এস এম জীবন : ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন। শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব শেখ নাজমুল হক সৈকত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তার পিআরও আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শনিবার রাত ১০টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিউতে ভর্তি করা হয় তাকে।
তার মৃত্যুতে গভীর শােক প্রকাশ করেছেন ঢাকা-৫ এর গণমানুষের নেতা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। তিনি তার এক শোক বার্তায় বলেন, সিনিয়র রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিম ভাইয়ের মৃত্যুর শোক না কাটতেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ ভাইয়ের ইন্তেকাল আমরা মেনে নিতে পারছিনা। একসাথে দুই সিনিয়র অভিভাবককে হারানো যে কতটা কষ্ট এবং দলের জন্য কতটা শোকাহত তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নই।
করোনার এই ক্লান্তিলগ্নে আমরা একসাথে হারিয়েছি তিনজন অভিভাবককে। আপনারা জানেন আমাদের নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৫ এর অভিভাবক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লা (এমপি) কেও বেশিদিন হয়নি হারিয়েছি, পরপর তিনজন অভিভাবককে হারানোর এই শোক কেটে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি আবারও তার এলাকা ঢাকা-৫ এর পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তিন নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্যঃ শেখ আব্দুল্লাহ ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে ব্যস্ততার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ মে তার নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) উন্নয়নে প্রতিনিধির দায়িত্ব দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহকে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত ধার্মিক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা আলহাজ্ব মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন।
চার ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট মুজিব বাহিনীর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ সেবা করার লক্ষ্যে চাকুরির পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তার নেতৃত্বে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।