ডেস্ক রিপোর্ট :
ঢাকা: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের দাবি না মানলে আন্দোলন করেই তা আদায় করা হবে, বলছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ। “কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় তা আওয়ামী লীগের কাছেই শিখেছি” – বলেন তিনি।
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বি. চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট যে ৫-দফা দাবি তুলে ধরেছে – তার প্রথমটিই হচ্ছে ‘বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের’ দাবি। তাতে এটাও বলা হয়েছে যে ‘নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না’। খবর বিবিসি।
“সারা দেশের মানুষ যেটা চায় সেটাই তো করতে হবে। সংবিধানে কি আছে সেটা বড় কথা নয়। তাহলে তো ১৯৯৪-৯৫ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কি বলেছিলেন সেটা দেখতে হবে” – বলেন মওদুদ আহমেদ।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন তত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা ফিরে আসার আর কোন সুযোগ নেই, এ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে – এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা কতটা হতে পারে?
বিবিসি বাংলার প্রশ্নের জবাবে আহমেদ বলেন, “এই একই কথা সেসময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন। তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ কথা মানেন নি। সর্বদলীয় সরকারের কথা স্যার নিনিয়ান বলেছিলেন, সেটাও মানেন নি – বলেছিলেন সর্বদলীয় সরকার নয় আমরা আন্দোলন করছি নির্দলীয় সরকারের জন্য। সে দাবি আদায়ের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করা হয়েছিল। আর এখন তিনি সংবিধান পরিবর্তন করে ঠিক আগের অবস্থানে ফিরে গেছেন।”
তার মানে কি বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করবে নিরপেক্ষ সরকারের অর্ধনে নির্বাচনের জন্য? দেশ কি সংঘাতের দিকে যাবে?
জবাবে মওদুদ আহমেদ বলেন, সেটাই আমরা চেষ্টা করবো। আমরা তো সংঘাত করবো না, সেটা সরকারের ওপর নির্ভর করবে।
“আমাদের তো একটা ঘরোয়া বৈঠকও করতে দেয়া হয় না। আমাদের কয় হাজার নেতাকর্মীকে কারাবন্দী করেছে, কয় হাজার মামলা দিয়েছে? এসব কি আপনাদের চোখে পড়ে না? আর আমাদের বলছেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য – যারা এখনই আমাদের কোন স্পেস দিচ্ছে না?” পাল্টা প্রশ্ন করেন আহমেদ।
দাবি না মানলে আন্দোলন করেই তা আদায় করা হবে: মওদুদ
