তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের গাইড লাইন প্রদানের জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে সারাদেশে ২০০ জন মেন্টর তৈরি করা হবে। তিনি আরও বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইনোভেশন ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প উদ্যোক্তা সমন্বিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার আইইবি, ঢাকা সেন্টারে আয়োজিত ‘ইনোভেটর মেন্টর ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্পের’ সমাপনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ইনোভেটর ও এন্টারপ্রেনিয়রদের মাধ্যমে হোম-গ্রোন সলিউশনে কাজ করছে সরকার। উদ্যোক্তাদের লোকাল এক্সপেরিয়েন্স কাজে লাগিয়ে গ্লোবাল বিজনেস অপরচুনিটি তৈরি করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের তত্ত্বাবধানে বিগত ১২ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাত সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাত সঠিক অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে দেশের সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
‘ইউনিবেটর’ প্রোগ্রামের মেন্টর ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্পকে ‘ঐতিহাসিক’ এক অর্জন হিসেবে বর্ণনা করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মেন্টর ডেভেলপমেন্টের জন্য আমরা যে আয়োজন করতে চেয়েছিলাম, তা এতটা সফলভাবে যে আয়োজন করা সম্ভব হবে এটা আমাদের প্রত্যাশাতীত। অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ফলাফল আমরা মেন্টর ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প থেকে পেয়েছি। ভবিষ্যতে এমন অনেক মেন্টর ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। কিন্তু প্রথম ক্যাম্পের এই অনুষ্ঠানটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।
বক্তব্যে করোনা মহামারিতে দেশের সেবায় কাজ করতে গিয়ে আইসিটি ডিভিশনের যারা মারা গেছেন তাদের স্মরণ করে দেশের প্রতি তাদের আত্মত্যাগের কথা জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে আপনারা শুধু নিজেদের সমৃদ্ধ করেননি, বরং ভবিষ্যতে আমাদের উদ্যোক্তা তৈরির সাপ্লাই চেইন তৈরি করা এবং ইনোভেশন ইকোসিস্টেম তৈরির একটি ঐতিহাসিক ইভেন্ট আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি।