এপিপি বাংলা : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রশিক্ষণার্থী এক চিকিৎসকের হাতে নার্সের যৌন হয়রানির ঘটনার তদন্ত নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে নার্সরা মঙ্গলবার দুপুরের পর মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন।
হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে তারা যৌন নিপীড়ক চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের রামেক হাসপাতাল শাখার ব্যানারে এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের রামেক শাখার সভাপতি শাহাদাতুন নূর লাকি। পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান। সমাবেশে সংগঠনের অন্য সদস্যরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ঘটনার পর বেশ কিছু সময় পার হলেও অভিযুক্ত চিকিৎসককে শুধু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ছাড়া অন্য কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিতেও গড়িমসি করছে। এই গড়িমসি তারা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। অভিযুক্ত চিকিৎসক পার পেলে তারা আরও বড় আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম মামুন-অর-রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানেসথেসিয়ার ওপর কোর্স করছেন। কোর্সের অংশ হিসেবে তিনি এসেছেন রামেক হাসপাতালে। ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করা ডা. মামুন চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কর্মরত।
রামেক হাসপাতালে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দায়িত্বে থাকাকালীন কর্তব্যরত এক নার্সকে যৌন হয়রানি করেছেন গত ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি। বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি।
নার্সদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদেই তারা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, তদন্ত কমিটি নিজেদের মতো করেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ২৫ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিবেদন আসেনি। তবে নার্সরা বিক্ষোভ করেছেন বলে শুনেছেন। আমরা বিষয়টি দেখছি। কেউ অপরাধ করে থাকলে ছাড় পাবেন না।