Thursday, December 7, 2023
Home > আঞ্চলিক সংবাদ > মহসিন-শাম্মী দম্পতি অনেকের জন্য পথপ্রদর্শক

মহসিন-শাম্মী দম্পতি অনেকের জন্য পথপ্রদর্শক

কামরুল হাসান শান্ত: মোঃ মহসিন খন্দকার ও শামীমা মহসিন শাম্মী খন্দকার মধ্যবিত্ত পরিবারের এক দম্পতি নাম।মোঃ মহসিন খন্দকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক। সেই হিসেবে বলা যায় সে মধ্যম সারির নেতা।অপর দিকে শাম্মী খন্দকার একজন সুগৃহিনী।পরিবারের বাহিরের নেই থেমন অবস্থান। নেই কোন রাজনীতি পদপদবী।

যে বয়সে খেলায় সময় অতিবাহিত করার কথা সেই সময় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেকে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছেন। তৃনমূল থেকে এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।অল্প বয়সে জনসেবার মূলমন্ত্রে নিজেকে জড়িত করে হয়েছে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কর্ম হারিয়ে গৃহবন্দীর মত অবস্থা মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন বহু মানুষ।সেই সময় সরকারি বরাদ্দ যেমন নিজের এলাকার মানুষের জন্য আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।তার সাথে ব্যক্তি উদ্যোগে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার প্রথম থেকেই এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা সহায়তা দিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।আবার মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশেও রাতের অন্ধকারে গোপনে খুঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

বর্তমান পরিস্থিতি এসব বিবেচনা করে বাসা ও দোকান ভাড়াটিয়াদের ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার (মহসিন মেম্বার)। নিজের দুটি ফ্ল্যাট বাসা ও আটটি দোকানের এপ্রিল ও মে মাসের ভাড়া মওকুফ করেছেন তিনি। যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসা ও মার্কেটের ভাড়া মওকুফের নজির প্রথম। ভাড়া মওকুফের পাশাপাশি ভাড়াটিয়াদের পাশে থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন মহসিন।

সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকায় তার দুইতলা বিশিষ্ট বাড়িতে দুইজন ভাড়াটিয়ার দুই মাসের ভাড়া ও বাড়ির পাশে খন্দকার মার্কেটে থাকা আটটি দোকানের দুই মাসের ভাড়া ৮০ হাজার টাকা মওকুফ করে দিয়েছেন। ভাড়া মওকুফ ছাড়াও ইতোপূর্বে কর্মহীন ও হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন মহসিন।

মহসিন খন্দকারের সহধর্মীণি শামীমা মহসিন শাম্মী ও বসে নেয়।সে তার ব্যক্তিগত জমানো টাকা থেকে প্রায় ৬০০ পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।প্রতিদিন স্বামীর মত নিজেকে বিলে দিচ্ছেন অনাহারীদের মাঝে।প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তার কাছে এলাকার নারী পুরুষ সাহায্যের জন্য আসছে।যতটুকু সম্ভব নিজের তহবিল থেকে দিচ্ছেন বাকিটুকু মহসিন খন্দকার থেকে নিয়ে সেই সব অনাহারীদের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

মহসিন খন্দকারের সহধর্মীণি শামীমা মহসিন শাম্মী বলেন, আমার স্বামী সারাদিন নিজের সাধ্যমতে মানুষের সেবা করে বাড়িতে এসে তৃপ্তিকর মনের আবেগ প্রকাশ করায় আমি নিজেই অনুপ্রাণিত হয়।তাই করোনা পরিস্থিতির প্রথম দিকে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবারকে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করি।তার পর থেকে অনেক গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অসহায় মানুষ আছে প্রকাশ্যে কারো কাছে চাইতে পারে না।তারা গোপনে আমার কাছে আসে।আমি আমার সাধ্যমত তাদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহসিন খন্দকার বলেন, করোনাভাইরাসের এই মহাদুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমাদের সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় ব্যক্তি উদ্যোগে দুইবার কর্মহীন ও হতদরিদ্রদের ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যেহেতু বাসা থেকে কেউ বের হয়ে কর্মস্থলে যেতে পারছেন না এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু বন্ধ রয়েছে সেজন্য আমি দুই মাসের বাসা ও দোকান ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছি।
পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার ভাড়াটিয়াদের পাশে থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *