তার হেডলাইন থিম সম্পাদকগণ তাদের পত্রিকায় সাদরে গ্রহন করতেন।
তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আপোষহীন রাজনীতিবিদ।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাংলাদেশের বাম রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল( জে এস ডি) এর গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন!
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ( জে এস ডি), জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটি, বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশনসহ অনেক সংগঠন তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার উদ্যোগ নিয়েছিলো কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের দরূন স্থগিত করা হয়েছে!
তাই পারিবারিকভাবে সীমিত পরিসরে প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়।