নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢকা ২৯ ডিসেম্বর : ভয়কে জয় করে কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ইচ্ছামতো ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
ভোটে সবার জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশও দিয়েছেন সিইসি। বলেন, ‘কোন সহিংস অপরাধ সংগঠিত হলে বা নাশকতামূলক অবস্থান সৃষ্টি করলে কঠোর হাতে দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। অবৈধভাবে ভোটকেন্দ্রে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণ করবে। কোন কারণে দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোটের আগের দিন নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরেন সিইসি। এ সময় তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
কোন প্রকার প্রলোভন ভয়-ভীতিতে নতি স্বীকার না করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান সিইসি। সিইসি বলেন, ‘আমি সকলের প্রতি অনুরোধ করতে চাই, নির্বাচনে সহিংসতা পরিহার করুন। কোনো রকম প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফলভাবে নির্বাচন অসুষ্ঠিত হবে বলে আশা করি।’
এবার ভোটের প্রচারে নামার পর নানা সহিংসতা হয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করছে, তারা যাদের এজেন্ট করেছে তাদেরকেও হয়রানি করা হচ্ছে। সিইসি বলেন, ‘গণমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম প্রার্থীর এজেন্টদের হয়রানি করা হচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে পুলিশ তাদের যেন হয়রানি না করে এবং তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে।’
‘প্রার্থীর এজেন্টের দায় দায়িত্ব অনেক। তারা প্রার্থীর প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা প্রার্থীর স্বার্থ বিবেচনা করে নির্বাচনের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত তারা কেন্দ্র ত্যাগ করবেন না। কেউ যদি তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে, তাহলে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে পারেন।’
গণমাধ্যমকর্মীদের হয়রানি না করতেও পুলিশকে অনুরোধ করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের মাধ্যমে নির্বাচনের চিত্র দেখতে পাই। তারা সংবাদ পরিবেশনকালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাগণের যেন কাজে সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।’
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশ দেন সিইসি। বলেন, ‘আপনাদের কারণে যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আপনাদের জন্য যেন কোনো প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং তারা যেন ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।’
প্রার্থীদেরকেও আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার অনুরোধ করেন নুরুল হুদা। বলেন, ‘ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেন। নির্বাচনী প্রতিযোগিতা যেন সহিংসতায় পরিণত না হয়। কিন্তু দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি তবুও নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে। এগুলো আমাদের কাম্য ছিল না। সহিংসতার কারণে যেখানে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেখানে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভয়কে জয় করার আহ্বান সিইসির
