এপিপি বাংলা : যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকাসহ নিজ আসনে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন বেশ জোরেশোরেই। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও দলের প্রার্থীকে জেতাতেই কাজ করেছেন নিরলসভাবে। এরপর তিনি সব সময় দিবারাত্রি ছুটে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যেকোনো নেতাকর্মীদের বিপদের সময়। আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য যুবলীগের সম্মেলনে শীর্ষ পদে অনেকে দাবিদার থাকলেও তাদের সবার থেকে অনেকটাই ক্লিন ইমেজ নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন মহি।
এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে চলমান ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অনেক যুবলীগের নাম উঠে আসলেও সেখানে মহির বিরুদ্ধে কোনো মহল থেকেই কোনো ধরণের অভিযোগ উঠেনি। নেতাকর্মীদের আস্তা অর্জন করা মহি এবার যুবলীগের শীর্ষ পদে লড়াই করতে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন মানসিকতা নিয়ে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সারাদেশের প্রায় সব ধরণের মানুষের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। ওয়ান ইলেভের দুঃসময়ে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসাবে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলন থেকে শুরু করে রাজপথে সব সময়ই সক্রিয় ছিলেন মহি। এমনকি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি জামায়াতের তাণ্ডবের মুখে যে লগি বৈঠা আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এমনকি ওই ঘটনায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল, সেই মামলার আসামিও করা হয়েছিল মহিউদ্দিন আহমেদ মহিকে। উল্লেখ্য, আগামী ২৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সম্মেলনে শীর্ষ পদে মেধাবি, পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতাদেরই মূল্যায়ণ করা হবে বলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ঘোষণা দিয়েছেন।