গাজীপুর প্রতিনিধি, মোঃ ইলিয়াছঃ চীন থেকে আমদানিকৃত করোনা শনাক্তকরণের কিটের মান নিয়ে সমালোচনার মুখে এক মন্তব্যে গাজীপুরের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোভিড-১৯ রোগে সর্বপ্রথম আক্রান্ত দেশ চীন যে কিট ব্যবহার করে সফল হয়েছে আমি সেই কিট আমদানি করেছি। তারপরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এগুলোর মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পারে। এতে কিটগুলো ভালো হলে ব্যবহার হবে, নচেৎ নয়।
বুধবার বিকালে নিজ বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিদেশী এক সংবাদমাধ্যমে মেয়র এডঃ জাহাঙ্গীর আলমের কিট আমদানির সমালোচনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র সেইসব কথার উত্তর দিলেন।

তিনি জানান, চীন যে কিট ব্যবহারে সফল হয়েছে আমিও সেই কিট এনেছি। আলী বাবা যে কিট দিয়েছে এবং সেই কিট ব্যবহারে আমরা সফলতা পাচ্ছি, আমার কিটও একই। দেশের মানুষ যখন মহামারিতে আক্রান্ত তখন দ্রুতই আমি কিট এনেছি। আমার গাজীপুরবাসী তথা দেশবাসীকে রক্ষার জন্য তড়িঘড়ি করেই চীন থেকে নিজ উদ্যোগে, নিজের অর্থে বিমান ভাড়া করে ওই কিট আমদানি করেছি। এতে কোনো সরকারি অর্থ ব্যবহার করা হয়নি। এটা কোনো ব্যবসায়িক স্বার্থে করা হয়নি। এসব কিট আমি বিনা মূল্যে বিতরণ করেছি। মানবিক কারণে মানুষের জন্য যখন যেটা শুনেছি সেটাই করেছিমাত্র। আমার আনা কিট পরীক্ষা ছাড়া তো আর ব্যবহার হবে না। তাই এটা নিয়ে বিতর্কের কোন সূযোগ নেই।

মেয়র বলেন, গণমাধ্যমে খবর এসেছে, আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, চীন থেকে আনা অন্য যেসব কিট (আলী বাবার দেওয়া কিট) পেয়েছি, তা ব্যবহার করে ভালো ফল পাচ্ছেন।’ তাহলে আামার আনা কিট নিয়ে এত কথা হবে কেন। সরকারকে দেয় আলী বাবার উপহারের কিট আর আমার আনা কিট তো একই।
তিনি আরও বলেন, যখন বিভিন্ন দেশে ওই কোভিড-১৯ রোগ মহামারি রূপ নিয়েছে বিমান চলাচল বন্ধ এবং লকডাউন অবস্থা বিরাজ করছে তখন আমার গাজীপুরবাসী তথা দেশবাসীকে রক্ষার জন্য তড়িঘড়ি করেই চীন থেকে নিজ উদ্যোগে, নিজের অর্থে বিমান ভাড়া করে ওই কিট আমদানি করেছি। এতে কোনো সরকারি অর্থ ব্যবহার করা হয়নি। এটা কোনো ব্যবসায়িক স্বার্থে করা হয়নি। এসব কিট আমি বিনা মূল্যে বিতরণ করেছি। মানবিক কারণে মানুষের জন্য যখন যেটা শুনেছি সেটাই করেছিমাত্র। আন্তর্জাতিকভাবে চীনারা যে কিট ব্যবহার করেছে সেটিই এনেছি।

মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, এ পর্যন্ত ৫০ হাজার কিট ছাড়াও বিপুলসংখ্যক পিপিই, মাস্ক, থার্মাল স্ক্যানার, হ্যান্ড গস্ন্যাভস আমদানি করা হয়েছে। আরও এক লাখ কিট ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী আমদানির প্রক্রিয়াধীন। এগুলোর কিছু গাজীপুরের সিভিল সার্জন ও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রযোজ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।

কিট আমদানির অনুমোদন না নেওয়া প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এসব আমদানিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি নিতে যে সময় লাগে ততদিন অপেক্ষা করলে কাউকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে না ভেবেই তিনি নিজ থেকে উদ্যোগ নিয়ে ওইসব কিট, মাস্ক ও পিপিই আমদানি করেছেন। তারপরও কিটগুলোর মান ভালো না হলে তা ব্যবহার হবে না। তবে আলিবাবা এ দেশে যেই কিট উপহার পাঠিয়েছে, তিনিও সেই কিটই এনেছেন।