আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
জেনেভা: ৮০ বছর বয়সে থেমে গেল জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের প্রাণ-স্পন্দন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জাতিসংঘ সূত্রকে উদ্ধৃত করে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
শনিবার দুপুরে সুইজারল্যান্ডে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। কফি আনান প্রথম আফ্রিকান হিসেবে জাতিসংঘের মহাসচিব হোন। তিনি যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন। বিশ্বের শীর্ষ এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত।
জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা টুইটারে লিখেছে, আজ আমরা এক মহৎ প্রাণ, নেতা ও স্বপ্নদর্শী মানুষ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে হারানোয় শোকাচ্ছন্ন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা পৃথক শোকবাণীতে বলেন, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার দেশ বরেণ্য সাংবাদিক। তার মৃত্যুতে দেশের যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো তা কোনো দিন পূরণ হবার নয়। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
১৯৩৮ সালে ঘানায় জন্ম নেওয়া কফি আনান জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব ছিলেন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ওই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কর্মী হিসেবে জাতিসংঘে যোগ দিয়ে তিনিই প্রথম সংস্থাটির শীর্ষ পদে আসীন হয়েছিলেন। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
২০০৭ সালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক নেতাদের গ্রুপ দ্য এলডারস’র প্রতিষ্ঠা হলে এর সদস্য হন কফি আনান। ২০১৩ সালে ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি।
জাতিসংঘকে নতুনভাবে গড়ে তোলা এবং মানবিক কর্মকা-ে ভূমিকার রাখার জন্য তিনি ২০০১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তবে ইরাকে মার্কিন অভিযানের সময় বিপক্ষে অবস্থান নেয় সংস্থাটি। ওই অভিযানকে ‘অবৈধ’ অভিযান বলে বর্ণনা করেছিলেন আনান।
কফি আনানের ভাষায় তার সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ- দারিদ্র আর শিশু মৃত্যু কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রথম এ ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তীতে সিরিয়া সংকট মেটাতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান আর নেই
