জি এম জাকির হোসেন:
দাকোপ : বীনাপানি সরকারী বিদ্যালয়সহ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণতা আজও কাটেনি। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের ভৌত অবকাঠামোর দিকে সুনজর না থাকায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষক মন্ডলীর ভোগান্তী এখন চরমে।
সংশ্লিষ্ট এলাকা ও বীনাপানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার গাইন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৯৩৮ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। ১৯৯২ সালে ফ্যাসালিটিষ্ট ভবনের ব্যবস্থা হলেও তার সংস্কার মেরামতের ব্যবস্থা হয়নি।ফলে ভবনটি পরিবর্তন করার জন্যে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সন্তোষজনক। অতি দ্রুত ভবন নির্মানের ব্যবস্থা করা না হলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমন্ডলীদের ভোগান্তী র্আও বেড়ে যাবে। লাউডোব ইউনিয়নের খুটাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে স্থাপিত।১৯৮৯ সালে ২ রুম বিশিষ্ট ফ্যাসালিটিষ্ট ভবনের ব্যবস্থা করেন সরকার। প্রায় ৩০বছরে সংস্কার বিহীন টিনসেট ভবনে বর্ষা এলেই পানিতে শিক্ষার্থীরা ভিজে পাঠ দানে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভবন পরিবর্তন ছাড়া উন্নতির কোন সুযোগ নাই। অপর দিকে বাউন্ডারী ,পাচিল, শহিদ মিনার, অবকাঠামোর দারুন অভাব। এ ব্যাপারে প্রধাণ শিক্ষিকা নিবেদিতা বালা জানায় পশুর নদীর কাছাকাছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থাকায় প্রায় সময় ভয়াবহ জলোাচ্ছাস দেখা দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সাইক্লোন সেন্টার কাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একান্ত জরুরি। কৈলাশগঞ্জ অরুনোদয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে স্থাপিত। সুন্দরবন গা ঘেশা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে কেউ নজর রাখার সময় পায় না। এমনকি কথা দিয়েও কথা রাখে না। ভবন নির্মিত হবে, আশায় আশায় দিন গেল আশা পূরণ হলো না। প্রধাণ শিক্ষিকা মন্ডলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সন্তোষজনক ফলাফলের মধ্য দিয়ে তার সহকর্মীরা স্থানীয় কমলমতিদের প্রতি সুনজর রেখে নিষ্ঠার সাথে পাঠদানে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পূর্ব বাজুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্নতা আজও কাটেনি। প্রতিষ্ঠানের প্রধাণ শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানের উন্ননকল্পের জন্য স্ব স্ব কাগজপত্রাদি উধঃতন কতৃপক্ষের দপ্তরে প্রেরণ করেছে বটে, অপেক্ষায় আছে কোন দিন সরকারের সুনজর আসবে। আমতলা বানিশান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে স্থাপিত । দীর্ঘ ২০ বছরেও তাদের বেতনভাতা জোটেনি। সরকারের নির্দেশ পালন করে যাচ্ছে। ১০ জন শিক্ষক কর্মচারী জরাজীর্ন টিনসেট ঘরে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধাণ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার হালদার পশুর নদীর তীরে পাঠদান অব্যহত রেখেছেন। নি¤œচাপ আর জলোচ্ছাস এলেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোথাও যাওয়ার স্থানটুকু তাদের নাই। এ করুন সমস্যার সমাধান ঘটাতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধাণ মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী বলে দাবী জানালেন অবহেলিত দাকোপের কোমলমতি ভুক্তভোগীরা।
টিনসেট ঘরে পাঠদান : দাকোপে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্নতা আজও কাটেনি
