এপিপি বাংলা : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বিল্লাল হোসেন নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নির্যাতিত শিশুর পরিবার ও পুলিশ জানায়, সরকারি নির্দেশনার কোনো তোয়াক্কা না করে সোমবার লকডাউনেও খোলা ছিল মাদ্রাসাটি। এদিন বিকেলে ছুটি শেষে মাদ্রাসাশিক্ষক বিল্লাল হোসেন সব শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া আট বছরের শিশুটিকে কাজ আছে বলে থাকতে বলেন। পরে মাদ্রাসা ফাঁকা হয়ে যাবার পর বিল্লাল ওই শিশু শিক্ষার্থীটিকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং শিশুটি বাসায় চলে যেতে বলেন। একথা কাউকে বললে তাকে মারধর করবেন বলেও হুমকি দেন।
এদিকে, নির্যাতনের ফলে রক্তক্ষরণে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার মা বিষয়টি টের পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনাটি প্রকাশ করে। পরে শিশুটির মা-বাবা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
নাঙলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মাদ্রাসাটি সরকারি নির্দেশনা না মেনে চালু ছিল। খবর পেয়ে সোমবার রাতেই ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে একমাত্র আসামি করে শিশুটির বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল বলেন, মাদ্রাসাটি খোলা থাকার বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পেয়ে মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশকে এ ব্যাপারে লিখিত একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।