নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর : বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার রায় আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঘোষণা করা হবে। ভারতের শিলংয়ের একটি আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ের সালাহদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। দোষী সাব্যস্ত হলে সালাহউদ্দিনের সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদ- হতে পারে। এ বছরে আগস্টের ১৩ তারিখে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর তা রায়ের জন্য অপেক্ষা মান রাখেন আদালত।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তিনি আশা করছেন ন্যায় বিচার পাবেন। বাংলাদেশের মানুষ জানে কি ঘটেছিল। আদালতে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। তিনি জানান, এর আগে চারবার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছে। সালাহউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী এ পি মহন্তে বলেন, এ ধরনের মামলার কার্যক্রম শেষ হতে এত সময় লাগার বিষয়টি ‘বিরল’। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেল ন্যায় বিচার পাবেন। আদালতে সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আদালতে বলেছেন, ২০১৫ সালে মার্চে তাঁকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস পর কে বা কারা তাঁকে শিলংয়ে ফেলে যায়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসলে তিনি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতি আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তিনি প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে যখন তিনি আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্য মনোনীত হন।
সালাহউদ্দিনের মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর
