মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগরের বাসিন্দা কামাল খানের পুত্র সফিকুল (১৭) গত ৪ দিন ধরে ঢাকায় নিখোঁজ হয়েছে। কিশোর সফিকুল রাজধানীর কদমতলী থানাধীন পূর্ব জুরাইন নূরানী হাফেজী মাদ্রসায় হাফেজ বিভাগে লেখাপড়া করতো। সফিকুল ইসলামের নিখোঁজের ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক সাইদুর রহমান সাঈদ শুক্রবার কদমতলী থানায় জিডি করেছেন।
সফিকুলের মা শাহিনুর বেগম জানান, কিশোর সফিকুল রাজধানীর পূর্ব জুরাইন নূরানী হাফেজী মাদ্রসায় হাফেজ বিভাগে লেখাপড়া করে। গত বুধবার আসর নামাজবাদ অজ্ঞাত কারনে মাদ্রাসার ছাত্রাবাস থেকে বেড়িয়ে আর ফেরৎ আসেনি বলে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকেরা জানিয়েছে। এরপর সম্ভব্য সকল জায়গায় খুঁজে সফিকুলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি সফিকুলের সন্ধান পেয়ে থাকেন তাহলে নিকটস্থ থানা বা ০১৭১৮-৭৫০৬২২ (শিক্ষক), ০১৭৭৫-৯০৩৮৩৬ (মা), ০১৭২৫-৫৭৪৪২১ (মামা) মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
মঠবাড়িয়া হাসপাতালের ঝাড়ুদার শহিদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঝাড়–দার শহিদুল ইসলাম শহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শহিদ পিরোজপুরের সদর থানার ভাইজোড়া গ্রামের মৃত. আঃ গণি খন্দকারের ছেলে। শহিদ প্রায় দশ বছর ধরে মঠবাড়িয়া সদর হাসপাতালে বহাল তবিয়াতে কর্মরত আছে। ঝাড়–দার হলেও তিনি যেন ওই চত্বরের স্ব-ঘোষিত বাহাদুর। তার ভয়ে প্রকাশ্যে কেহ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সে জেলা শহরের প্রথম শ্রেণীর সরকারি দলের এক শীর্ষ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয় দেখান। শহিদ হাসপাতালের পরিত্যাক্ত ভবন দখল করে সেখানে হাসপাতালের পুরাতন আসবাবপত্র, লোহা-লক্কর, বৈদ্যুতিক ও সরকারি বিভিন্ন মালামল পরিতাক্ত ভবনে জমা করে গোপনে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। শহিদ ডিউটির নামে রাতের আধাঁরে হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন জিনিস পত্র বাসায় নিয়ে যায়। তার সাথে ভাঙ্গারি দোকান মালিকদের সাথে গভীরভারে যোগাযোগ আছে। ওইসব মালামাল রাতের আধাঁরে তাদের কাছে বিক্রি করে। নাম প্রকাশ না শর্তে একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, শহিদ রুগিদের ডাক্তারের কাছ থেকে ভাল সার্টিফিকেট এনে দিবে মর্মে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সার্টিফিকেট না দিতে পারায় টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে রুগিদের ভয়-ভিতি দেখায়। উপজেলার উত্তর মিঠাখালী প্রামের মর্তুজার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৮০ হাজার জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছ থেকে ২০ হাজার, পরিবার পরিকল্পনা সমিতির সাবেক এক কর্মকর্তার স্বজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় একাধিক শালিস ব্যবস্থা ও জরিমানা গুনতে হয়েছে তাকে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন জনে শহিদের নামে বার-বার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও বিগত দিনে অজ্ঞাত কারনে কর্মকর্তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সরজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতরে গরু, ছাগল, হাস, মুরগীর মিনি খামার তৈরী করেছেন। যে কারনে হাসপাতালের পরিবেশ নস্ট হয় এবং দুগন্ধ ছড়িয়ে রোগ জীবানু তৈরি হয়। জানালার ফাক দিয়ে দেখা গেছে তার রুমে বিভিন্ন সরকারি মালামাল। যা তিনি ভাঙ্গারী হিসেবে বিক্রির জন্য জমা করেছে।
এব্যপারে শহিদের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি একজন ডাক্তারের সামনেই সাংবাদিকদের সাথে চড়াও হয়ে বলেন, যেখানে জবাব দেওয়া লাগে সেখানে জবাব দিব।
এব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঝাড়–দার শহিদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে আমরা তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দোষী প্রমানিত হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।