বায়েজীদ:
পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা : অসহায়দের কে সহায়তা করুন শীতের তীব্রতা হতে রক্ষায়। শীতকাল সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতেও শীতের তীব্রতা একটু বেশী। এই শীতে একটু ভারী কাপড় বা ভারী বস্ত্র ছাড়া শীত নির্বারণ ব্যাপক কষ্টসাধ্য বটে। যদি শীত নিবারণে কোন বস্ত্রাদি না থাকে তবে ঘুমানোর কোন উপায় নেই কারো।
শীতের তীব্রতার মাঝে প্রতিটি রাত কেটে যায় গোলেজা,আমিনা, জামিনা পঞ্চাশ উর্দ্ধো বিধবা তিন বোনের। তিনবোনের একজনের একটি মাত্র মেয়ে তার বিবাহ হয়ে গেছে। তিনকুলে তাদের আপনজন কেউ নেই। গ্রামের সকলের দয়া দক্ষিণা ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করেন তারা তিনবোন।
পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর হাঁসবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুসলিম শিশুপল্লীর উদ্যোগে এক্সিম ব্যাংকের সহযোগীতায় মাজেদার রহমান দুলুর শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ কালে দেখা যায়। আমিনা মাঠে চোখে পানি নিয়ে কেদেঁ বলছে, স্যার আমার এনা কম্বল দেন।
শীতের সারারাত কাটে চোখে ঘুম আসেনা ঠান্ডায়,কম্বল সবাই পায় হামরা পায় না।একটা কম্বল নিয়ে দেন হামি আর ঠান্ডা সহয্য করতে পাইনা আমার খুব কষ্ট হয়। হামরা তিনটা বিধবা বোন বাপের এলাকায় পরে জায়গায় থেকে ভিক করে চায়া চিন্তে খাই। কেউ আমাদের দিকে দেখে না। কয়েকদিন আগে একটা গেঞ্জি চায়া নিছি তাক দিয়ে হামার শীতে ঠান্ডা যায় না এভাবে বলছে আর চোখ বয়ে পানি ঝড়ছে।
পলাশবাড়ী উপজেলা হোসেনপুর ইউনিয়নের মধ্যরাচন্দ্রপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে অন্যের জায়গায় বসবাস করে মৃত নছির উদ্দিনের তিন মেয়ে পঞ্চাশ উর্দ্ধো গোলেজা, আমিনা,জামিনা বিধবা তিনবোন কোন প্রকার ভাতা পায় না, পায় না কোন সরকারি সুবিধা। সমাজের বিত্যবানদের সহ উপজেলায় সরকারের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাগণের নিকট সকলের কাছে নিবেদন আসুন অসহায় কে সহায়তা করি।
আপনাদের একটু সহায়তা ও মানবিকতায় লাগব হবে শীতের এ কষ্টসহ জীবন বাচাতে যত কষ্ট।