Sunday, May 28, 2023
Home > আঞ্চলিক সংবাদ > ফাহাদের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম

ফাহাদের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম

এপিপি বাংলা : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার ঘটনায় তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মায়ের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করছেন। তার মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
পরিবারের সদস্যরা বুঝে উঠতে পারছেন না, এত মেধাবী, শান্ত ছেলেটিকে কারা হত্যা করল।
পরিবার জানিয়েছে, ফাহাদের কোনো শত্রু ছিল না। তাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক। তাদের সন্তানকে কেন এভাবে জীবন দিতে হলো, বুঝে উঠতে পারছেন না।
রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ফাহাদের বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন।
মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকে। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের কাছেই তার হোস্টেল।
কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের বাসার পাশেই তাদের বাড়ি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ১০ দিন আগে ছুটিতে দুই ভাই বাড়িতে এসেছিলেন। ২০ তারিখ পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলেন আবরার। তবে সামনে পরীক্ষা, পড়া হচ্ছে না বলে গতকাল ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘গতকাল সকালে আমি তাকে নিজে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। সে ঢাকায় রওনা দেয়। মাঝে তিন থেকে চারবার ছেলের সঙ্গে কথা হলো আমার। বিকাল ৫টায় হলে পৌঁছে ছেলে আমাকে ফোন দেয়। এর পর আর কথা হয়নি। রাতে অনেকবার ফোন দিয়েছিলাম, ফোন ধরেনি।’
ছেলের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার দাবি জানান তিনি।
চাচা মিজানুর রহমান বলেন, সে শিবিরের কর্মী, এমন কথা রটাচ্ছে সবাই। এটা বানোয়াট, আমরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। হানিফ সাহেবের বিভিন্ন মিটিংয়েও আমরা যাই। আবরার এমনিতে তাবলিগে যেত। বুয়েটে ভর্তির পর দুই-তিনবার সে তাবলিগে গিয়েছিল।

Like & Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *