appbangla.com
  • হোম
    • যোগাযোগ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
  • রাজনীতি
  • বিশেষ সংবাদ
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • বিনোদন
  • খেলা
  • ফিচার
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • মিডিয়া

খালেদা জামায়াতের আমির হলে হাসিনা জাপার নেত্রী: বিএনপি

25/1/2014

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামায়াতের আমির বলার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি বলেছে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী  জোট আছে। তবে দুটি দলের মধ্যে নীতি-আদর্শের ফারাক বিস্তর। জামায়াতের নিজস্ব কর্মপন্থা আছে।বিএনপি চেয়ারপারসন জামায়াতের আমির-প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বিএনপি  নেত্রী জামায়াতের আমির হলে, প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টির  নেত্রী।

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট ভোটের রাজনীতির বলেও মন্তব্য করেন তিনি।শুক্রবার দলের  কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান  শনিবার যশোরে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামায়াতের আমির বলে উল্লেখ করেন।প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বক্তব্যের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তুই তুকারি করে বক্তব্য  দেওয়া সভ্য-সংস্কৃতির অংশে পড়ে না। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের  যে ট্রেন চলেছে, তার যাত্রীরা ছিল টিকিটবিহীন, অবৈধ যাত্রী। বিএনপি অবৈধ যাত্রী হতে চায়নি।  সে ট্রেনে  কোনো টিকিট  চেকার ছিল না। তবে যদি  কোথাও  মোবাইল  কোর্ট বসে, তাহলে বিনা টিকিটের যাত্রীদের  জেল-জরিমানা হবে। তাই তাদের ভয় নিয়ে চলা উচিত।

বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে   কোনো ভুল করেনি বলেও দাবি করেন আসাদুজ্জামান। তিনি আওয়ামী লীগকে আরও সহনশীল ও উদার হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘নির্বাচনে যোগ না দিয়ে বিএনপির  নেতা বুঝতে  পেরেছেন যে তিনি কত বড় ভুল করেছেন। তিনি আমাদের  গোপালি বলে গালি দেন। এখন যদি আমি বলি,  গোলাপি  রে  গোলাপি  ট্রেন  তো মিস করলি, তাহলে উনি কী বলবেন?খালেদা জিয়া জামায়াতের আমির’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিপন বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শগত বিস্তর ফারাক। তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি আছে। তাদের সঙ্গে আমাদের  পজাট হলো   ভোটের রাজনীতির। 

এক প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন, আজ নবম সংসদের   মেয়াদ   শেষ হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী ২৫ জানুয়ারি দশম সংসদের এমপিদের শপথ   নেয়ার কথা, কিন্তু আগেই তাদের শপথ নিয়ে  পয   গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে তা অবৈধ। আমরা এটাকে   বৈধ প্রক্রিয়া বলে মনে করি না। এছাড়া দশম সংসদ নির্বাচনকে জনগণ স্বীকৃতি  দেয়নি। তাই এ নিয়ে কথা বলতে চাই না।
 
বিএনপি নির্বাচনের  ট্রেন ফেল করেছে- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে জবাবে তিনি বলেন,  ট্রেন একটি চলেছে ঠিকই, তবে এর যাত্রী ছিল অবৈধ। আমরা অবৈধ যাত্রী হতে চাই না। কারণ  যেকোনো সময় মোবাইল কোর্টের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সরকারকে বলবো, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন এমন হুঙ্কার না দিয়ে ভয় নিয়ে চলুন। অবৈধ যাত্রী হিসেবে নরম সুরে কথা বলুন। অন্যথায় পতন হবে পাশাপাশি জরিমানাও দিতে হতে পারে।
 
বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়া ভুল ছিল কি-না তা যথাসময়ে প্রমাণ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।অবিলম্বে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই  নেতা।
 
 দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এর জন্য দায়ীদের খুঁজে  বের করে শাস্তি দাবি করেন রিপন। একই সঙ্গে প্রয়োজনে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত কমিশনও গঠনের দাবি করেন তিনি।
 
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি নেতা রফিক শিকদার, যুবদল  নেতা আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 Comments

আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি বলেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা: গয়েশ্বর

25/1/2014

0 Comments

 
Pictureগয়েশ্বর চন্দ্র রায়
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বস্ত্র দিয়ে সব লজ্জা ঢাকা যায় না। কিছু লজ্জা আদর্শের। রাজনৈতিক দলের আদর্শ হলো তার প্রাণ। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কথা বলে তা রক্ষা করতে পারেনি।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের  লোকজন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  ভোট  দেয়নি বলেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির  এ সদস্য ।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মাহমুদুর রহমান মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ‘বন্ধ মিডিয়া চালু-মাহমুদুর রহমানের মুক্তি-সংকটে গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার একটাই কারণ।  মোট  ভোটারের ১৩ শতাংশ এই সংখ্যালঘুরা কথিত নির্বাচনে  ভোট  দেয়নি। এই ১৩ শতাংশ  ভোট পড়লে কথিত প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার একটু হলেও লজ্জা ঢাকার সুযোগ হতো।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, যখন নির্বিচারে  গ্রেফতার ও গুম চলতে থাকে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়, তখন গণতন্ত্র টিকে থাকে না। সশস্ত্র  পেটোয়া বাহিনী দিয়ে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখা যায় না।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,  র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, দলীয় ক্যাডার থাকার পরেও মানুষ  ভোট দিতে পারেনি কেন? অনেক প্রার্থী  ভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন  কেন?সরকারের গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন  ভোট কারচুপি করেছে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একদিকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে, অপরদিকে তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী গান  গেয়ে পিঠা-পায়েশ খাওয়ার উৎসব করেন। কতটা নির্লজ্জ হলে মানুষ এমন আচরণ করতে পারে। ৫  কোটি  ভোটার তাদের অধিকার হারিয়েছে। ৪  কোটি  ভোটারই এই কথিত নির্বাচনকে ‘না’ বলেছে। ৪৮টি  কেন্দ্রই ছিল ভোটার শূন্য।

গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পড়েছি। কিন্তু বর্তমানের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা অদ্ভুত। এই গণতন্ত্র ইজ দ্য ইন্ডিয়া, বাই দ্য ইন্ডিয়া, ফর দ্য ইন্ডিয়া।

একটি জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে গয়েশ্বর রায় সরকারের কাছে জবাব  চেয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থন ৩০ ভাগ, জামায়াতের আড়াই ভাগ, জাতীয় পার্টির সাড়ে ৭ ভাগ এবং ৫৩ ভাগ মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করে।  

 নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) গৃহপালিত সংস্থা উল্লেখ করে বিএনপির এই শীর্ষ  নেতা বলেন, ডানে-বায়ে সংখ্যা ও শূন্য বসিয়ে এই কমিশন  বেশি  ভোটার উপস্থিতি  দেখিয়েছে। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি, তাহলে  কেন এই কারচুপি?

বিএনপি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র সফল হবে না উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এই সরকার প্রতিটি বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীর মতো ব্যবহার করছে। বিএনপি আদর্শে গড়া দল, সিরাজ শিকদারের সর্বহারা ও জাসদের গণবাহিনী নয়।

বরং আওয়ামী লীগেরই কোনো রাজনৈতিক আদর্শ  নেই দাবি করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আওয়ামী লীগ হ্যাজ পলিটিক্যালি ডেড। তাদের কাছে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়।

আওয়ামী লীগ সংবাদ মাধ্যম নিপীড়নে বেপরোয়া হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। গণমাধ্যমকর্মীরাই সাগর-রুনির পরিণতি ভেবে উদ্বেগে থাকেন।অবশ্য, গণমাধ্যম না হয়ে আওয়ামী মাধ্যম হলে অন্য কথা।

মাহমুদুর রহমান মুক্তি সংগ্রাম পরিষদে উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম  হোসেন (নান্নু) চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বাধীনতা  ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রেজাউল কবির শিকদার  রেজা প্রমুখ।

0 Comments

খালেদা জিয়া গৃহবন্দি: বিএনপি

1/1/2014

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সফলভাবে পালিত হওয়ায়  দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেছেন, দলের  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দির মাধ্যমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে গুলশানে সেলিমা রহমান তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।১৮দলীয়  জোটের ষষ্ঠ দফায় ডাকা অনির্দিকালের অবরোধের প্রথম দিনের পরিস্থিতি তুলে ধরতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচির আগের দিন গত শনিবার  থেকে বিএনপির  চেয়ারপারসনের বাসার সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য  মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি বাসার ফটকের দুই পাশের রাস্তায় বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। ২৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া পুলিশের বাধার মুখে বাসা  থেকে বের হতে পারেননি। বুধবারও তাঁর বাসভবন এলাকায় আগের মতোই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভাইস  চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়া গৃহবন্দি। আমরা এ অবস্থা  থেকে তাঁর মুক্তি চাই। তিনি বলেন, সত্যিকারের গণতন্ত্র চাইলে বিএনপির  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবাধ চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে হবে।

 সেলিমা রহমান বলেন, মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি  ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই খালেদা জিয়ার বাসার দুই দিকে বালুর ট্রাক দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী অবরুদ্ধ করে  রেখেছে। কোন নেতা-কর্মীকে দেখা করতে দিচ্ছে না। দেখা করতে  গেলে  গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলীয়  নেত্রীকে অবরুদ্ধ রেখে সরকার চরম ফ্যাসিবাদ ও রাজনৈতিক  দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে।

বিএনপির এই  নেত্রী অভিযোগ করেন, আজও সরকার সারা দেশে  যৌথবাহিনী দিয়ে ১৮ দলীয়  জোটের নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি হামলা চালাচ্ছে এবং গণ- গ্রেপ্তার করছে।  দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে ও আহত করছে।

 তিনি বলেন, এভাবে যৌথবাহিনী দিয়ে  নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গণগ্রেপ্তার করে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। গণদাবির চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক বলেও  সেলিমা রহমান মন্তব্য করেন।  

সেলিমা রহমান বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আবারো আহবান জানাই-এখনও সময় আছে, দেশ-জাতি ও জনগণের স্বার্থে আত্মঘাতি পথ পরিহার করুন। প্রহসনের নির্বাচনী তফশীল বাতিলের ব্যবস্থা নিন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবী মেনে নিন। বিরোধী দলীয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন, তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয় সহ বিএনপি’র সদর দপ্তর অববোধমুক্ত করুন। নইলে আপনার প্রায় ডুবন্ত নৌকা মাঝিমাল্লা সহ নিমজ্জিত হবেই। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ্।

তিনি আরো বলেন, অবৈধ সরকারের নিষ্ঠুর জুলুম-নির্যাতনের পরেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আহবানে চলমান শান্তিপূর্ণ ৬ষ্ঠ দফা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন স্বত:স্ফুর্ত ও সাফল্যজনকভাবে পালিত হওয়ায় ১৮ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেশবাসী এবং বিএনপি সহ ১৮ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান তিনি।

 রাজপথের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং তাদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে সেলিমা রহমান বলেন,  যৌথবাহিনী দিয়ে গোটা দেশে যে বিভিষিকাময় অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ করুনএবং  গ্রেফতারকৃত শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল নেতা-কর্মীর নি:শর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন তিনি । 


0 Comments

মিথ্যা মামলায় গণজোয়ার ঠেকানো যাবে না: খালেদা

30/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: চলমান আন্দোলন ঠেকাতেই শেষ অস্ত্র হিসেবে সিনিয়র  নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু মামলা দিয়ে  কোনো লাভ হবে না। এ গণজোয়ার ঠেকানো যাবে না।  গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি  চেয়ে সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,  স্বৈরশাসকদের মতো আচরণ করবেন না। এমন আচরণ করলে তার অনুরূপ জবাব  দেওয়া হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি  দেন তিনি। বিবৃতিতে  নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানান বিএনপি  চেয়ারপারসন। তিনি বলেন,আমি তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর শাখার আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু এমপি, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক স¤ক্সাদক গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপি অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাছির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হামিদুল ইসলাম হিরু, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর  উত্তরের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রওশন, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ড. মাসুদসহ আমাদের দলের ও ১৮ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গাড়ী পুড়ানোর উস্কানী দেয়ার দায়ে মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে। 

খালেদা জিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দেশের অবস্থা বিস্ফোরনোম্মুখ একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার উদ্যোগ  বাসনায় সরকার দেশকে এক চরম অনিশ্চয়তার পথে ঠেলেছে। সংলাপ ও সমঝোতার আহবান তারা বরাবরা উপেক্ষা কিংবা চাতুর্যের মাধ্যমে এড়িয়ে যাচ্ছে। বশংবদ নির্বাচন কমিশন এই আগুনে ঘি ঢেলেছে। তড়িঘড়ি করে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে, এর বিরুদ্ধে জনগণ শান্তিপুর্ণভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদ শুরু করলে সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনীভাবে  ব্যবহার করে এবং গোয়েন্দা ও দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে পরিস্থিতিকে সংঘাতপ–র্ণ করে তুলেছে। 

তিনি বলেন, এর আগে বিএনপি‘র জাতীয় স্থায়ী কমিটির চারজন সিনিয়র সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এমপি, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার এমপি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আ স ম হান্নান শাহ, আমার উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির সাংগঠনিক স¤ক্সাদক সাবেক রাষ্ট্রদ–ত গোলাম আকবর খন্দকার এবং আমার ব্যক্তিগত সহকারী পরিবহনের শ্রমিক নেতা এ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ বিএনপি ও ১৮ দলের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে তাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। সকল মহলের দাবি ও অবস্থান উপেক্ষা করে তাদেরকে সরকারে আটক রাখা হয়েছে এবং পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। 

খালেদা জিয়া বলেন,  অথচ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পিয়াস করিমের বাসায় সশস্ত্র হামলা, গুলশান থানায় বোমা আক্রমণ, চট্রগ্রামে  বোমাবাজী, ঢাকার আজিমপুরে গাড়ী পোড়ানোসহ বিভিন্ন ঘটনায় শাসক দল ও এর সহযোগী সংগঠনের লোকজনকে পুলিশ হাতেনাতে ধরার পরেও তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে আমার বাসায় বোমা হামলার প্রকাশ্য হুমকি দেয়া সত্বেও ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে উস্কানীর দায়ের কোন মামলা হয়নি। 

বিএনপি  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া  বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে বিরোধী দলের লোকদের মালিকানাধীন যানবাহনে হামলা ও অগ্নি সংযোগের প্রকাশ্য উস্কানী দিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে উস্কানী দায়েরের অভিযোগে কে মামলা করবে? আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শান্তিপ–র্ণ আন্দোলনের কর্মসুচি ঘোষণা করেন। কিন্তু যানবাহন ভাঙচুরের বিরুদ্ধে সতর্ক করে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানিয়েছেন।অথচ সেই বও“ব্য বিকৃত করে তার বিরুদ্ধে উস্কানীর মামলা দেয়া হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে আমাদের দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পুলিশী হয়রানির কারণে নিজেদের  বাসায় থাকতে পারে না। তাদের বাড়ীতে তল্লাশী চালানো হয়েছে। আমাদের যে নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্য জীবন যাপন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তাদেরকেই আজ নাশকতার উস্কানী দেয়ার অভিযোগে মামলার আসামী করা হয়েছে। আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে সরকার দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ  করে রেখেছে দলের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে, সেই অবরুদ্ধ কার্যালয়ে আটকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় দলের বক্তব্য নিয়োমিত প্রচার করছেন। সেই সুযোগটুকু বন্ধ  করে দিতে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। 

বেগম জিয়া বলেন,দল ও জোটের নেতাকর্মীদের সাহস, ঐক্য ও দৃঢ়তা নিয়ে আন্দোলনের কর্মসুচি সফল করার আহবান জানাচ্ছি।দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ তথা দেশবাসীকে আমাদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে শরীক হবার আহবান জানাচ্ছি। একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আটক নেতা-কমীদের মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, স্বৈরশাসকের পথ বেছে নিবেন না। তাহলে পরিনতি স্বৈরশাসকদের মতোই হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে সংলাপের মাধ্যমে নিদর্লীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের পথ খুলে দিন। শান্তি, স্থিতি, নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র অব্যাহত রাখুন।  

এই পরিস্থিতিতে আমি দেশবাসীকে শান্তিপ–র্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবার আহবান জানান বিএনপি  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ।এছাড়া পুলিশের গুলি ও সুপরিকল্পিত নাশকতায় যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা  করেন এবং তাদের পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান বেগম জিয়া । 


0 Comments

অবিলম্বে বিএনপি নেতাদের মুক্তি দেওয়া উচিত: জার্মান রাষ্ট্রদূত

29/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা:  কারাগারে  গ্রেফতারকৃত বিএনপির সিনিয়র  নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি  দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আলব্রেখট কনজে।
বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে  সৌজন্য সাক্ষাৎ  শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, ওইসব  নেতাদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয় রয়েছে। তারা সহিংসতা সৃষ্টি বা সহিংসতার  পেছনে  কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। তাদেরকে  যেকোনো উপায়ে সরকারের মুক্তি  দেওয়া উচিত।

বর্তমান সহিংস পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে ইউরোপের  দেশগুলো গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

রাষ্ট্রদূত মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছাড়  দেয়ার মানসিকতা থাকলে  শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে।

0 Comments

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ আটক

25/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার  জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর  গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এদিকে আ স ম হান্নান শাহকে  গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ায় সকাল সন্ধান হরতাল ঘোষণা করেছে বিএনপির  ।

 সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ভাটারা থানার নতুনবাজার মোড়   থেকে সাদা  পোশাকে একদল পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা হান্নান শাহ’র আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এছাড়া ডিএমপি মিডিয়া  সেন্টারের সহকারি কমিশনার আবু ইউসূফও হান্নান শাহকে আটক করার খবরের সত্যতা স্বীকার করেন।

জানা  গেছে, জাপানের ন্যাশনাল  ডে উপলক্ষে জাপানি রাষ্ট্রদূতের বাসায়  নৈশভোজের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে  ফেরার পথে নতুন বাজার এলাকায় সাদা  পোশাকের পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।জাপানি রাষ্ট্রদূতের বাসায় ওই অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলীয়  নেতাসহ অনেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। সন্ধ্যা ৭টা  থেকেই ওই অনুষ্ঠানে যোগ  দেন আওয়ামী লীগের  তোফায়েল আহম্মেদ, আমির  হোসেন আমু, শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর  ছেলে জয়ের স্ত্রী।

বিএনপির পক্ষে  যোগ  দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন  চৌধুরী ও হান্নান শাহ।এছাড়া জামায়াতের ব্যারিস্টার রাজ্জাক ও মীর কাশেম আলীর  ছেলে ব্যারিস্টার আরমান আলী অনুষ্ঠানে  যোগ  দেন।  

হান্নান শাহের আটকের খবর বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে  নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এ সময় গা ঢাকা  দেন।গুলশানে বিএনপির কার্যলয়সহ আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ  মোতায়েন করা হয়েছে। 


0 Comments

দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ১৮ দলের

25/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: নির্বাচনের  ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার সকাল  থেকে ৪৮ ঘণ্টা দেশজুড়ে অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি  নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। সোমবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এর কয়েকঘণ্টা আগে ৫ জানুয়ারি  ভোটে দিন  রেখে দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণা করে ইসি।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণা করার পর রাত ৮টার দিকে নিজ কার্যালয়ে ১৮ দলের  নেতাদের নিয়ে  বৈঠক করেন বিএনপি  চেয়ারপারসন  বেগম খালেদা জিয়া। বৈঠক  শেষে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে অবরোধ কর্মসূচি  ঘোষণা করেন।

 ঘোষণায় তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের তফসিল  ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে ১৮ দল। আর এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার  ভোর ৬টা  থেকে বৃহস্পতিবার  ভোর ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণা করে এই সরকার চরম কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচনের নামে  কোনো প্রহসনে ১৮-দলীয়  জোটসহ বিরোধী অন্য দলগুলো অংশ  নেবে না। আমরা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসনের এই প্রক্রিয়ায় অংশ না  নেওয়ার জন্য  দেশবাসীসহ সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, একতরফাভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তাঁদের আন্দোলন আগের  চেয়ে নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। অবরোধ কর্মসূচির  শেষে আরও কঠোর কর্মসূচি  দেওয়ার ঘোষণাও দেন মির্জা ফখরুল।

0 Comments

আশরাফ-ফখরুল বৈঠক এজেন্ডা বিহীন: হান্নান শাহ

25/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: নানা রহস্য আর নাটকিয়তার পর দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ের  বৈঠকের কথা স্বীকার করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ। কোনো এজেন্ডা ছাড়াই মহাসচিব পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি বলেও জানান তিনি। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘চলমান রাজনৈতিক সংকট ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য  মেজর (অব.) মিজানুর রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে  মেজর (অব.) মিজানুর রহমান মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ। 

হান্নান শাহ বলেন, ‘উনি নির্দেশনা দিয়ে  গেলেন, আমাদের মহাসচিবকে বললেন যে আপনারা আলোচনা করেন। তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন সূত্র  থেকে ওই বৈঠক সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তাতে জানা যায়, ‘আলোচনার ফলাফল বলার মতো নয়।  সেখানে কোনো এজেন্ডা ছিলো না। কোনো এজেন্ডা ছাড়াই দুই মহাসচিব পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে তবে ফলপ্রসূ  সে আলোচনা হয়নি। আর বর্তমান সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান বিএনপির এ  নেতা।

হান্নান শাহ বলেন, আমি পত্র-পত্রিকা ও অন্যান্য সূত্র  থেকে জানতে  পেরেছি  যে ওই আলোচনার ফলাফল এখন পর্যন্ত বলার মতো কিছু নাই। কারণ  কোনো এজেন্ডা ছিলো না এবং সমাধানের দিকে যাচ্ছে  সেটাও বলা যাচ্ছে না। শুনেছি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বারবার বলেছেন  যে, আমি  তো বলতে পারবো না, আমার  নেত্রী যা বলবেন  সেটাই হবে। আর আবার যখন অন্য একটা প্রশ্ন  দেয়া হলো এ পদ্ধতি গ্রহণ করেন তখনও তিনি বলেন, আমি বলতে পাবো না,  নেত্রী যা বলেন তাই হবে।

 সৈয়দ আশরাফ বার বার বলেছেন, আমি কিছু বলতে পারবো না, নেত্রী যা বলবেন আমি তাই করবো।... তিনি কর্তার (প্রধানমন্ত্রী) ইচ্ছায় কর্ম করেন। প্রধানমন্ত্রী আলোচনার ব্যাপারে আমাদের মহাসচিবকে বললেও আশরাফ সাহেবকে কিছু বলেননি।’

অর্থবহ সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে হান্নান শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালনের পর আশা করি সৎ জীবন-যাপন করবেন। এমন  কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যাতে সংকট সমাধান হবে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত হবে।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সতর্ক করে হান্নান শাহ বলেন, এরশাদ আপনার মহাজোটের পার্টনার। শুনেছি আপনাদের মধ্যে ভাই- বোনের সম্পর্ক।বর্তমান সরকার ফুল বিদেশি সাপোর্টে  সরকার পরিচালনা করছে’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের হয়ে রাজকারি করছে। আর এর  নেতৃত্ব দিচ্ছেন  শেখ হাসিনা।

চলতি বছরের ২১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে  বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমা করে  দেওয়ার বিষয়ে  যে কথা বলেছেন  সে বিষয়ে হান্নান শাহ বলেন, উনাকে যারা কটুক্তি করেছেন উনি তাদের ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা করে দিতে পারেন।কিন্তু দেশের হাজার হাজার মানুষকে যে হত্যা করা হয়েছে। সে বিষয়ে মাফ করা হবে কি-না তা জনগণ বিবেচনা করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আজকের এই অস্তিত্ব সংকট  থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে সকল ভেদাভেদ ভুলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাজপথে নেমে আন্দোলন করার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার  নেতৃত্বে একদলীয় নির্বাচন রুখে  দেব। বাংলার মাটি নিয়ে ছিনিমিনি  খেলার সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে সারা বাংলাদেশ অচল করে দিয়ে  শেখ হাসিনার পতন ঘটানো হবে। 

সংগঠনের উপদেষ্টা ও জাতীয়তাবাদী তৃণমূল দলের সাধারণ সম্পাদক আকবর  হোসেন ভূইয়া নান্টুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর (অব) রুহুল আলম  চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাঈল  হোসেন  বেঙ্গল প্রমুখ।

0 Comments

মামলা ও গুলি চালিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না: বিএনপি

25/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মহাসচিব পর্যায়ের  বৈঠকের খবর গুজব, ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহল কবির রিজভী। তিনি আরও বলেন, গণবিরোধী সরকার মনে করছে বন্দুকের গুলিই তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে। কিন্তু নির্যাতন হামলা মামলা ও গুলি চালিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।

রোববার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। সারাদেশে ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিল চলকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা, নির্যাতন ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে বৈঠকের খবর ভিত্তিহীন বলে নিজেই দাবি করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে  রোববার সকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ  বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত আবার বিকেলে নিজের বক্তব্য ফিরিয়ে  নেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তেব্যে রিজভী বলেন, সরকার  দেশ পরিচালনায় কাণ্ডকজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। কথায় কথায় তারা বিরোধী দলের উপর হামলা নির্যাতন গুলি চালাচ্ছে। সরকারের নির্দেশে তাদের ইচ্ছেমতো পুলিশবাহিনী বিরোধী দলের উপর দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে। কারা কী করছে তা আমাদের কাছে রেকর্ড রয়েছে।

রিজভী বলেন, সারাদেশে ১৮ দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সন্দ্বীপের স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এখনো তার বাসভবন ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। এসময় সারাদেশে ১৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী  গ্রেপ্তার ও ১৫০ জনের অধিক আহত হয়েছে।’ তিনি  গ্রেপ্তারকৃত সব  নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তুলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের নিজের দাবি করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান  থেকে মুছে দিয়ে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে আবার ক্ষমতায় বসে থাকতে চায়। তাদের  সে ইচ্ছা পূরণ হবে না। 

0 Comments

গণতন্ত্র ধ্বংসকারী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে হবে: ফখরুল

24/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: গণতন্ত্র ধ্বংসকারী সরকারে বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন,  দেশের বর্তমান  যে অবস্থা তা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র থাকবে না।
ফখরুল বলেন, এই বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার। এই সরকারে নির্বাচন পরিচালনার কোনো  নৈতিক অধিকার নেই ।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি  হোটেলে ‘দি পলিটিক্যাল থট অব তারেক রহমান’ শীর্ষক বইয়ের  মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এমবিএ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব)।

নির্বাচন কমিশনাররা তাদের শপথ ভুলে  গেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন,তারা (নির্বাচন কমিশনাররা) একবারও কি চিন্তা করেন না, তারা ওয়াদাবদ্ধ, প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। একটি  লেভেল  প্লেইং ফিল্ডে নির্বাচন করার জন্য তারা শপথ নিয়েছেন। কিন্তু তারা তা করতে পারছেন না।

ফখরুল বলেন, আমরা সুখে  নেই,  দেশ এক অন্ধকার তিমিরে ডুবে যাচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-নির্যাতন,  গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে  দেশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা থাকবে না।

গণতন্ত্র ধ্বংসকারী এই সরকারকে হটানো ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই। তাই তরুণ সমাজসহ সবাইকে জেগে উঠতে হবে। আজ আমাদের শপথ হোক, এই সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় সরকার অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করব।

সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আলমগীরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিয়া, বিএনপি  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, আমির খসরু মাহমুদ  চৌধুরী, শওকত মাহমুদ,  জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. খন্দকার  মোস্তাহিদুর রহমান,  শিক্ষক আব্দুল লতিফ মাসুদ, ঢাবি শিক্ষক ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার,  প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক  সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।


0 Comments

সরকারের বোধোদয় না হলে করুণ পরিণতি: রিজভী

23/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মুহূর্তেই সারাদেশ অচল হয়ে যাবে। সরকারের  বোধোদয় যদি না হয় তাহলে করুণ পতনের জন্য তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।
শনিবার  বেলা ১১টায় দলের নয়াপল্টনের  কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই হুঁশিয়ারি  দেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে ‘দলছুট, নীতিছুট মানুষ’ বলে আখ্যায়িত করেন রুহুল কবির রিজভী ।এ মুহূর্তে  দেশে  কোনো বিরোধীদল  নেই- অর্থমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে তিনি এ ধরনের কথা বলেছেন। উনি বয়স্ক মানুষ কখন কী বলেন তার ঠিক  নেই।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে রুহুল কবির আহমেদ রিজভী প্রশ্ন রাখেন তিনি (অর্থমন্ত্রী) কী গণতন্ত্র মানেন? তিনি  তো এরশাদ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন।সংসদে প্রধান বিরোধীদল বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সরকার গণদাবি উপেক্ষা করে এক তরফা  যে নির্বাচনের চক্রান্ত করছেন, আমরা  সেই নীল নকশার নির্বাচন হতে  দেব না।

বর্তমান মন্ত্রিসভাকে অসাংবিধানিক দাবি করে তিনি বলেন, এ সরকার তার সকল  বৈধতা হারিয়েছে।  যে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে না,  সে নির্বাচন অজেয় জনগণ সকল শক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে।

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হতে হবে।  গোটা বিশ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি  দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী পাতানো নির্বাচন করতে পারবেন না। তফসিল  ঘোষণামাত্র সারা  দেশ অচল হয়ে যাবে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশ অচল করে  দেয়ার জন্য প্রস্তুতির  ঢেউ  লেগেছে।

রিজভী বলেন,  দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্বাচনকালীন আস্থাশীল ও নিরপেক্ষ অন্তবর্তী সরকার গঠনের আহ্বান জানালেও প্রধানমন্ত্রী ও তার পওধান অনুচর পার্শ্বচররা একটি একতরফা নির্বাচন করার জন্য উঠে পড়ে   লেগেছে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট  যে ঘুর্ণিপাকে পড়েছে  সে বিষয়ে  শেখ হাসিনা ভ্রুক্ষেপহীনই থাকছেন। তিনি ভাবছেন-বিরোধী দলের অসংখ্য লাশ ডিঙ্গিয়ে তিনি তার লক্ষ্য হাসিল করতে পারবেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মূলনীতি এবং সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রধানমন্ত্রীর কাছে খুবই অপছন্দের। সুতরাং একদলীয় শাসনের যে জিন তিনি বহন করছেন এটি তাকে সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী সংযোজনে সহায়তা করেছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী মূলত: চতুর্থ সংশোধনীরই নামান্তর। বাকশাল এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর  পোষাকের রঙ একই।  দেশের ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ীভাবে আঁকড়ে ধরার জন্যই পঞ্চদশ সংশোধনী সংসদে পাস করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, শাসকদলের গত নির্বাচনে তাদের ইস্তেহারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। সুতরাং জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তারা এই ব্যবস্থা বাতিল করেছে একটা গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে।  সেই চক্রান্ত এখন উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। এ জাতির ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য একক কর্তৃত্বাধীনে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে এখন সম্রাজ্ঞী করে তুলবার জন্যই পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানে আনয়ন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, নানা  শ্রেণী- পেশার সংগঠন,  দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ,জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ  দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার পক্ষে। এমনকি শাসকদল এবং  জোটের অধিকাংশ  নেতৃবৃন্দ্র সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা  রেখে  দেয়ার পক্ষে  জোরালো মত দিয়েছিলেন। কিন্তু  যেদেশে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছায় রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় সেখানে জনমতের কিইবা দাম আছে। বিএনপি  নেতৃত্বাধীন ১৮ দল নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের জন্য ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। আর এই কর্মসূচি অমানবিক কঠোরতায় দমন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তার বিশ্বাসভাজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য এবং তাদের সশস্ত্র অনুগামীদের হামলার মাধ্যমে।

রিজভী অভিযোগ করেন, গণদাবির ওপর ভিত্তি করে  কোনো মিছিল  দেখলেই পুলিশ-র‌্যাব ক্ষুধার্ত হায়েনার মতো রাইফেল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পাইকারি হারে হত্যা করেছে বিরোধী দলের  নেতা-কর্মীদের। বিরোধী দলের কর্মীদের পাকড়াও করে পুলিশ মাথায় রিভলবার  ঠেকিয়ে হত্যা করেছে-এ দৃশ্য আমরা সবাই  দেখেছি গণমাধ্যমে। হরতালের মিছিলকে আতঙ্কে শিহরণ ধরানোর জন্য  নেতা-কর্মীদের হত্যা করতে একে-৪৭ রাইফেলের মতো মারনাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। অজস্র  নেতা-কর্মী পুলিশের অত্যাচারে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। পুলিশ যত্রতত্র  গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়ে শুধু বিরোধী দলের নয় সাধারণ মানুষকেও উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে চাঁদা আদায় করেছে। রিমান্ডে নিয়ে ডান্ডা মেরে ভিন্নমত  পোষণকারিকে ঠাণ্ডা বানানোই হচ্ছে এ সরকারের একটি অবশ্যপালনীয় কর্মসূচি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার এবং তাদের বশংবদরা সারাদেশ লূটে নিয়েছে। সরকারি ব্যাংক-বীমা তার শূন্য করে দিয়েছে। এই সরকারের আমলে শিষ্ট ভদ্র মানুষকে হাতে প্রাণ নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। কারণ সরকারের অপকর্ম, অপকীর্তি বাস্তবায়নে দুষ্টের পালন করাটাই জরুরি। যার কারণে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনীর হত্যাকারীদের আজো ধরা হয়নি, বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যনকে হত্যাকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এখন প্রকাশ্য দিবালোকেই দাপিয়ে  বেড়াচ্ছে, শ্রমিক কিশোর বিশ্বজিৎ এর হত্যাকারী ছাত্রলীগের  সোনার  ছেলেদের কোনো বিচার হয়নি।

রিজভী বলেন, এই সরকার নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে। অন্য দেশের পণ্য পরিবহণের জন্য দেশের নদীকে আড়াআড়িভাবে ভরাট করে রাস্তা করে  দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে  সেতু  তৈরির  চেষ্টা করছে বিএসএফ, বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারের ওপর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, প্রতিদিন সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করা হচ্ছে-এ বিষয়ে সরকার নির্বিকার-নির্লিপ্ত-নিশ্চুপ। অথচ বিনা পয়সায় ট্রানজিটের নামে  নৌ, রেল ও সড়কপথে ট্রানজিট দেয়া হয়েছে। সরকারের একজন দায়িত্বশীল উপদেষ্টা বলেছেন, ট্রানজিট ফি চাওয়া হবে নাকি  বেয়াদবি।

তিনি বলেন, আমরা এহেন তাবেদারি, উমেদারি এবং  মোসাহিবির ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত এর আগে কখনো  দেখিনি। এই সরকার এহেন আনুগত্যের বিনিময়ে তারা দীর্ঘস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বলে মনে করছেন। তাই তারা জনগণের শক্তিকে তাচ্ছিল্য ও উপেক্ষা করছেন, জনগণের আন্দোলন দমাতে ব্যবহার করছেন লাঠিঔষধি।সারা দেশে দলের  নেতাকর্মীদের ওপর আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।


0 Comments

যেই মুহূর্তে তফসিল ঘোষণা,সেই মুহূর্তে দেশ অচল: ফখরুল

22/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণা করা হলে দেশ অচল করার হুমকি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮-দলীয়  জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুমকি দেন।এর আগে  বেলা দুইটায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বেলা তিনটায়।এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও ওয়ার্ড  থেকে মিছিল নিয়ে জোটের অনেক  নেতা-কর্মী সমাবেশে  যোগ দেন।

সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমান উল্লাহ আমান, জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে  জেনেছি আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণা করা হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থা ছাড়া  যেই মুহূর্তে তফসিল  ঘোষণা করা হবে,  সেই মুহূর্তে  দেশ অচল করে দেওয়া হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন,এই সরকার ক্ষমতায় এলে  দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে তারা  দেশে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। আমরা প্রকাশ্যে মিছিল ও সমাবেশ করতে পারছি না। ঢাকা শহরে মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা পল্টন ময়দান, মুক্তাঙ্গন এবং নয়াপল্টনে মিছিল সমাবেশ করতে পারছি না। নয়াপল্টনের বিএনপির  কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ করা হয়েছে।

ঢাকাবাসীকে উদ্দেশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, জেগে উঠুন ঢাকাবাসী। রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে। আমাদের বিকল্প পথ  খোলা  নেই।

বিএনপির সব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও আন্দোলন থামবে না বলে মন্তব্য করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা।সাদেক হোসেন খোকা বলেন,বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির সব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও আন্দোলন থামবে না। বরং আন্দোলন আরো তীব্র হবে।

তিনি বলেন,শেখ হাসিনা সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছেন। সংবিধান লঙ্ঘন করে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। একদলীয় নির্বাচন করতে চান, তবে কোনোভাবেই এ নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

মঈন খান বলেন, সমগ্র দেশের মানুষ একটি ক্রান্তিলগ্নে রয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে  দেশকে এ অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গত প্রায় ৫ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।  দেশের মানুষ যেখানে নিদর্লীয় সরকারের দাবিতে একমত, তখন একদলীয় সরকার গঠনের জন্য একটি পাতানো নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।তিনি বলেন, এদেশের মানুষ একদলীয়, বহুদলীয়, সবর্দলীয় কোনো সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায় না।  দেশের মানুষ চায়, নিদর্লীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। তাই অন্য কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে  সেই নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

বিএনপি  চেয়ারপাসর্নের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শুধুমাত্র রাজপথে আন্দোলন নয়, প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসনে আগুন জ্বালানো হবে। সময় থাকতে পদত্যাগ করুন।এলডিপি’র সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেন, একদলীয় নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। নিদর্লীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই এদেশে নির্বাচন দিতে হবে। 


0 Comments

সারাদেশে রোববার ১৮ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

22/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: আগামী রোববার সারাদেশের উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় বিক্ষোভ সমাবেশের  ঘোষণা দিয়েছে ১৮ দল।
নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠনের প্রতিবাদ, ১৮ দলের আটক  নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ কর্মসূচির  ঘোষণা  দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

রাজধানীর  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সমাবেশ  থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য  শেষে এ  ঘোষণা দেন তিনি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস  চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা।ফখরুল বলেন, একই দাবিতে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি  ঘোষণা করা হবে।

0 Comments

সরকারের পাতানো নির্বাচনে বিএনপি নেই: ফখরুল

20/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছেন,আপনার সরকারের  চেহারা পরিবর্তন না হলে, এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে বিরোধী দল কখনোই নির্বাচনে যাবে না। বিদেশিদের কাছেও  সরকারের ওই পাতানো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহামানের ৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলসহ  নেতাদের নিয়ে ৪৯ পাউন্ডের একটি  কেক কাটেন।

তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে তিনি বলেন, আমরা যদি আন্দোলনের মাধ্যমে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্ত করতে পারি, তাই হবে তারেক রহমানের জন্মদিনে আমাদের বড় উপহার।ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার সর্বদলীয় সরকার নয়। এটা নির্বাচনকালীন সরকারও নয়। এই সরকার মহাজোট সরকারের একটি পুনর্গঠিত রূপ মাত্র।

কেবল কেক  কেটে জন্মদিন পালন করলে বা দুয়েকটি ‘গাড়ি ভাঙলে’ আন্দোলন হবে না মন্তব্য করে ছাত্রদলের কর্মীদের রাস্তায়  নেমে আসার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।ফখরুল তার বক্তব্যের মধ্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানোর সময় ছাত্রদল কর্মীরা  কেবল তাদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবের  ক্ষেত্রে হাততালি দিলে দৃশ্যত বিরক্ত হন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

 গ্রেপ্তার অন্য সবার মুক্তির দাবিতেও ছাত্রদলকর্মীদের প্রতিক্রিয়া একই ধরনের হওয়া উচিৎ মন্তব্য  করে ফখরুল বিরোধী দলের আন্দোলনে ছাত্রদল কর্মীদের  সেভাবে পাওয়া যায় না বলে  ক্ষোভ প্রকাশ করেন।  

ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধুমাত্র  কেক  কেটে কিংবা স্তুতি-বন্দনা করে  তারেক সাহেবের জন্মদিন পালন করলে চলবে না।  দেশের সংকট উত্তরণে চলমান আন্দোলনকে  বেগবান করতে হবে।দুয়েকটা গাড়ি ভাঙলে আন্দোলন হবে না। ছাত্রদলের হাজার-হাজার  নেতা-কর্মীকে রাস্তায়  নেমে আসতে হবে।

নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা নিয়ে বিএনপির পুরনো অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়ে ফখরুল তার বক্তৃতায় বলেন, সারাদেশের মানুষ  দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, ‘নির্দলীয় সরকার’ ছাড়া পুনর্গঠিত মন্ত্রিসভার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেবে না।   দেশের মানুষ তা  মেনে  নেবে না।

পটুয়াখালীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মির্জা ফখরুল বলেন,  প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধী দল নাকি  দেশে অশান্তি করছেন। তাকে বলতে চাই, বিরোধী দল নয়, আপনিই  দেশে অশান্তি ও  নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন।সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যভহার করে ‘গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান’  ভেঙে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,  গত পাঁচ বছরে সহিংসতায় যতো মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি বলছেন নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়েছে। আপনি  হেলিকপ্টারে করে সারাদেশে  নৌকায়  ভোট চাচ্ছেন আর আমাদেরকে বলছেন আসুন নির্বাচনে আসুন।
 
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের  নেতারা বাদ্য বাজিয়ে নমিনেশন কিনছেন। আপনি কি মানুষকে  বোকা ভাবেন  যে আপনার অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। জনগণকে  বোকা বানিয়ে, বিভ্রান্ত করে নির্বাচন করা যাবে না।  গোটা বাংলাদেশ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য  লেভেল  প্লেইং ফিল্ড দরকার,  যেন সবাই সমানভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। অন্যথায় বিরোধীদল ডুগডুগি বাজিয়ে নির্বাচনে অংশ  নেবে না।সরকার আজ পর্যন্ত বিএনপির  কেন্দ্রীয় কার্যালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দিয়ে অবরুদ্ধ করে  রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এখন আমরা যুদ্ধের মাঝামাঝি অবস্থা করছি। এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হতে না পারলে গণতন্ত্র ধ্বংসের মুখে পড়বে। এর জন্য এই যুদ্ধে ছাত্র সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ সকল যুদ্ধেই ছাত্র সমাজ সবচেয়ে  বেশি ভূমিকা  রেখেছে।ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলনে জয়ী হলে  সেটাই তারেক রহমানের জন্মদিনের সবচেয়ে বড় উপহার হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিরোধী দলীয়  নেতার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্র বিষয়ক সহ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ  নেতা-কর্মীদের নিৎশর্ত মুক্তি দাবি করেন ফখরুল।

তারেক রহমানের ওপর একটি বিদেশী সংস্থার জরিপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,  স্বৈরাচারী সরকার তারেক রহমানের চরিত্র হননের জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কিন্তু তাদের  সেই মিথ্যা মামলার জবাব দিয়েছে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ। কারণ তারা এখন তারেক রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি বিএনপির  নেতা-কর্মীদের হত্যা করতে পারেন কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। যদি আপনি মনে করেন  নেতাদের  গ্রেপ্তার ও হত্যা করে ক্ষমতায় থাকবেন তাহলে আপনি বোকার সর্গে বসবাস করছেন।
 
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে আপনি আর মানুষের কষ্ট, দুঃখ ও হতাশা বাড়াবেন না। মানুষকে যদি আপনি কষ্ট দিতে না চান তাহলে অবিলম্বে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পৃক্ত করে নির্বাচন দিন।

আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুর করিম চৌধুরী আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার গাজী মাযহারুল আনোয়ার, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক রয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হাসান প্রমুখ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির।

ছাত্রদলের এ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরপরই জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) একই স্থানে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে একটি অনুষ্টানের আয়োজন করে। সে অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার  মোশাররাফ  হোসেন জাসাসের নেতাকর্মীদের নিয়ে জন্মদিনে  কেক কাটেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাসাসের সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান।


0 Comments

অবিলম্বে বিএনএফের নিবন্ধন বাতিল করুন: রিজভী

19/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: অবিলম্বে বিএনএফের নিবন্ধন সনদ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের  মোসাহেবী চরম পর্যায়ে  পৌঁছে গেছে। কমিশন এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বর্ধিত অংশ। আমরা এ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছিরিজভী অভিযোগ করে বলেন,  বিএনপিকে ভাঙার লক্ষ্যেই সরকার তার গোয়েন্দা সংস্থা, জনপ্রশাসনকে ব্যবহার করছে। সরকারের ইচ্ছা, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো যে বিএনপি ভাঙছে।সরকারের এমন ইচ্ছাকে নির্বাচন কমিশন নীলনকশার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনএফ নামের ওই ভূঁইফোড় সংগঠনটির অস্তিত্বের খবরও  দেশবাসী জানে না। বিএনএফ শব্দটি বিএনপির প্রায় সমধ্বনিসম্পন্ন। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্যই অত্যন্ত  নোংরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের নিবন্ধন  দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি’র পক্ষ  থেকে অনুরোধ করার পরও নির্বাচন কমিশন বিএনএফকে নিবন্ধনের সনদ  দেয়ার  যে লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটালেন জনগণের নিকট একদিন এর  কৈফিয়ত  দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

রিজভী আরো বলেন, সরকার একতরফা নির্বাচনের নামে এখন গণতন্ত্রকে ফায়ারিং  স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়েছে। প্রতিদিন নানা ধরনের  ধোয়াশা সৃষ্টি করে প্রকৃত বাকশালের দিকেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনএফকে নিবন্ধন দিয়ে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক নিরপেক্ষতা চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে।তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করছে।কমিশন মহাজোটের পক্ষে কাজ করছে এবং একতরফা নির্বাচন করতে তারা  তোড়জোড় চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের  রোববারের  বৈঠকে বিএনএফকে নিবন্ধন  দেওয়ার চূড়ান্ত এ সিদ্ধান্ত হয়। পথমদিকে ধানগাছ কিংবা গমের শীষ প্রতীক চাইলেও সর্বশেষ তারা ‘ টেলিভিশন’ প্রতীক চেয়ে নতুন করে আবেদন করার পর বিষয়টি চূড়ান্ত করে কমিশন। এর আগে পর পর তিন দফা সময় দিয়ে দলটিকে সারা  দেশে কার্যালয় স্থাপনের সুযোগ দেয় ইসি।
বিএনএফ দলীয়  পোস্টারে বিএনপির প্রতীক, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ও জিয়া প্রণীত ১৯ দফা ব্যবহার করছে। বিএনপি কমিশনে এসে তিন দফা অনুরোধ করে বিএনএফকে নিবন্ধন না  দেয়ার।
 

0 Comments

প্রশাসন জুলুম করলে পাল্টা ব্যবস্থা ন্যায়সংগত: বিএনপি

13/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: :সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারকে অবৈধ দাবি করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই সরকারের নির্দেশে প্রশাসন জনগণের ওপর জুলুম করলে, এর পাল্টা ব্যবস্থা  নেওয়া ন্যায়সংগত হবে।১৮ দলের ডাকা ৮৪ ঘণ্টার হরতাল  শেষে  বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের  কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, পদত্যাগপত্র জমা  দেয়ার পরই সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীদের পদ শূন্য হয়ে  গেছে। কিন্তু সরকার এখন নিজেদের অবৈধ অস্তিত্ব বুঝতে  পেরে নানা কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তাদের মন্ত্রীদের কথা অনুযায়ী কাজ না করার অনুরোধ জানান রিজভী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি  থেকে  বেরিয়ে ভিন্ন ধরনের কথা বলবেন বলে তাঁরা আশা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মুখে বিরোধী দলকে নিয়ে  যে কথা  শোনা যাচ্ছে, তা আওয়ামী লীগের পুরোনো ধাঁচের সংস্কৃতি।

প্রশাসন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, দলীয়ভাবে সাজানোর কারণে প্রশাসন এখনো নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। তারা মনে করছে, সরকার টিকে থাকলে তারাও টিকে থাকবে। আর বিশেষ অঞ্চল ও বিশেষ আদর্শের লোক বলে তারা সরকারের কথা অমান্য করছে না। কিন্তু এভাবে কত দিন সহ্য করা হবে! 
 বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার নিজেদের নিজের প্রয়োজনে সংবিধান কাঁচি দিয়ে  কেটে ফেলে, আবার নিজেদের ইচ্ছায়  জোড়া লাগায়। তারা জনগণের  কোনো মতামতই  তোয়াক্কা করছে না। এত কাটাছাঁটার পরও যতটুকু সংবিধানের মর্যাদা আছে,  সেটিকেও অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্য মন্ত্রিপরিষদের পদত্যাগ নিয়ে আমরা  সেই অবজ্ঞারই প্রতিফলন।
 
রিজভী অভিযোগ করেন, পুলিশ বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় আজও যুব-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সশস্ত্র  হামলা চালায়। বুধবার বিএনপির তিন মহিলা এমপি দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে  গেলে পুলিশ তাদের বিনা কারণে আটক করে। এসব ঘটনা  দেখে মনে হয় আমরা এখন এক উছৃংখল পুলিশি রাষ্ট্রে বাস করছি।

রিজভী দাবি করেন, গত  রোববার  থেকে শুরু হওয়া ৮৪ ঘণ্টার হরতালে নিহত হয়েছেন দুজন,  গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই হাজারের  বেশি  নেতা-কর্মী, আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৪০০ জনের  বেশি। ২১ হাজারের  বেশি  নেতা-কর্মীর নামে মামলা  দেওয়া হয়েছে। 

0 Comments

সোমবার থেকে আবারো ১৮ দলের  টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল

2/11/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী  সোমবার ভোর ৬টা  থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল  ডেকেছে ১৮ দল। শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে ১৮ দলের বৈঠকে এ কর্মসূচি  ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সংকট নিরসনে আন্তরিক না হয়ে বিরোধীদলকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন করতে চাইছে।সমঝোতার কথা বললেও উদ্দেশ্যমূলকভাবেই প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আলোচনার পথ বন্ধ করতেই এমন নাটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এছাড়া গণমাধ্যমের গাড়ি ও হজ ফেরত যাত্রীরা হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান। তবে জেএসসি পরীক্ষার কি হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি দলের মহাসচিব।এর আগে গত ২৭, ২৮ এবং ২৯ অক্টোবর হরতালে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হন।

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সংলাপে সরকারের ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে শনিবার নতুন এই কর্মসূচি  ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ঘোষণা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তাতে  কোনো ধরনের বাধা না দিতে সরকারকে হুঁশিয়ারও করে  দেন।

সরকারকে বলে দিতে চাই,আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হলে উদ্ভূত পরি¯ি’তির দায়ভার আপনাদের ওপর বর্তাবে।বিরোধী দলের ‘জনদাবিতে' সরকার কান না  দেয়ায় ‘বাধ্য’ হয়ে হরতাল ডাকা হয়েছে বলে দাবি করেন ফখরুল।

 দেশের ৯০ ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। কিন্তু সরকার একতরফাভাবে একদলীয় নির্বাচনের পথে অগ্রসর হচ্ছে। এজন্য বাধ্য হয়েই আমরা হরতাল আহ্বান করছি।

সংলাপে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন,সরকার সংলাপ ও সমঝোতা চায় না। প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয়  নেতাকে টেলিফোনে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে নাটক করেছেন।

২৯ অক্টোবরের পর নতুন তারিখ ঠিক করে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানালেও তা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) রক্ষা করেননি। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার সংলাপ চায় না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের সব রকমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ও হাজিদের যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।

আগামী ৪ ও ৬ নভেম্বর জেএসসি ও  জেডিসি পরীক্ষা রয়েছে, যাতে অংশ নিচ্ছে ২১ লাখ শিক্ষার্থী।

এই পরীক্ষা হরতালের আওতামুক্ত থাকবে কি না- জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, কী কী আওতামুক্ত থাকবে, তা  তো আগেই জানানো হয়েছে।

বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, গত ৬০ ঘণ্টার হরতালে বিরোধী দলের ২০  নেতা-কর্মীকে হত্যা, ৬ হাজারের অধিক নেতা-কর্মীকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিরোধী দলের লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

তিনি অবিলম্বে জমিয়তে উলামা ইসলামের মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সহ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ইসলামী ঐক্যজোটে  নেতা সাখাওয়াত  হোসেনসহ আটক  নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।

সকালে ১৮ দলীয়  জোটভুক্ত দলগুলোর মহাসচিবদের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ফখরুল। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও শামীমুর রহমান শামীম।

বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদী,এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির আলমগীর মজুমদার, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামিক পার্টির আবদুর রশীদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির আবদুল মালেক  চৌধুরী, পিপলস লীগের  সৈয়দ মাহবুব  হোসেন, ন্যাপের  গোলাম  মোস্তফা ভুঁইয়া, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, জমিয়তে উলামা ইসলামের শাহিনুর পাশা  চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর হাসনাত খান ভাসানী, মুসলিম লীগের  শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন উপস্থিত ছিলেন। 

0 Comments

কৃতিত্ব ছিনতাই করতেই ৩০ ভাগ কাজ রেখে ফ্লাইওভার উদ্বোধন: বিএনপি

11/10/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: ৩০ ভাগ কাজ অসমাপ্ত রেখে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী মেয়র  মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি বলেছে, এর মাধ্যমে আমাদের কৃতিত্ব ছিনতাই করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এ অবস্থান তুলে ধরেন ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।

শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ‘মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী-কুতুবখালী প্রান্ত  থেকে ফলক উন্মোচন করেন তিনি।

ফ্লাইওভারটির সবকিছু গত বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ই চূড়ান্ত হয়। তবে কাজ শুরু হয় বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সময়।

সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অন্যের প্রকল্প হাইজ্যাক করে নিজেদের নামে চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন  বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা । বেশকিছু দিন ধরে আমরা  দেখছি  শেখ হাসিনার মধ্যে উদ্বোধন আর ভিত্তি স্থাপন  রোগ   দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন,বিগত সরকারের প্রতিটি কাজ এই সরকার হাইজ্যাক করেছে। হাইজ্যাক করা প্রকল্প উদ্বোধন করলেই সেটা নিজেদের হয়ে যায় না।
 
সাদেক হোসেন খোকা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ( মেয়র মো. হানিফ ফ্লাইওভার) একটি অসমাপ্ত প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। প্রকল্পটির ৩০ ভাগ কাজ  এখনো বাকী।  বেশকিছু দিন ধরে আমরা  দেখছি  শেখ হাসিনার মধ্যে উদ্বোধন আর ভিত্তি স্থাপন রোগ দেখা দিয়েছে।একটি অসমাপ্ত কাজ উদ্বোধন করাটা কতটা সমীচীন? এটা কী কোনো দায়িত্বশীল  সরকারের কাজ?

ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভারটির প্রকল্প  বিএনপি  সরকার গ্রহণ করেছিলো। আমাদের সরকার  এই প্রকল্পের ৪০ ভাগ  শেষ করেছিলো। আমাদের  নেত্রী ২০০৬ সালের জুন মাসের ৪ তারিখ প্রকল্পটির ভিত্তিস্থাপন করেছেন কিন্তু  দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমান সরকার সেই ভিত্তিস্থাপনের ফলক পর্যন্ত  ভেঙ্গে  ফেলেছে।
 
তিনি বলেন,‘শুধু এই প্রকল্পটি নয় সম্প্রতি হাতিরঝিল প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়েছে। সরকার দাবি করেছে এটা তারা করেছে। আপনাদের কাছে তথ্য দিতে চাই ২০০৪ সালে বুয়েটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান প্রকল্পটির নকশা করেন। আমরা প্রকল্পটি গ্রহণ করি। বর্তমান সরকার রুটিন-ওয়ার্ক হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করেছে।

যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, কুড়িল, মগবাজার ফ্লাইওভার ও মুগদা হাসপাতাল প্রকল্প বিএনপি সরকারের নেয়া দাবি করে  খোকা বলেন, ‘বিগত সরকারের প্রতিটি কাজ এই সরকার হাইজ্যাক করেছে। হাইজ্যাক করা প্রকল্প উদ্বোধন করলেই সেটা নিজেদের হয়ে যায় না। ক্ষমতাসীনদের এমন দাবি  অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের দৃশ্যমান যত উন্নয়ন এসবের শতভাগ দাবিদার বিএনপি সরকার। আমার  জানামতে বর্তমান  সরকার কোনো উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়নি। বর্তমান সরকার ঢাকার দিকে  নজর দেয়নি। নিশ্চিয়ই আগামী দিনে ঢাকাবাসী সরকারকে এর জবাব দিবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম,  মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন  সুলতানা, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার প্রমুখ।


0 Comments

প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ঢাকতে রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করছেন: বিএনপি

4/10/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দুর্নীতি ঢাকতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সব শক্তিকে ব্যবহার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির  কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন ও তার দলের  জ্যেষ্ঠ  নেতারা বলেছেন, তিনি দুর্নীতির টাকা নিজ হাতে গ্রহণ করেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা ও দুঃশাসনকে আড়াল করতে খালেজা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের ঢাক-বাদ্য বাজিয়ে নোংরা চাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ‘খুনি ও মিথ্যাবাদী’ উল্লেখ করে গত বুধবার ঈশ্বরদিতে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্য অসভ্য, অগণতান্ত্রিক  দেশের একক কতৃত্বাধীন মনোবৈকল্যগ্রস্ত নেতাদের বক্তব্যের সমতুল্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন ও তার নিজ দলের সিনিয়র  নেতারাও অভিযোগ করেছেন নিজ হাতে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির টাকা গ্রহণ করেন। নিজের চাঁদাবাজি, দুর্নীতির কালিমা ঢাকতে রাষ্ট্রক্ষমতার সব শক্তিকে ব্যয় করছেন। বিরোধী দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ইর্ষাপরায়ণ ও কলহপ্রিয় নারীর অন্ধ হিংসা চরিতার্থ করারই নামান্তর।
প্রধানমন্ত্রী নিষ্ঠুর প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং আলটপকা কথাবার্তায় পারদর্শী মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এমন অবিশ্বাস্য কুৎসা রটানোর মাধ্যমে তিনি  দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছেন।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই  নেতা বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে র‌্যাব-পুলিশকে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে সাজিয়ে এবং নিজেদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে খুনী বাহিনীতে পরিণত করে  সেটিকে দিয়ে বিরোধীদলকে দমন করতে  দেশব্যাপী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য জনগণকে কাবু করা।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে জনগণের আন্দোলনকে প্রতিরোধ করার জন্যই সরকার এই মরণখেলায়  খেলেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘সাজার ভয়ে খালেদা জিয়া আদালতে যান না’ গত বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচলা করে তিনি বলেন, সাজা হবে কি হবে না তা প্রধানমন্ত্রী জানেন কী করে? প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে আবারো প্রমাণিত হয়েছে, বিরোধী দলের  নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কম্পিউটারে টাইপ করা হয়।
‘নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকারে শেখ হাসিনার  নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে’ বৃহস্পতিবার লোড আনলোড শ্রমিকদের এক সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য  মো. নাসিমের এ বক্তব্যের সমালোচনায় রিজভী বলেন,তাদের অযৌক্তিক ও গায়ের  জোরে দলীয় প্রধানের  নেতৃত্বে  কোনো মন্ত্রিসভা  দেশের বিরোধী দলসহ  কোনো  শ্রেণী  পেশার মানুষ মানবে না। এ ধরনের  কোনো উদ্যোগ নেয়া হলে সে মন্ত্রিসভাকে জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করে  পৌরসভার আবর্জনার ভ্যানে আপলোড করে দেবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকার এ মরণ  খেলা  খেলছে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর  থেকে। আপনারা জানেন, এরই নির্মম শিকার হয়েছেন নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী, সাবেক কাউন্সিলর  চৌধুরী আলম, নিরীহ শ্রমিক বিশ্বজিৎ এবং সর্বশেষ ঘুমন্ত হেফাজতকর্মীরা। এমনকি কথিত আছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী খুনীদের আড়াল করে  রেখেছে সরকার। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, একটির বদলে ১০টি লাশ  ফেলার নির্দেশ দাতা  কে?
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আমরা অনড়, অবিচল ও দ্বিধাহীন। আপনি যতোই মিথ্যাচারের  ধোঁয়াসা তৈরি করেন না  কেন নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা মেনে নিতে হবে। যদি বিরোধী দলের আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করেন তবে আপনার জন্য রাজনীতির ময়দান শান্ত, নিরাপদ ও সুখময় হয়ে উঠবে না। জনগণের সম্মিলিত শক্তি এখন প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদে গ্রামীণ ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে নেয়ার সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গেরই শামিল।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদে গ্রামীণ ব্যাংককে  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘বিশ্বে সুনাম অর্জনকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার জন্যই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  যে প্রতিষ্ঠানটি  দেশের দারিদ্রতা দূরীকরণে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে সেটিকে নির্মূল করার সরকারি সিদ্ধান্ত এক গভীর চক্রান্তেরই অংশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর  থেকেই গ্রামীণ ব্যাংক ও এর প্রতিষ্ঠাতা ড.  মোহাম্মদ ইউনূস তাদের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, বিএনপি  নেতা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন ও নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


0 Comments

দুই নেত্রীর সংলাপ: হাইকোর্টের রুলের শুনানি ২৬ সেপ্টেম্বর

22/9/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংলাপে বসার বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ২৬  সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ শুনানির এই দিন ঠিক করে  দেয়।রিট আবেদনকারী মো.ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই এদিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি  জেনারেল  মো.মোখলেসুর রহমান।
পরে মো.ইউনুস আলী আকন্দ বলেন,এই রিটের রুল শুনানির জন্য কয়েকদিন আগে আবেদন করেছিলাম। আজ আবেদনটি তালিকায় ছিল।আদালত আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছে।এর আগে  গত ২৭ মার্চ দুই  নেত্রীকে সংলাপে বসতে হাইকোর্ট এ  রুল জারি করেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছভাবে হতে এবং চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণের  জন্য দুই   নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া এবং  তাদের  জোটের অন্তর্ভুক্ত  দলগুলোকে সংসদের ভেতরে ও বাইরে রাজনৈতিক সংলাপের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে এ রুল জারি করেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি জাফর আহমদের বিশেষ বেঞ্চ।
রাজনৈতিক অধিকার ও কার্যক্রমের নামে  বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ,গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ‘অবৈধ কার্যক্রম’ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে কেন নির্দেশ  দেয়া হবে না, তাও ওই রুলে জানতে চাওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ গত ১৪ মার্চ এই রিট আবেদন করেন।
প্রাথমিক শুনানিতে আবেদনকারী পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুর হুদা বলেন,হরতাল একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এই অধিকার দিয়ে গাড়ি ভাংচুর, নির্দোষ মানুষের উপর আক্রমণ  বৈধতা  পেতে পারে না।
হরতালের মানে তো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। কিন্তু এখন এর মাধ্যমে ১৬কোটি মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে। এটা থেকে উদ্ধার পেতে হলে আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।আপনাদের হাত অনেক লম্বা। আপনারা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন এবং এ ধরনের কাজ প্রতিরোধ করতে পারেন।এ সময় আদালত বলেন, আমরাতো তাদের বসার জন্য বাধ্য করতে পারি না।
উত্তরে নাজমুল হুদা বলেন, রিটে সক্রিয়তা বা নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা যায়।দুই নেত্রীর কার্যকলাপ  দেশের বারোটা বাজাচ্ছে। আর তারা নিষ্ক্রিয় থেকে আলোচনায় বসছেন না। সুতরাং আপনারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারেন।
আমরাতো বেশি কিছু চাইছি না। আমরা কেবল একটা রুল চাইছি। তাদের আপনি রুল দিন। তারাই এসে বলুক, তারা কেন বসবেন বা বসবেন না। রুল শুনানির পর্যায়ে এখতিয়ারের বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির সুযোগ রয়েছে।সেখানে প্রয়োজনে শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের বলবেন, তারা অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে আসবেন।
প্রাথমিক শুনানিতে এম কে রহমান বলেন,দুই জোটের কোনো নিবন্ধন নেই। তাই এদের বিবাদী করা যায় না। নির্বাচন কমিশন জোটভুক্ত নিবন্ধিত দলগুলোকে সংলাপের জন্য ডেকেছিল। কিন্তু বিএনপিসহ অনেকেই তাতে সাড়া  দেয়নি।
এটি এমন একটি রাজনৈতিক বিষয়, যাতে রুল দিলে কে তা বাস্তবায়ন করবে- তা স্পষ্ট নয়। আর বাস্তবায়ন অযোগ্য বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ দিতে পারে না।
এর আগে গত ১৯ মার্চ এই রিটের ওপর প্রথম দিনের শুনানিতে ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায়  দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  দেশের মানুষের স্বার্থে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান ত্যাগ করে দুই নেত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে নির্দেশনা প্রয়োজন।
আদালত এ সময় বলে, সংলাপ ও নির্বাচন নিয়ে তো সংবিধানেই বলা আছে।জবাবে আবেদনকারী বলেন,বর্তমানে দুই প্রধান দলের মধ্যে বিদ্বেষপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন।

0 Comments

সংলাপে বসার জন্য প্রস্তুত বিএনপি: খালেদা

14/9/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বৃটিশ এমপি রুশনারা আলীর  নেতৃত্বে  দেশটির অলপার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয়  নেতা খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, সংলাপে বসার জন্য তার দল প্রস্তুত। সংলাপের ব্যাপারে নানা মহল  থেকে আহ্বান জানানো হলেও সরকার এখনো সাড়া দেয়নি।শুক্রবার সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শমসের মবিন  চৌধুরী। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা ৫০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা সাতটা ১০ মিনিটি পর্যন্ত খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় তার সঙ্গে অলপার্টির প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান প্রমুখ।
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি রুশনারা আলী। শুক্রবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় রুশনারা এ আহ্বান জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
শমশের মুবিন  চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই  বৈঠক হয়েছে। বিএনপি সংলাপের জন্য প্রস্তুত আছে, কিন্তু সরকার সংলাপের  কোন পরিবেশ  তৈরি করেনি।  সেই পরিবেশ  তৈরি হলেই বিএনপি সংলাপে যাবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ব্যক্তিগত সফরে ঢাকা পৌঁছান বাংলাদেশে জন্মগহণকারী এই প্রভাবশালী ব্রিটিশ এমপি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রুশনারা আলী ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেট সফর করবেন। তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন আগামী ১৮  সেপ্টেম্বর।

0 Comments

উটপাখির কৌশল অবলম্বন করছে সরকার: ফখরুল

18/8/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: নির্দলীয় সরকার নিয়ে সরকার উটপাখির কৌশল অবলম্বন করছে। ৯০ ভাগ মানুষের দাবিকে অস্বীকার করে সরকার  দেশকে সংঘাত আর অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে  গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বর্তমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, বালু ঝড়ে উট পাখি  যেমন মুখ লুকায় আওয়ামী লীগেরও এখন  সেই রকম অবস্থা হয়েছে।
রোববার সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুল।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের একগুয়েমির কারণে দেশ অনিশ্চয়তা ও সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। সংঘাত হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
 বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আগামী সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করতে হবে। অন্যথায় সঙঘাতের দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ বিএনপির নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিকে সমর্থন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দেয়ার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ  নেবে।
এ সময় আন্দোলন সংগ্রামে আরো সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে  স্বেচ্ছাসেবক দল সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন। সামনের আন্দোলন সংগ্রামে সংগঠনটি আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
জিয়ার মাজারে ফুল দেয়ার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান মির্জা ফখরুল।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান  সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারি বাবু, সিনিয়র সহসভাপতি মনির  হোসেন, মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আলী রেজাউর রহমান রিপন,উত্তরের আহবায়ক ইয়াসীন আলী, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু,মোস্তাফিজুর রহমান,  গোলামসারওয়ার,আবু তাহের পাটওয়ারী,যুগ্ম-সম্পাদক সাদরাজজামান,আনু মো.শামীম আজাদ,অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মুকিত ইজারাদার, রফিক হাওলাদার, শাহাবউদ্দিন মুন্না, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আক্রামুজ্জামান টোকনসহ সংগঠনের  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রোববার কেক কাটা।  সোমবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। দুপুর দুইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনাসভা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিকাল ৫টায় একই স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


0 Comments

ঈদের পর এক দফা আন্দোলন: ফখরুল

6/8/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায়ে ঈদের পর এক দফা আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।ঈদের পর চলমান আন্দোলন আরো বেগবান হবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সরকারের যদি শুভ বুদ্ধির উদয় না হয় তবে ঈদের পর তাদের এক দফার আন্দোলন  মোকাবেলা করতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।এর আগে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের  নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার মাজারে ফুল  দেন তিনি।
‘বিএনপির মিথ্যাচার ঢাকতে বিলবোর্ড প্রচারণা’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি নয় আওয়ামী লীগই মিথ্যাচার করে। জনগণ তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিলবোর্ড দিয়ে  শেষ রক্ষা হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। সরকার সব  ক্ষেত্রে ব্যর্থ। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের  ভোটের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করছে।
নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানলে ঈদের পর সরকারকে একদফার আন্দোলনের  মোকাবিলা করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জনগণ নির্দলীয় সরকারের পক্ষে  রায় দিয়েছে। পত্র-পত্রিকার জরিপে  দেখা  গেছে,  দেশের ৯০ ভাগ মানুষ এই দাবি সমর্থন করে।
সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, শুভ বুদ্ধির উদয় হলে সরকার নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেবে। তা না হলে ঈদের পর তাদের এক দফা আন্দোলনের মোকাবিলা করতে হবে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করার পর  থেকেই বিএনপি ও শরিক দলগুলো আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
বিরোধী দলীয়  নেতা খালেদা জিয়া বলে আসছেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, গত সাড়ে চার বছরে সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।গণতান্ত্রিক পরিবেশকে তারা বিনষ্ট করেছে। বিএনপি দেশে  ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে।
বিএনপি আমলের ‘দুর্নীতি’ এবং বর্তমান সরকারের ‘উন্নয়নের’ তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতেই রাজধানীতে বিলবোর্ডে প্রচার চালানো হচ্ছে- আওয়ামী লীগ  নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যাচারের অংশ। বিলবোর্ড নিয়ে আমি আগে কথা বলছি, এ নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক ও মহাসচিব অধ্যাপক এ  জেড এম জাহিদ হোসেনসহ একদল চিকিৎসককে নিয়ে মির্জা ফখরুল এদিন জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।পরে জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনায়  মোনাজাতে অংশ  নেন তারা।এসময়  দেশবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান ফখরুল।

0 Comments

ইসি আরপিও সংশোধন করলে দেশে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে: বিএনপি

31/7/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে এটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন যখন আরপিও আইনের খসরা তৈরি করে তখন এ জাতীয় বিধান তাতে ছিল না। পরবর্তীতে উপরের  লেবেলের নিদের্শে তা করা হয়েছে।আরপিও সংশোধন করলে দেশে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথ বলেন।
ইসিকে উদ্দেশ্য করে এমকে আনোয়ার বলেন, আপনাদের (ইসি) অপকর্ম দিয়ে এই সংকট ঢাকতে পারবেন না। যারা ইতোমধ্যে পানির তলায় ডুবে গেছে, শুধু একটি দলকে উদ্ধার করার জন্য ষড়যন্ত্র করলে নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্ব বিপণ্য হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরপিও আইনের খসরা  তৈরি করলে তা কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না। আর এটি করা হলে তখন শুধু নির্দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন নয়, নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্যও আন্দোলন হবে।
যদি এটি করতেই হয় তাহলে রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই করতে হবে বলেও জানান তিনি।         
আরপিওর ৯১ ধারায় পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের সমালোচনা করে এমকে আনোয়ার বলেন, এই বিধান থাকা প্রয়োজন, না হলে অপরাধ অনেক বেড়ে যাবে যা কমিশন সামাল দিতে পারবে না।তিনি এ উদ্যোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উপরের নির্দেশে করা হচ্ছে বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, এ আইন বাতিল করলে নির্বাচনকালে ব্যালটবক্স ছিনিয়ে নিয়ে  গেলেও কিছু বলা যাবে না। তখন নির্বাচন কমিশন বলবে আপনারা আদালতে যান।
নির্বাচন কমিশনের আচারণে জনগণ হতাশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি কমিশনের উদ্দেশে বলেন, আপনারা  সোজা পথে ফিরে আসুন। জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করুন। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া একটি নির্দিষ্ট দলকে উদ্ধারের ষড়যন্ত্র করলে আপনাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
এ পথ  থেকে সরে না এলে ভবিষ্যতে নির্দলীয় সরকারের দাবির পাশাপাশি নির্দলীয় কমিশনের দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি  দেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, কমিশন প্রথমে বলেছে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও মন্ত্রীবর্গ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু পরে বলেছে দলীয় প্রধান এবং তার অনুমোদিত ২০ জন সারাদেশে প্রচারণা চালাতে পারবে। এমন তুঘলকি বিধান পৃথিবীর  কোথাও আছে বলে জানা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।


0 Comments

আ.লীগ বা  শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন নয়: খালেদা

23/7/2013

0 Comments

 
Picture
এপিপি বাংলা ডটকম
ঢাকা: বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন  বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামীলীগ বা  শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়। ঈদের পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে জোরদার হবে।  এ আন্দোলনে সবাইকে রাজপথে নামার আহবান জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলের পাশে আয়াজিত বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পেশাজীবীদের উদ্দেশ্য খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা জানেন দেশের বর্তমান অবস্থা কি। তাই সকলের দায়িত্ব হলো জালিম অত্যাচারি সরকারের হাত  থেকে  দেশকে মুক্ত করা।  তিনি আরো বলেন, সরকার জানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে জনগণ তাদের ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আশা প্রকাশ করে বলেন, ঈদের পরে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনারা জানেন,  দেশের মানুষের কী অবস্থা। সরকার জানে, নির্বাচন দিলে তারা পরাজিত হবে। তাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায়।ইফতারে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরাও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বিকল্পধারা’র  চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, তারা বলছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা নির্বাচনের সমযও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। কোনো সরকারি কর্মচারির ঘাড়ে কি দশটা মাথা আছে যে, তার কথার অবাধ্য হবেন?’ তিনি বলেন, এভাবে  কোনো নির্বাচন দেশে হতে দেওয়া হবে না।
বিরোধীদলীয়  নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে মূল মঞ্চে ইফতারে অংশ  নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম এ মাজেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী  ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিয়া, মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন  খোকন, মাহফিলের আহ্বায়ক চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ  ফেডারেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, ড্যাব সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ইউট্যাব সভাপতি আফম ইউসূফ হায়দার, মহাসচিব তাহমিনা আক্তার টফি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. খন্দকার  মোস্তাহিদুর রহমান, এমবিএ সভাপতি  সৈয়দ আলমগীর, এমবিএ মহাসচিব শাকিল আক্তার, এ্যাব সভাপতি কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী বাবলা, ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, শিক্ষক কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ  সেলিম ভূইয়া, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক  জোটের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

0 Comments
<<Previous
    Picture

    নিউজ সার্চ

    All
    আওয়ামী লীগ
    আওয়ামী লীগ
    ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি
    ইসলামী ঐক্য জোট
    এলডিপি
    ওয়ার্কার্স পার্টি
    কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ
    গণতন্ত্রী পার্টি
    গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা
    গণফোরাম
    জনসংহতি সমিতি
    জাতিসংঘ
    জাতীয় পার্টি
    জামায়াত
    জাসদ
    নির্বাচন কমিশন
    বাংলাদেশ
    বাংলাদেশ
    বাসদ
    বিএনপি
    বিএনপি
    ভারত
    সরকার
    সার্ক
    সিপিবি
    হাইকোর্ট
    হেফাজতে ইসলাম

    নিউজ আর্কাইভ

    April 2018
    March 2018
    February 2018
    January 2018
    December 2017
    November 2017
    October 2017
    September 2017
    August 2017
    July 2017
    June 2017
    May 2017
    April 2017
    March 2017
    March 2016
    September 2015
    August 2015
    January 2015
    December 2014
    November 2014
    January 2014
    December 2013
    November 2013
    October 2013
    September 2013
    August 2013
    July 2013
    June 2013
    May 2013
    April 2013
    December 2012
    November 2012
    May 2012
    March 2012
    February 2012
    January 2012
    December 2011
    November 2011
    October 2011
    September 2011
    August 2011
    July 2011
    June 2011
    February 2011
    November 2010
    October 2010
    September 2010
    August 2010
    July 2010

    Top
Powered by
✕