appbangla.com
  • হোম
    • যোগাযোগ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
  • রাজনীতি
  • বিশেষ সংবাদ
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • বিনোদন
  • খেলা
  • ফিচার
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • মিডিয়া

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

28/9/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
নিউইর্য়ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ব্যাপক গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচারে সমর্থন দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের জন্য এ বিচার প্রয়োজন। এ বিচারের সফল সমাপ্তি যুদ্ধের ক্ষত মুছে দিয়ে বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে।
শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ আহ্বান জানান তিনি। জাতিসংঘ সদর দফতরে স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৪টায় (বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ২টা) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা প্রণয়ন জাতিসংঘের প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য একটি কঠিন কাজ। একটি ন্যায়ভিত্তিক, সমৃদ্ধ ও টেকসই বিশ্ব গড়তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের সবার আকাঙক্ষা পূরণ হবে। কোনো ব্যক্তি বা জাতি পিছিয়ে থাকবে না। বাংলাদেশের প্রগতিশীল ও উদার ১৬ কোটি মানুষ সামনে থেকে এসব প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আমাদের জাতির ধর্ম অসাম্প্রদায়িক কাঠামো ধ্বংস করতে অতি সক্রিয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মাধ্যমে তাদের এ ধ্বংসাত্মক তৎপরতার শুরু হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি একত্রে এক সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তোলে। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতের সঙ্গে কোয়ালিশন করে ক্ষমতায় গিয়েছিল। এ চক্র তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তারা তাকে হত্যার উদ্দেশে উপর্যুপরি ১৩টি গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে ২৪ নেতাকর্মী নিহত এবং ৫ শতাধিক আহত হয়। এ হামলায় অলৌকিকভাবে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও দলের সিনিয়র ও নিবেদিত নারীনেত্রী আইভি রহমানসহ অনেক নিরাপরাধ মানুষ ও অসাম্প্রদায়িক নেতা নিহত হন। এসব ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জঙ্গিবাদবিরোধী ও অর্থ পাচারবিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বহু ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। স্বাধীনতা অর্জনে ৩০ লাখেরও অধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে এবং ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছে। তখন থেকে দালালদের বিচারের আওতায় আনতে জাতি গভীর আশা ও আকাঙক্ষা নিয়ে অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য তার সরকার ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। এই বিচারকাজ পরিচালনায় সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে জাতি গ্লানিমুক্ত হয়ে দেশে শান্তি ও অগ্রগতি চিরস্থায়ী রূপ নেবে। তিনি এ উদ্যোগকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী ৩৯ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসংঘে দেয়া ভাষণের উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন এ মঞ্চে দাঁড়িয়েই নতুন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। যেখানে শান্তি, ন্যায়বিচার ও বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থাকবে, যার মাধ্যমে বিশ্ব ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও যুদ্ধমুক্ত হবে। ‘বঙ্গবন্ধুর সেই লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখতে পেরে তার কন্যা হিসেবে আমি গর্বিত’।

তিনি বলেন, নিত্যনতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে বিশ্বে দ্রুত পরিবর্তন আসছে। এসব আবিষ্কার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে অবদানের পাশাপাশি দ্বন্দ্বও সৃষ্টি করছে, যা অনেক সময় দেশের সীমানা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বের অরক্ষিত, বঞ্চিত ও পশ্চাৎপদ জাতি-গোষ্ঠী।

প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘২০১৫-পরবর্তী এজেন্ডা : প্রস্তুতি গ্রহণ’ ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ নির্ধারণে সহায়তা করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০০ সালে ‘সহস্রাব্দ ঘোষণা’ গ্রহণের সময় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার উপস্থিতি, ২০১০ সালে এমডিজি অগ্রগতি পর্যালোচনায় উপস্থিতি এবং এবার এমডিজি থেকে ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডায় উত্তরণেও তার অংশগ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত লক্ষ্য এবং এগুলো অর্জনে প্রয়োজনীয় সম্পদের পরিমাণসহ বাংলাদেশ ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা জাতিসংঘে উপস্থাপনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমডিজির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন করে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যেও কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ এমডিজি-১, ২, ৩, ৪, ৫ ও এমডিজি-৬ পূরণ করেছে বা কোনো কোনো লক্ষ্য পূরণের পথে রয়েছে এবং দেশে দারিদ্র্য হার ১৯৯১ সালের ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, গত সাড়ে ৪ বছরে বাংলাদেশের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে। রফতানি আয় ২০০৬ সালের ১০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২৭ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রেমিট্যান্স ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৬ সালের ৩২০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ৯ হাজার ৫৯ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এখন ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল’ এবং ‘দক্ষিণ এশিয়ার মান বাহক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসব অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড এবং এফএও ফুড অ্যাওয়ার্ড ২০১৩ লাভ করেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে আমার উত্থাপিত ও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ‘জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন মডেল’-এ বর্ণিত নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে এ গৌরব অর্জন সম্ভব হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তার ভিশনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ‘স্টেট অব আর্ট’ হিসেবে গ্রহণ করেছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল সুবিধাসমৃদ্ধ ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে গ্রামের জনগণ দুই শতাধিক সেবা নিতে পারছে। গ্রামাঞ্চলে স্থাপিত প্রায় ১৫ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও গ্রামের নারীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারছে। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশে ১০ কোটির বেশি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে।

শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব, তার এই বিশ্বাসের উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন এবং ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষাই প্রধান চালিকাশক্তি। নারীর ক্ষমতায়ন এবং জীবনের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের মাধ্যমেই কেবল প্রত্যাশিত অগ্রগতি সাধন সম্ভব। এজন্য নতুন শিক্ষানীতিতে মেয়েদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের ১ কোটি ১৯ লাখ শিক্ষার্থী মাসিক উপবৃত্তি পাচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আইন ও নীতি প্রণয়ন করেছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৪ হাজারের বেশি নারী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছেন। বর্তমান সংসদে ৭০ জন নারী সংসদ সদস্য আছেন। ৫ জন নারী মন্ত্রী এবং একজন নারী সংসদের হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্ভবত বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ উপনেতা এবং বিরোধীদলীয় নেতা নারী। সরকারি চাকরিতে নারীর জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ তাদের বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং সশস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চতর পদে পৌঁছাতে সহায়তা করছে।

তিনি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান সরকারের জনগণের ক্ষমতায়নে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, ভিজিডি, ভিজিএফ, বাস্তুহারাদের বাসস্থান ও জীবিকা নির্বাহের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, ৪২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ মহিলা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান এবং ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ কর্মসূচির মাধ্যমে ১০ লাখ ৩৮ হাজার গ্রামীণ মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রয়াস বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধীদের আত্মকর্ম সংস্থানের জন্য শিক্ষাদান, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সুদবিহীন ঋণ দেয়া হচ্ছে। সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের এক শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। অটিজমসহ মানসিক প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বিশ্ব সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে উত্থাপিত বাংলাদেশের প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অটিস্টিকদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের অত্যাসন্ন চ্যালেঞ্জের প্রতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অনেক অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও সমুদ্রের পানির স্তর বেড়ে যাওয়ার অভিঘাত মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সমুদ্রের পানির স্তর ১ মিটার বাড়লে বাংলাদেশের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পানিতে তলিয়ে যাবে। এর ফলে প্রায় ৩ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে এবং অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে, যা দেশে এবং দেশের বাইরে এক মানবিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি জলবায়ুজনিত অভিবাসীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসন নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি আইনি কাঠামো তৈরির জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৪তম অধিবেশনে দেয়া তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কর্মপরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে ‘জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল’-এ পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকারমূলক কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানান।

মহান ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী একইভাবে জাতিসংঘের প্রতি ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান। তিনি তার এ প্রত্যাশা চলতি অধিবেশনে প্রস্তাব আকারে উত্থাপনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে শান্তি, সংস্কৃতি ও উন্নয়নের বাহন হিসেবে বিশ্বের সব মাতৃভাষা সুরক্ষায় তার এ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি জাতিসংঘের বাংলা ওয়েবসাইট ও একটি রেডিও অনুষ্ঠান চালু এবং ইউএনডিপি এশিয়া রিপোর্ট বাংলায় প্রকাশ করায় জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাকে জাতিসংঘের একটি অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করতে তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

গত ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার সময় থেকে তার সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসব লক্ষ্য অর্জনে নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার ও তথ্য কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত পৌনে ৫ বছরে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৫ হাজার ৭৭৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ৬৩ হাজার ৯৯৫ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। কোথাও কোনো অভিযোগ ওঠেনি। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম।

বিদেশ নীতি বিশেষ করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের রূপরেখা বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করা, আঞ্চলিক যোগাযোগ সুদৃঢ় করা এবং বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষার মাধ্যমে শান্তিকে স্থায়ী রূপ দিতে কাজ করছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক সৈন্য প্রেরণকারী এবং নিরস্ত্রীকরণ ও বিস্তাররোধ এজেন্ডায় সুদৃঢ় অবস্থানের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের এ অঙ্গীকার প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তার প্রধানমন্ত্রীত্বেরকালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ব্যাপকভিত্তিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি এবং মানববিধ্বংসী মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি অনুসমর্থন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বর্তমানে বাংলাদেশের ভূমিকা ন্যায় ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং নিরস্ত্রীকরণকে সমর্থন করে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিটি রাষ্ট্রের নিজস্ব পরিচিতির জন্য সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ২০১৫-পরবর্তী সময়ে শান্তি ও উন্নয়নে সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি, আন্তঃবিশ্বাস ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উৎসাহিত করা জরুরি।

সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও অপর্যাপ্ত বৈদেশিক সহায়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি অর্জন এবং ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো পূরণে উন্নয়ন সহযোগীদের অফিসিয়াল উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে তাদের মোট জাতীয় উৎপাদনের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ওডিএ হিসেবে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ দেয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

তিনি এলডিসিগুলোর পণ্য অন্যান্য দেশের বাজারে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্তভাবে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্রেটন উডস্‌ ইনস্টিটিউশনস ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে মতপ্রকাশে সমান অধিকার এবং জিএটিএস অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অবাধ যাতায়াতের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

0 Comments

জিএসপি স্থগিত রাখা শ্রমিকস্বার্থ বিরোধী: প্রধানমন্ত্রী

27/9/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশী পণ্যের জন্য জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বোঝানোর জন্য দেশটির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তাঁর হোটেল স্যুটে যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্সের যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্র“পের এক  বৈঠকে বলেন, জিএসপি স্থগিতের ফলে তা জিএসপি কমপ্ল্যাইয়েন্স এবং শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিতের পরিবর্তে শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব বিজন লাল দেব ও মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) সাদিয়া মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা এবং কমপ্ল্যাইয়েন্সের নামে জিএসপি সুবিধা স্থগিত সমর্থনযোগ্য নয়। কিছু দুর্ঘটনার কারণে জিএসপি সুবিধা স্থগিতও সমর্থনযোগ্য নয়। শিল্পক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনা বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এমনকি উন্নত বিশ্বেও অনবরত ঘটে থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আবারো তাদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে।তিনি এ প্রসঙ্গে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত গার্মেন্ট শ্রমিকদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকারের নেযা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
মার্কিন প্রতিনিধিদল জানায়, তারা জিএসপি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। কারণ তারা মনে করেন, নীতিগত দিক থেকে জিএসপি বাতিল সঠিক হয়নি। শিগগীরই জিএসপি সুবিধা বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের আশা প্রকাশ করে চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা ইতোমধ্যে মার্কিন সরকারকে তাদের মতামতের কথা জানিয়েছেন।গত বছর ঢাকায় ২৬ মে থেকে ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারবাহিকতায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল।
ইকবাল সোবহান জানান, বৈঠকে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এগিয়ে নিতে সরকারি ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি জানান, মূলত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বলছে, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার। তাই তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়।
মার্কিন দল মার্কিন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এছাড়া তারা ব্যবসা ও সরকারি নেতৃবৃন্দের মাঝে রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠানে তাদের আগ্রহের কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সমুদ্র উপকূলে ড্রিলিং-এ মার্কিন বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, মার্কিন কোম্পানীগুলো জ্বালানি খাতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ কার্যক্রম চালিয়ে যাচেছ। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মনোভাবের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিশ্বাস করে-বেসরকারি খাত অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি,যেখানে সরকার সহায়কের ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, তার সরকার বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগসহ কিছু খাত বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। অথচ এর আগের সরকারের আমলে এসব খাত সুবিধাভোগীদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে ছিল।
বাংলাদেশে বর্তমান বিনিয়োগ পরিবেশ আগের যে কোন সময়ের তুলনায় চমৎকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি ও বিদেশী বিনিয়োগের জন্য এসব খাত উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে উদার বিনিয়োগ নীতির পরিবেশ তৈরি করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। তিনি আশা করেন, মার্কিন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা উদার বিনিয়োগ নীতির এ সুযোগ গ্রহণ এবং বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগ করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার আঞ্চলিক যোগাযোগের ওপরেও গুরুত্বারোপ করেছে। এর ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আঞ্চলিক ব্যবসায় উপকৃত হবেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে মার্কিন ব্যবসায়ীরা কাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ মার্কিন বিনিয়োগ প্রায় আড়াই কোটি ডলার ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের গত ৫ বছরে এ পরিমাণ ১শ’ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত বছর প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ ১শ’ ৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে যার অধিকাংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিক অগ্রগতির লক্ষণ।মার্কিন প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ও বিনিয়োগ পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ডিসেম্বর নাগাদ দু’টি বোয়িং বিমানের সরবরাহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বোয়িং প্রতিনিধিকে অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, এ জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ক্রয় নির্দেশ জারি করেছে।
বাংলাদেশ ৪টি বোয়িং বিমান কেনার জন্য বোয়িং কোম্পানীর সাথে চুক্তি করে। ইতোমধ্যে ২টি বিমান সরবরাহ করা হয়। আরও ২টি সরবরাহের অপেক্ষায় আছে।
মার্কিন চেম্বার নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে শিগগির ঢাকা সফর করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাম্বাসেডর এর্ট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ এম ওয়াহিদুজ্জামান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন চেম্বার নেতৃবৃন্দ ‘ইউএসএ এন্ড বাংলাদেশ টুয়ার্ড দ্য ফিউচার ঃ পলিসি রিকমেন্ডেশন টু স্ট্রেন্থ’ দ্য ইউএস বাংলাদেশ কমাশিয়াল রিলেশনশীপ’ নামে একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।


0 Comments

দারিদ্র্য বিমোচনে এ পুরস্কার বাংলাদেশকে আরো  উৎসাহিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

24/9/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
রাজনীতি ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অসামান্য অবদান এবং দারিদ্র্য হ্রাসে তাঁর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন (আইওএসএসসি) সোমবার সন্ধ্যায় তার সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়।
দক্ষিণ-দক্ষিণ অঞ্চলের দেশগুলোর ত্রিমুখী সহযোগিতায় জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আইওএসএসসি গঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, সাউথ-সাউথ সদর দফতরের প্রেসিডেন্ট ও সাউথ-সাউথ নিউজ এ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিস লরেঞ্জো সংস্থাটির সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের জন্য এ পুরস্কার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী আইওএসএসসি এবং বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী, ফার্স্ট লেডি এবং আইওএসএসসি ভুক্ত দেশগুলোর সরকার প্রধানদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, এটি আমাদের দেশের জনগণ ও বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের স্বীকৃতি। এছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো- যারা দারিদ্র্য বিমোচনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার গ্রহণ করে আমি গর্বিত।
তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্যবিরোধী লড়াই বিশেষ করে ২০১৫ সাল নাগাদ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে আরও কঠোর ভূমিকা পালনে এ পুরস্কার বাংলাদেশকে উৎসাহিত করবে।এছাড়া ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের উন্নয়নে যে সমস্ত লক্ষ্য ঠিক করা আছে তা অর্জনে সমভাবে নিরলস কাজ করতেও এটি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে ফ্রান্সিসের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করেন।
বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ,জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, ইউএনডিপিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,দারিদ্র্য বিমোচনসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তারও ব্যাপক সংশি¬ষ্টতা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন,পৃথিবীকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে এবং জনগণ যাতে আরো উন্নত জীবন-যাপন করতে পারে সে লক্ষে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁর দেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবেন এবং একযোগে কাজ করবেন।
পুরস্কারটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী এ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে নির্বাচিত এবং সেবা করার সুযোগ দেয়ায় তিনি দেশের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।তিনি দারিদ্র্যের হার ২৬ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের ব্যাপক অর্জনের কথা তুলে ধরেন। উলে¬খ্য, ১৯৯১ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৫১ শতাংশ।
 শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছি। অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনাসহ স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, শিক্ষার প্রসার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত এবং জীবনমান উন্নয়নে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন গ্রামে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে আরো সাহায্য করবে।তিনি বলেন, বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশ যাতে মর্যাদাপূর্ণ আসন গড়তে সক্ষম হয় সে লক্ষে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর কন্যা সায়মা হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা.দীপু মনি, আওয়ামী লীগেরনেতা আমির হোসেন আমু,তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি,জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল এমপি, পার্লামেন্ট সদস্য,প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবালসোবহান চৌধুরী,জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী ওয়ালডর্ফ এস্টোরিয়া হোটেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত সংবর্ধনায় দেন।


0 Comments

দুই নেত্রীর সংলাপ: হাইকোর্টের রুলের শুনানি ২৬ সেপ্টেম্বর

22/9/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংলাপে বসার বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ২৬  সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ শুনানির এই দিন ঠিক করে  দেয়।রিট আবেদনকারী মো.ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই এদিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি  জেনারেল  মো.মোখলেসুর রহমান।
পরে মো.ইউনুস আলী আকন্দ বলেন,এই রিটের রুল শুনানির জন্য কয়েকদিন আগে আবেদন করেছিলাম। আজ আবেদনটি তালিকায় ছিল।আদালত আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছে।এর আগে  গত ২৭ মার্চ দুই  নেত্রীকে সংলাপে বসতে হাইকোর্ট এ  রুল জারি করেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছভাবে হতে এবং চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণের  জন্য দুই   নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া এবং  তাদের  জোটের অন্তর্ভুক্ত  দলগুলোকে সংসদের ভেতরে ও বাইরে রাজনৈতিক সংলাপের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে এ রুল জারি করেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি জাফর আহমদের বিশেষ বেঞ্চ।
রাজনৈতিক অধিকার ও কার্যক্রমের নামে  বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ,গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ‘অবৈধ কার্যক্রম’ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে কেন নির্দেশ  দেয়া হবে না, তাও ওই রুলে জানতে চাওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ গত ১৪ মার্চ এই রিট আবেদন করেন।
প্রাথমিক শুনানিতে আবেদনকারী পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুর হুদা বলেন,হরতাল একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এই অধিকার দিয়ে গাড়ি ভাংচুর, নির্দোষ মানুষের উপর আক্রমণ  বৈধতা  পেতে পারে না।
হরতালের মানে তো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। কিন্তু এখন এর মাধ্যমে ১৬কোটি মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে। এটা থেকে উদ্ধার পেতে হলে আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।আপনাদের হাত অনেক লম্বা। আপনারা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন এবং এ ধরনের কাজ প্রতিরোধ করতে পারেন।এ সময় আদালত বলেন, আমরাতো তাদের বসার জন্য বাধ্য করতে পারি না।
উত্তরে নাজমুল হুদা বলেন, রিটে সক্রিয়তা বা নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা যায়।দুই নেত্রীর কার্যকলাপ  দেশের বারোটা বাজাচ্ছে। আর তারা নিষ্ক্রিয় থেকে আলোচনায় বসছেন না। সুতরাং আপনারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারেন।
আমরাতো বেশি কিছু চাইছি না। আমরা কেবল একটা রুল চাইছি। তাদের আপনি রুল দিন। তারাই এসে বলুক, তারা কেন বসবেন বা বসবেন না। রুল শুনানির পর্যায়ে এখতিয়ারের বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির সুযোগ রয়েছে।সেখানে প্রয়োজনে শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের বলবেন, তারা অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে আসবেন।
প্রাথমিক শুনানিতে এম কে রহমান বলেন,দুই জোটের কোনো নিবন্ধন নেই। তাই এদের বিবাদী করা যায় না। নির্বাচন কমিশন জোটভুক্ত নিবন্ধিত দলগুলোকে সংলাপের জন্য ডেকেছিল। কিন্তু বিএনপিসহ অনেকেই তাতে সাড়া  দেয়নি।
এটি এমন একটি রাজনৈতিক বিষয়, যাতে রুল দিলে কে তা বাস্তবায়ন করবে- তা স্পষ্ট নয়। আর বাস্তবায়ন অযোগ্য বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ দিতে পারে না।
এর আগে গত ১৯ মার্চ এই রিটের ওপর প্রথম দিনের শুনানিতে ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায়  দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  দেশের মানুষের স্বার্থে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান ত্যাগ করে দুই নেত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে নির্দেশনা প্রয়োজন।
আদালত এ সময় বলে, সংলাপ ও নির্বাচন নিয়ে তো সংবিধানেই বলা আছে।জবাবে আবেদনকারী বলেন,বর্তমানে দুই প্রধান দলের মধ্যে বিদ্বেষপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন।

0 Comments

সংলাপে বসার জন্য প্রস্তুত বিএনপি: খালেদা

14/9/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বৃটিশ এমপি রুশনারা আলীর  নেতৃত্বে  দেশটির অলপার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয়  নেতা খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, সংলাপে বসার জন্য তার দল প্রস্তুত। সংলাপের ব্যাপারে নানা মহল  থেকে আহ্বান জানানো হলেও সরকার এখনো সাড়া দেয়নি।শুক্রবার সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শমসের মবিন  চৌধুরী। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা ৫০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা সাতটা ১০ মিনিটি পর্যন্ত খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় তার সঙ্গে অলপার্টির প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান প্রমুখ।
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি রুশনারা আলী। শুক্রবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় রুশনারা এ আহ্বান জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
শমশের মুবিন  চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই  বৈঠক হয়েছে। বিএনপি সংলাপের জন্য প্রস্তুত আছে, কিন্তু সরকার সংলাপের  কোন পরিবেশ  তৈরি করেনি।  সেই পরিবেশ  তৈরি হলেই বিএনপি সংলাপে যাবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ব্যক্তিগত সফরে ঢাকা পৌঁছান বাংলাদেশে জন্মগহণকারী এই প্রভাবশালী ব্রিটিশ এমপি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রুশনারা আলী ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেট সফর করবেন। তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন আগামী ১৮  সেপ্টেম্বর।

0 Comments

নৌকা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেবে, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস আর আসবে না: প্রধানমন্ত্রী

7/9/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে কখনোই জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা দিয়ে তাই আবারো  নৌকা মার্কায়  ভোট দিতে বললেন তিনি।
আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজকে সরকারি করার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে  ফের ক্ষমতায় আসতে পারলে সাক্ষরতার হার শতভাগে নিয়ে যাবেন। শনিবার রাজধানীর লালবাগে আজিমপুর স্কুল ও কলেজ মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
লালবাগ ও কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে আজিমপুর স্কুল ও কলেজের ছাত্রী, লালবাগ,  কোতোয়ালী ও আজিমপুর এলাকার বাসিন্দাসহ দলের  নেতাকর্মী, সমর্থকরা স্বাগত জানান।জনসভায় বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,যোগাযোগ ও আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক উন্নয়নের সূচকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মকাণ্ডের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জনভোগান্তি তৈরিতে বিএনপি-জামাত  জোট দায়ী। এ সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনী ওয়াদা বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগে  ভোট দিয়ে জনগণ কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে আমি আপনাদের কাছ  থেকে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। নৌকা শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেবে।জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস আর আসবে না। সরকার গঠন করতে পারলে সাক্ষরতার হার শতভাগে নিয়ে যাবো।
সমাবেশস্থলে  পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী লালবাগ থানার এলাকার আজিমপুর বিদ্যুৎ সাবস্টেশন ও  কোতয়ালি থানা এলাকার মিটফোর্ড বিদ্যুৎ সাবস্টেশন উদ্বোধন এবং লালবাগের শহীদ নগরে একটি মাতৃসদন, ইসলামবাগে একটি কমিউনিটি  সেন্টারের এবং প্রসন্ন  পোদ্দার লেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন।এরআগে প্রধানমন্ত্রী ইডেন মহিলা কলেজের এক হাজার আসন বিশিষ্ট ১১ তলা  হোস্টেল ভবনের উদ্বোধন।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তার স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় সমাবেশের একেবারে সামনের দিকে উপস্থিত ওই বিদ্যালয়ের শতশত ছাত্রী হর্ষধ্বনি দিতে থাকে।
বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিত ছাত্রী  বোনেরা’ কথাটি বলেই  শেখ হাসিনা বলেন, এখানে তো সবাই আমরা নাতির বয়সী।আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজের সরকারিকরণের   ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই স্কুলকে ঢাকার এক নম্বর স্কুল হতে হবে।
নিজের ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি এই স্কুল থেকেই উল্লেখ করে ছাত্র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ৬২ সালে ছাত্র আন্দোলনের সময় আমরা শিক্ষকদের এড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় গিয়ে বক্তব্য শুনতাম। বার্ষিক স্পোটর্সে  যেমন-খুশি তেমন-সাজোতে প্রথমও হয়েছিলাম। স্কুল  শেষে কদবেল কিনে কাঠি দিয়ে  খেতে  খেতে বাড়ি যাওয়া ছিলো সবচেয়ে আনন্দের।
৩২ মিনিটের বক্তব্যের শেষ দিকে  নৌকা প্রতীকে  ভোট চেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে লালবাগবাসী  নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিকে নির্বাচিত করে বঞ্চিত হন নাই। আর তারা ধানের শীষে ভোট চেয়ে  দেশকে খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করেছিলো।তিনি বলেন, আমি মা-বাবা, ভাইদের হারিয়েছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু  নেই। আমি চাই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াক।
আন্দোলনের কর্মসূচির নামে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় বিএনপি’র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন,বিরোধীদল গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না। তারা মানুষের শিক্ষা আর চিকিৎসা বোঝে না।আন্দোলনের নামে যানবাহন   থেকে মানুষ বের করে গায়ে আগুন দিয়ে মারছে। পুলিশ, বিজিবি আর  সেনাসদস্য মারছে।
নির্বাচনের আগে বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় বলে মন্তব্য করে  শেখ হাসিনা বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। তারা বলেছিলো, শাপলা চত্বরে হাজার হাজার  লোক মরেছে। আমরা যখন তালিকা চাইলাম, তখন হাজার হাজার লোক ৬১ জন হয়ে গেলো। তারমধ্যে আবার ২৫ জনের ঠিকানা  নেই। আর, তিনজন জীবিত ঘুরে  বেড়াচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “হুমকি-ধমকিতে কাজ হয়নি। হেফাজতের হুজুররা শাপলা চত্বরে বসেছিলো। তাদের খাওয়াবেন বলে দু’শো গরু জাবাই দেওয়ার কথা বলেও তাদের খাওয়ান নাই।
লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, কামরুল ইসলাম, শেখ ফজলে নূর তাপস, আশরাফুন্নেসা মোশাররফ, পংকজ  দেবনাথ, এ এইচ এম বদিউজ্জামান  সোহাগ প্রমুখ।


0 Comments
    Picture

    নিউজ সার্চ

    All
    আওয়ামী লীগ
    আওয়ামী লীগ
    ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি
    ইসলামী ঐক্য জোট
    এলডিপি
    ওয়ার্কার্স পার্টি
    কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ
    গণতন্ত্রী পার্টি
    গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা
    গণফোরাম
    জনসংহতি সমিতি
    জাতিসংঘ
    জাতীয় পার্টি
    জামায়াত
    জাসদ
    নির্বাচন কমিশন
    বাংলাদেশ
    বাংলাদেশ
    বাসদ
    বিএনপি
    বিএনপি
    ভারত
    সরকার
    সার্ক
    সিপিবি
    হাইকোর্ট
    হেফাজতে ইসলাম

    নিউজ আর্কাইভ

    April 2018
    March 2018
    February 2018
    January 2018
    December 2017
    November 2017
    October 2017
    September 2017
    August 2017
    July 2017
    June 2017
    May 2017
    April 2017
    March 2017
    March 2016
    September 2015
    August 2015
    January 2015
    December 2014
    November 2014
    January 2014
    December 2013
    November 2013
    October 2013
    September 2013
    August 2013
    July 2013
    June 2013
    May 2013
    April 2013
    December 2012
    November 2012
    May 2012
    March 2012
    February 2012
    January 2012
    December 2011
    November 2011
    October 2011
    September 2011
    August 2011
    July 2011
    June 2011
    February 2011
    November 2010
    October 2010
    September 2010
    August 2010
    July 2010

    Top
Powered by
✕