বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি’র) পণ্যের মিলছেনা দেখা। এমনকি কে ডিলার তাও সকলের অজানা। টিসিবি’র পন্য সম্পর্কে উপজেলা সাধারণ মানুষের নেই কোন ধারণা। কোনদিনও মিলেনি টিসিবির পণ্য। ডিলার থাকলেও কোনদিন এ পন্য বিক্রি করতে দেখেননি কেউ। এতে করে নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত বর্তমানে কর্মহীন জনগোষ্ঠী টিসিবি পণ্যের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে এ পণ্য না পাওয়ায় চরম ক্ষিপ্ত জনসাধারণ। যার ফলে ধনাঢ্যদের সাথে তাল মিলিয়ে বাজার দরে সকল ধরনের পণ্য কিনতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। তাতেই পড়েছেন চরম বিপাকে। জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য বিক্রির জন্যে রয়েছে টিসিবির ডিলার। এইসব পণ্য বিক্রি করতে বিজয়নগরে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৬ জন ডিলারকে। কিন্তু কে ডিলার কবে পণ্য তুলে বিক্রি করেছেন বা করেননি এসব সম্পর্কে একেবারেই অজানা কর্তৃপক্ষ। কোনদিনও টিসিবি পণ্যের দেখা পাইনি উপজেলাবাসী। টিসিবি ৫ রকমের পণ্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে বাজারজাত করা থাকেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য বিজয়নগর উপজেলাবাসীর। কারণ এইসব পণ্য থেকে চরম ভাবে বঞ্চিত। অথচ ৬ জন ডিলার থাকলেও এই মহামারি সময় কেউ উত্তোলন করেননি টিসিবি’র পণ্য। এমনকি উপজেলা প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের জানাই ছিল না বিজয়নগর টিসিবি’র ডিলার কারা। তারা কোনদিনও উত্তোলন করেননি পণ্য। ব্যাপক ভাবে বঞ্চিত হয়েছে বিজয়নগর খেটে খাওয়া মানুষ।
হরষপুরের ভ্যান চালক নাছির, সুরুজ জানান এইসব পণ্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে পেলে আমাদের অনেক উপকার হতো। বাজারে অধিক মূল্যে এইসব পণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে। টিসিবি পণ্য সম্পর্কে একেবারেই আমাদের অজানা। বুধন্তীর হানিফ মিয়া, জসিম উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনদিনও জানতেই পারলাম না টিসিবি’র পণ্য কে করে। সরকার নির্ধারিত অল্প মূল্যে এইসব পণ্য ক্রয় করতে পারলে কিছুটা হলেও খেয়ে বেঁচে থাকতে পারতাম।
বুল্লা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন এই মুহূর্তে সরকার নির্ধারিত মূল্যে যদি টিসিবির পন্য উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয় তাহলে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মেহের নিগার জানান টিসিবি’র পণ্য বিক্রির জন্য ২/১ জন ডিলার থাকলেও উপজেলা পন্য আসেনি বা বিক্রি শুরু হয়নি। এখন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি মাধ্যমে ত্রান বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত আছি।এই কর্যক্রম শেষে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে টিসিবি পন্য বিক্রির ব্যবস্থা করব।তিনি আরও জানান আমি এই উপজেলায় যোগদানের পরে আজ পর্যন্ত কোন ডিলার টিসিবির পন্য বিক্রি করেনি।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি’র) কুমিল্লা ক্যাম্প এর সহকারী কার্যনির্বাহী (অফিস ইনচার্জ) প্রধান মোঃ শাহিদুল ইসলাম জানান বিজয়নগর থেকে এখনো কোন ডিলার পন্য নিতে যোগাযোগ করেনি।আমরাও যোগাযোগ করে তাদেরকে পাচ্ছি না।তাই বিজয়নগরে এখনো কোন টিসিবির পন্য বিক্রি শুরু হয়নি।
বিজয়নগরে ডিলার দুলাল মিয়া জানান, এই মুহূর্তে পন্য এনে কোন লাভবান হব না।বির্তকিত হবার ঝুঁকি রয়েছে।তাই এখনো পন্য আনেনি।
আরেকজন ডিলার শাহীন চৌধুরী বলেন, আমি মূলধনের অভাবে টিসিবির পন্য এনে বিক্রি করতে পারছিনা।
প্রাণতুষ নামে আরেকজন ডিলার জানান আমার টিসিবির ডিলারশীপ আছে।কয়েকবার পন্য এনে বিক্রি করেছি।তবে ইদানিং পন্য আনেনি আনার চিন্তাভাবনা করতেছি।