বিজয়নগর প্রতিনিধি : ধান কাটা নিয়ে বড় দুঃখে ছিলেন প্রবাস ফেরত মোক্তার মিয়া (৩০)।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের মোক্তার মিয়া খুব কষ্টে চাষবাস শুরু করেন।
এবছর ৫০ শতাংশ জমিতে ধান লাগান তিনি। ধানও বেশ ভালই হয়। একসময় ধান কাটার সময় ঘনিয়ে আসে। দুর্ঘটনার কারণে নিজের হাত না থাকাতে ধান কাটা নিয়ে ভীষন বিপদে পড়েন তিনি। চোখের সামনে ক্ষেতের পাকা সোনালি ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।
কারণ দিনে ৬০০ টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে দিনমজুর লাগিয়ে ধান কাটানো মোক্তার মিয়ার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তার মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাবে লোকও পাওয়া যায়না।
এই পরিস্থিতিতে যখন তিনি দিশেহারা তখন মোক্তারের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম. মাহাবুব হোসাইন ও তার সঙ্গে থাকা ২০/৩০ ছাত্রলীগ কর্মী।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) সারাদিন ৫০ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে কৃষক মোক্তারের ঘরে তুলে দেন ছাত্রলীগের এই নেতাকর্মীরা।
বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম. মাহাবুব হোসাইন জানান, কৃষকদের ধান কাটতে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলার সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত শোভন। তারপর বিজয়নগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্তরিকতার সঙ্গে অসহায় কৃষকদের জন্য এগিয়ে এসেছেন।
তিনি আরো জানান, শনিবার তার নেতৃত্বে ২০-৩০ কর্মী উৎসব আমেজে হাতের কব্জি হারানো মোক্তার কৃষকের ধান কেটে দেন। এসময় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন পাহাড়পুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ আহমেদসহ উপজেলা ও পাহাড়পুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
ধান কাটা নিয়ে কৃষক মোক্তার মিয়া বলেন, ‘শনিবার সকালে ক্ষেতে কাস্তে নিয়ে ছাত্র নেতাকর্মীরা হাজির হলে আমি অবাক হয়ে যাই। ধান কাটা নিয়ে মহাবিপদে ছিলাম। ছাত্রলীগের কর্মীরা এসে আমাকে এই মহাবিপদ থেকে বাঁচালো। আমি ছাত্রলীগের সভাপতির জন্য জন্য দোয়া করি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, এমন অসহায় কৃষকের জন্য বিজয়নগর ছাত্রলীগ পাশে দাঁড়িয়েছে—এজন্য ছাত্রলীগের ওই সভাপতিকে ধন্যবাদ। এইটাই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার হাতেগড়া পরিশ্রমের ফসল।
ভবিষতে জেলার শত শত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে উৎসাহের সঙ্গে এমন অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানান তিনি।