নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো রাসেলকে ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা বিকেল ৩টার মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা না গ্রিন লাইন পরিবহনের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে আদালত।
বুধবার সকালে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার শামসুল হক রেজা। গ্রিনলাইনের পক্ষে ছিলেন মো. অজিউল্লাহ।
এদিকে এক মাস সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে গ্রিন লাইন পরিবহনের কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্টের নির্দেশনা সত্ত্বেও বাসচাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ দেয়নি গ্রিনলাইন পরিবহন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারকরা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় গ্রিনলাইনের ব্যবস্থাপককে তলব করে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ না দিলে ওই পরিবহনের সব বাস জব্দ করা হবে। প্রয়োজনে সব বাস নিলামে তুলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে গত ৩১ মার্চ গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিনলাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
গত ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথাকাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাঁ পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়ীতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় তার বাসা।
ওই ঘটনায় উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন। পরে আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।
রাসেলকে ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা ৩টার মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ হাইকোর্টের
