নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা : বিএনপি নেতা ও সাবেক সাংসদ মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ নয়জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ওই নয়জনের বিরুদ্ধে আট মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের প্রায় ৬৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ৮২ টাকা হিসেবে) দুবাইয়ে পাচার করে অফশোর কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ, দুবাইয়ে আরও শত কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানেও এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছে, এসব ব্যক্তি দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তাঁরা যাতে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে।
মোসাদ্দেক আলী ছাড়া আর যাঁদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন আরএকে পেইন্টস ও আশালয় হাউজিংয়ের পরিচালক এস এ কে একরামুজ্জামান, তাঁর ছেলে এবং আরএকে পেইন্টস ও আরএকে কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের পরিচালক কামার উজ জামান, আরএকে কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের পরিচালক মোহাম্মদ আমির হোসেন, ঝুলপার বাংলাদেশ লিমিটেড ও রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান, আরএকে কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের পরিচালক এম এ মালেক, রোজা প্রোপার্টিজের পরিচালক আশফাক উদ্দিন আহমেদ, আরএকে পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক মাকসুদুল করিম এবং আরএকে পেইন্টস ও আরএকে ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিচালক শায়লিন জামান আকবর।
এই নয়জনের তথ্য জানতে নির্বাচন কমিশনে আলাদা আরেকটি চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে নয়জনের জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দুটি চিঠিতেই সই করেছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুনে এ-সংক্রান্ত অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান দলের আরেক সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
ফালুসহ ৯ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
