নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গাজীপুর সিটি করপোরেশনে এলাকার মোট ২৬০০ মসজিদের ইমাম-খতিবকে আর্থিক সম্মাননা দিয়েছেন মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। আজ শুক্রবার তাঁদের সবার হাতে ওই অর্থের হস্তান্তর করা হয়। এই সহায়তার মাধ্যমে ব্যক্তি উদ্যোগে কোন জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে এতো সংখ্যক আলেমকে সম্মাননা দেওয়ার ইতিহাস গড়লো মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি সম্পুর্ণ নিজস্ব ফান্ড থেকে ওই অর্থ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকরা ব্যাপক সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

আজ নগরের ২৬০০ ইমাম ও খতিবদের মাঝে সম্মানী ভাতার চেক হাতে পেয়ে অনেক খতিবরা বলতে দেখা গেছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব এ্যাডঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আলেম সমাজের শিরোমণি বলে উল্লেখ্য করেছেন। তার জীবনের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে আলেম সমাজের ভালোবাসা ও আর্শিবাদে।
তিনি ছাত্র রাজনীতি শুরু থেকেই ঈমান আমলের প্রতি কদর ছিল। আলেমদের কে সব সময় ভালোবেসে তাদের সাথে সকল বিষয় শেয়ার করতেন। এমনি করেই ভাইস চেয়ারম্যান, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরবর্তী সময়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে অল্প বয়সে মেয়র হওয়া আলেম সমাজের অবদান কম নয় বলে উল্লেখ্য করেন বিভিন্ন মসজিদের ঈমাম ও খতিবরা।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে সিটির সকল মসজিদের ইমাম ও খতিবদের মাসিক সম্মানী ভাতার শুভ উদ্ধোধন করেন। এরপর সারা দেশের আলেম ওলামাদের মাঝে একটি নৈতিবাচক দিক লক্ষ করা গেছে। এটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলেম সমাজ কে ভালোবাসতেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলেম ওলামাদের কথা চিন্তা করে কাওমি মাদ্রাসা কে সরকারি ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তাই করতেছেন। ঈদ কে সামনে রেখে এই চেক পেয়ে অনেকেই খুশি হয়েছেন। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে গাজীপুরের এই মেয়র বলেন, ১০/১৫ দিন শতভাগ লক ডাউন দিলে ভালো হয়,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ সকল সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন থাকবে বাস্তবতা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। ইমাম ও খতিবদের চেক বিতরণের ব্যাপারে মেয়র বলেন, আমরা প্রাথমিক ভাবে শুরু করেছি,এর ধারাবাহিকতা আরো থাকবে। বছরে ১৪ হাজার টাকা সম্মানী দিতেছি,এটা বেশি নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলেমদের ভালোবাসেন,আমি তার কর্মী হয়ে চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন,বর্তমান করোনা নামক মহামারি থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক। নগর বাসীর কাছে অনুরোধ, সাবধানে থাকবেন,আপনি মারা গেলে ছেলে সন্তান জানাজায় আসবে না। সরকারি ভাবে যে নির্দেশনা আছে তা পালন করুন।