এপিপি বাংলা : ‘রাষ্ট্রীয় পদক’ অহরহ অপাত্রে দান করে স্বাধীনতার ‘মর্যাদা’ ও জাতীয় ‘সম্মান’ বিনষ্ট করার পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।
রাষ্ট্রীয় পদক ‘প্রদান’ ও ‘বাতিল’র এই হীনমন্য
খেলায় যোগ্য বা পদকপ্রাপ্ত সম্মানিত ব্যক্তিগণ মর্যাদাহানির ঝুঁকিতে পড়ছেন যা অত্যন্ত বিব্রতকর ও অনাকাঙ্খিত।
পদক প্রদানে সরকারের অদক্ষ ও স্বেচ্ছাচারী আচরণে প্রমাণ হয় ‘নির্বাচন’ এবং ‘উন্নয়ন’সহ রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রেই অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপে দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
বিদ্যমান উপনিবেশিক প্রশাসন একেতো স্বাধীন দেশের চাহিদা পূরণে অক্ষম এবং অনুপযোগী, তদুপরি সরকার মেধা ও যোগ্যতাকে উপেক্ষা করে মেধাহীন, অদক্ষ ও দলকানা কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসনের কার্যকারিতা ও দায়িত্বশীলতা তলানীতে নিয়ে গেছে।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখার একমাত্র ‘লক্ষ্য’ বাস্তবায়নে সরকার রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যকে বিনষ্ট করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নৈতিক এবং আইনগতভাবে ধ্বংস করে ফেলেছে। যোগ্যদের আড়াল করা এবং অযোগ্যদের টেনে হিঁচড়ে উপরে তোলার সরকারের সংস্কৃতি রাষ্ট্রকে ভয়ংকর পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ সর্বক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করছে সরকারের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে।
রাষ্ট্রকে ক্রমাগতভাবে আইনের শাসন এবং নৈতিক অনুশাসন থেকে বিচ্যুত করে অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত ও সুরক্ষা দেয়ার চাতুরিপূর্ণ সরকারি পদক্ষেপ জাতীয় মননে চরম হতাশার জন্ম দিচ্ছে।
২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে একটি নৈতিক, মানবিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্রে রূপান্তর করার যোগ্যতা এ সরকারের নেই।
আসুন, আমরা সবাই বাঙালির তৃতীয় জাগরণের এই পর্যায়ে দৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে বাঙালির অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখি।