এপিপি বাংলা : আজ দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অায়োজনের মধ্যে দিয়ে ০৪ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকদের অনুকূলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত ৬২ লক্ষ টাকার অার্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এম পি। এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এশিয়ান গেমসে বক্সিং এ ব্রোন্জজয়ী
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ মোশাররফ হোসেনকে শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে ৩০ লাখ টাকা এবং আন্তর্জাতিক গ্রান্ডমাস্টার দাবাড়ু রানি হামিদকে ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আরো দুজন ক্রীড়া সংগঠককে ২২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য বক্সার মোশাররফকে ইতোপূর্বে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
চেক বিতরণকালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্রীড়াবান্ধব। তিনি সুখে-দুঃখে সবসময় আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে ছায়ার মতো থাকেন। স্পোর্টসের উন্নয়নে বা যেকোন ক্রীড়াবিদ বা ক্রীড়া সংগঠকের যেকোন সমস্যায় তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যান ফাউন্ডেশন’ এ করোনাকালীন সময়ে ১০ কোটি টাকাসহ
সহ আরো ২০ কোটি টাকা মোট ৩০ কোটি টাকা সীডমানি প্রদান করেছেন।
ক্রীড়াঙ্গনকে এভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
তিনি জানান, সরকার অচিরেই বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত আরো ১০ হাজার ক্রীড়াসেবীকে ৫ কোটি টাকা বিশেষ আর্থিক অনুদান প্রদান করবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ২
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক সরকারের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম আলী কবীরের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
আজ বুধবার বিকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস এম আলী কবীরের স্মরণ শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত এ এস এম আলী কবীরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, জনাব এ এস এম আলী কবীর অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ক্রীড়াঙ্গনেও অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। পেশাগত জীবনে আলী কবির সরকারের সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব ছিলেন। তিনি সচিব থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ অন্যান্য ক্রীড়ার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন৷
তিনি আরো বলেন, এক দশকের বেশি সময় তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষ ফেডারেশন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একজন আলোকিত ব্যক্তিত্ব। আমরা ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত করেছি। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার অনন্য অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে যুগ যুগ স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
স্মরণসভায় সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জনাব এ এস এম আলী কবীরের সাথে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো। তিনি একজন সহজ সরল সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আজীবন জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে গেছেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) মোঃ মোশারফ হোসেন মোল্লা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকগণ উপস্থিত ছিলেন।