নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে নিখোঁজের ২ দিন পর মেহরাজ হোসেন (৭) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা দিকে নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাদাতপুর গ্রামের ধান ক্ষেতের আড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ।
নিহত মেহরাজ হোসেন বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের প্রবাসী সোলেমানের ছেলে।
নিহত শিশুর মা রুনা আক্তার বলেন,বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা ছুটির পর সে বাড়ী আসার পথে নিখোঁজ হয়। মেহেরাজ বাড়ী ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে কোথাও খুজে না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে রুনা আক্তার তার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি ডায়েরী করেন।
তিনি আরো বলেন, শনিবার দুপুর দেড়টার সময় অপরিচিত একটি মুঠো ফোন থেকে তার মোবাইলে কল করে এক ব্যাক্তি তার কাছে ছেলের মুক্তিপন দাবী করেন। এ সময় রুনা আক্তার মুক্তিপন বাবদ কত টাকা জানতে চাইলে পরে জানানো হবে বলে মুঠো ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার চার ঘন্টার পর মেহেরাজের মৃত দেহ মিললো সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাদাত পুর গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের আইলের পাশ থেকে। শনিবার বিকেল ৬টার সময় স্থানীয় লোকজন মেহেরাজের মৃত দেহ ধান ক্ষেতের আইলের পাশে পরে থাকতে দেখে সুধারাম থানায় খবর দেয়।
পরে খবর পেয়ে সুধারাম থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, অপহরণ শেষে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে লাশ ধান ক্ষেতের আইলের পাশে ফেলে রাখে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মেহেরাজ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় করা জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন বলেন ,শনিবার দুপুরে অপহরণকারীরা নিহত শিশুটির মায়ের মুঠো ফোনে কল করে মুক্তিপন দাবী করলে মেহেরাজের মা তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। তিনি আরো জানান,নিখোঁজ ডায়েরীর সুত্র ধরে পুলিশ অপহরণকারী ও ঘাতকদের গ্রেফতার করতে মাঠে নেমেছে।
নোয়াখালীতে নিখোঁজের ২ দিন পর মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
