এপিপি বাংলা : তৈরি পোশাক ও বেসরকারি খাতের কর্মীদের বেতন ও বোনাস সহ বকেয়া সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে। ঈদের আনন্দ যেন কারো কাছে অধরা না থাকে।
আজ বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর কাউন্সিল হলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি অনেকগুলো গণমাধ্যমে বেশ কয়েক মাসের বেতন বকেয়া আছে। সেখানে কর্মরত সাংবাদিক ও স্টাফরা পরিবার পরিজন নিয়ে সীমাহীন দুঃখ-কষ্টে আছেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসময় আরো বলেন, তৈরি পোশাক খাতের লাখ লাখ শ্রমিক ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেন। স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শিকড়ের টানে ছুটে যান। তাই গার্মেন্টস শ্রমিক ও বেসরকারি সকল খাতে কর্মরতদের বকেয়া বেতন, ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, দেশের রফতানি আয় সচল রাখেন যে শ্রমিকরা তারাই সব চেয়ে কম বেতনে চাকরি করেন। অথচ পোশাক শিল্প মালিকরা দরিদ্র শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রাখেন। তাই ২৭ রমজানের আগেই সকলের পাওনা পরিশোধ করতে অনুরোধ জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, বেতন বকেয়া হওয়ার কারণে বেসরকারি খাতের কর্মীরা অনেকে বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না। পরিবারের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও অসুধের বন্দোবস্ত হচ্ছে না। অনেকেই সন্তানদের স্কুল-কলেজের বেতন বা কোচিং ফি দিতে পারছে না। এমন বাস্তবতায়, ঈদ আমাদের সামনে হাজির। সহায়তার হাত বাড়িয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ্য করতে বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, দেশের মানুষ সীমাহীন অর্থনৈতিক কষ্টে আছে। আর একদল মানুষ টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছে না। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সরকার তাদের তালিকা প্রকাশ করছে না। মনে হচ্ছে সরকার পাচারকারীদের সহায়তা করছে। মানুষের মাঝে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে । অথচ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে। তিনি বলেন, যারা মানুষের কষ্টে চুপ করে থাকে তাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার দরকার নেই।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সরকারি দলের দুর্নীতি ও দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঈদের পরে আমরা মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রাজপথে থাকবো। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি করে কেউ অন্য দলের দালালি করতে পারবে না। দালালদের জায়গা জাতীয় পার্টিতে হবে না।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেছেন, যখনই জাতীয় পার্টির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয় জাতীয় পার্টিকে ঘিরে। আমরা অতীতের মতোই বুকের রক্ত দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে মুক্ত করে গণমানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথে থাকবো।
বক্তব্য রাখেন-জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য- সাহিদুর রহমান টেপা, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।
উপস্থিত ছিলেন-,প্রেসিডিয়াম সদস্য- হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, লেঃ জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, নাজমা আক্তার এমপি, সৈয়দ দিদার বখত, জহিরুল ইসলাম জহির, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি, চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাশরুর মাওলা ।