বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসর এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ দেলোয়ার আল হুসাইন বলেন।পাঠ্য পুস্তকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির যে সমস্ত বই শিক্ষার্থীদের কে বাধ্যতামূলক ভাবে পড়ানোর জন্য এনসিটিবি নির্দেশনা জারি করেছে তা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কে মর্মাহত করেছে, এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত করে তুলেছে।
এই সব কারিকুলামে কুরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়েকেরাম, আহলে বাইত, মুসলিম মনিষী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের বাণী, উদ্বৃতি, নীতি-নৈতিকতা সৃষ্টিকারী কোন বিষয় স্থান পায়নি। উপরন্ত বিজ্ঞান বইয়ে উলঙ্গ নারী-পুরুষের ছবি, ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন অঙ্গের বর্ণনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঈমান হারা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা ইউরোপীয় সংস্কৃতির অংশ বিশেষ।
তাছাড়া সামগ্রিক বিবেচনায় ৯১% মুসলমানের দেশে পাশ্চাত্য ও দেব-দেবীর বিশ্বাস ও তাদের আরাধনার শিক্ষা সংস্কৃতির আদলে তৈরী বইগুলো স্কুলের জন্যও উপযোগী নয়। শিক্ষার্থীদের এই সব বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গ্রহণ ও ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি অচিরেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পুনর্গঠন করুন, অন্যথায় এদেশের ছাত্র সমাজ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান রাজপথে নামতা বাধ্য হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।