নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা, ২৫ জুন : এজেন্ট বের করে দেয়া ও জাল ভোটের অভিযোগ তুলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার৷ কিন্তু বিএনপির দাবি না মেনেই শেষ হলো গাজীপুর সিটি নির্বাচন। নানা অভিযোগসহ ৯টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এর আগে সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। এদিকে নির্বাচনে নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ৪২৫ কেন্দ্রের মধ্যে ২১৫ কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০৭৯৫২ ভোট। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪১৪৭০ ভোট। এছাড়া অনিয়মের অভিযোগে নয়টি ভোটকেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে।
এই নির্বাচনে অন্তত ১০০টি ভোট কেন্দ্র আওয়ামী লীগ দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী হাসান উদ্দীন সরকার। অপরদিকে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, সব শেষ অনিয়মের অভিযোগে নয়টি ভোটকেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। আর একটি কেন্দ্রে আধা ঘণ্টার জন্য ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার গাজীপুর সিটি নির্বাচন বন্ধের দাবি জানান। প্রায় ১০০ কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে তার দাবি। তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ভোট বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। তিনি এ দাবি জানান। তবে কোন ১০০ কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
২১৫ কেন্দ্রে নৌকা ২৪১৪৭০ ধানের শীষ ১০৭৯৫২
