মোঃ শামসুদ্দিন জুয়েল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের মহিউদ্দিননগর গ্রামে কয়েক সেকেন্ডের স্থায়ী টর্ণেডোর আঘাতে এলাকার অন্তত ১৫টি বাড়ীঘর মুহুর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আলম ভূইয়া মুবাশ্বের এবং সদর ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়াসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য সহযোগীতা করেন।
টর্ণেডো ক্ষতিগ্রস্থ সাহেদা বেগম জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ করে একটি ঘুর্ণিপাক এসে আমার ঘরবাড়ী সব উড়িয়ে নিয়ে যায়। ঝড়ের এসময় আমি আমার প্রতিবন্ধি কন্যা, নাতিন সহ ঘরে অবস্থান করছিলাম। এসময় মনে হলো একটি আলোক রস্মি ও আগুনে পুরে যাওয়ার বাজে গন্ধ পাওয়া যায়। টর্ণেডোর চলাকালে তারা দুই বছরের নাতিকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঘরের মধ্যেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। ক্ষতিগ্রস্থ কাজী মমিনুল ও হারুন মিয়া জানান, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি ঘর টর্ণেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়েযায় ঘরবাড়ী। ঘুর্ণীপাক টিনের চালা নিয়ে ফেলেছে বাড়ী থেকে আধা কিলোমিটার দূরের খালে। এখন আমরা খোলা আকাশের নিচে। তবে সরকারের থেকে আমরা তাৎক্ষনিক সাহায্য সহযোগীতা পেয়েছি।
বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আলম ভূইয়া মুবাশ্বের জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ী ঘরের টিনের চালা সহ সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে যায়। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই এ ঘটনায় তারা হতবিহবল হয়ে পরেন। মুহুর্তেই সর্বশান্ত হয়ে পরেন। ঝড়ে অন্তত ১৫টি বাড়ীঘর বিধস্ত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। তিনি ঘটনা স্থলে এসে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে দুই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করেন। পরে তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের খবর দেন।
সদর ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ঝড়ের খবর পেয়ে তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পরে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৬ হাজার টাকা এবং দুই বান্ডিল করে ঢেউ টিন প্রদান করেন। এছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে নগদ দুই হাজার টাকা করে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রদান করার কথা জানান তিনি
এর আগেও গত ৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে টর্ণেডো আঘাতে শতাধিক বাড়ীঘর বিধ্বস্থ হয়।
#
মাইনুদ্দীন রুবেল
১৮.০৬.২০২০
০১৭৫১০৩২৬২৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের মহিউদ্দিননগর গ্রামে কয়েক সেকেন্ডের স্থায়ী টর্ণেডোর আঘাতে এলাকার অন্তত ১৫টি বাড়ীঘর মুহুর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আলম ভূইয়া মুবাশ্বের এবং সদর ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়াসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য সহযোগীতা করেন।
টর্ণেডো ক্ষতিগ্রস্থ সাহেদা বেগম জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ করে একটি ঘুর্ণিপাক এসে আমার ঘরবাড়ী সব উড়িয়ে নিয়ে যায়। ঝড়ের এসময় আমি আমার প্রতিবন্ধি কন্যা, নাতিন সহ ঘরে অবস্থান করছিলাম। এসময় মনে হলো একটি আলোক রস্মি ও আগুনে পুরে যাওয়ার বাজে গন্ধ পাওয়া যায়। টর্ণেডোর চলাকালে তারা দুই বছরের নাতিকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঘরের মধ্যেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। ক্ষতিগ্রস্থ কাজী মমিনুল ও হারুন মিয়া জানান, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি ঘর টর্ণেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়েযায় ঘরবাড়ী। ঘুর্ণীপাক টিনের চালা নিয়ে ফেলেছে বাড়ী থেকে আধা কিলোমিটার দূরের খালে। এখন আমরা খোলা আকাশের নিচে। তবে সরকারের থেকে আমরা তাৎক্ষনিক সাহায্য সহযোগীতা পেয়েছি।
বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আলম ভূইয়া মুবাশ্বের জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ী ঘরের টিনের চালা সহ সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে যায়। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই এ ঘটনায় তারা হতবিহবল হয়ে পরেন। মুহুর্তেই সর্বশান্ত হয়ে পরেন। ঝড়ে অন্তত ১৫টি বাড়ীঘর বিধস্ত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। তিনি ঘটনা স্থলে এসে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে দুই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করেন। পরে তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের খবর দেন।
সদর ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ঝড়ের খবর পেয়ে তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পরে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৬ হাজার টাকা এবং দুই বান্ডিল করে ঢেউ টিন প্রদান করেন। এছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে নগদ দুই হাজার টাকা করে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রদান করার কথা জানান তিনি
এর আগেও গত ৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে টর্ণেডো আঘাতে শতাধিক বাড়ীঘর বিধ্বস্থ হয়।
#
মাইনুদ্দীন রুবেল
১৮.০৬.২০২০
০১৭৫১০৩২৬২৭