পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় নিত্য পণ্যের দাম আরেকধাপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এদিকে আন্দোলনরত নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা বলছেন, ১১ দফা দাবি নিয়ে নৌযান মালিকরা টালবাহানা করছে।
এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তারা।দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দর থেকে প্রতিদিন স্থানীয় ও দূরপাল্লা রুটের শতাধিক নৌযান ছেড়ে যায়। হাজারো যাত্রী এবং নৌযান শ্রমিকদের পদভারে মুখরিত থাকে বরিশাল নদী বন্দর। কিন্তু আজ শনিবার সেই নদী বন্দরে দেখা গেছে শুনসান নীরবতা। সকাল ১০টার পরপরই সকল যাত্রীবাহি নৌযান নদী বন্দরের থেকে সরিয়ে মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয়।
পণ্যবাহী জাহাজগুলোও নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে মাঝ নদীতে।যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নৌপথের যাত্রীরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে যাত্রীবাহী নৌযানের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে পণ্য ও জ্বালানিবাহী নৌযান। এতে পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নৌযান শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকদের সবগুলো দাবি ন্যায্য এবং যৌক্তিক। সরকার গেজেট প্রকাশ করার পরও মালিকরা শ্রমিকদের সাথে টালবাহানা করছে। সরকারের গেজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে নৌ-পথের নিরাপত্তাসহ চাকরির নিশ্চয়তা চান তারা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মো. আবুল হাশেম মাস্টার জানান, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। ১১ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি চলবে।
অপরদিকে লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেছেন, শ্রমিকদের কর্মবিরতি অবৈধ। তাদের বেশিরভাগ দাবি ইতিপূর্বে বাস্তবায়ন হয়েছে। তারপরও তারা কর্মবিরতির নামে মালিক এবং যাত্রীদের জিম্মি করেছে। তিনি শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান।