এপিপি বাংলা : কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মকে পাকিস্তানী বাহিনীর নির্মমতা জানানোর জন্য বধ্যভূমি সংস্কার ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের জেলা সদর পানির ট্যাংক সংলগ্ন বধ্যভূমির সংস্কার ও নবনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান আছে। যারা বিচারের আওতায় আসেনি তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
টাঙ্গাইলের প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার উল আলম শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুব, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতীক, খন্দকার জহুরুল হক ডিপটি, পাবলিক প্রসিকিউটর এস আকবর খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার কাজী গোলাম আহাদ।
এ সময় শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি ও বেসরকারি দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী বীর বাঙালিদের ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যা করে তাদের লাশ টাঙ্গাইল জেলা সদর পানির ট্যাংক সংলগ্ন স্থানের জঙ্গলে ফেলে দিত। এই বধ্যভূমিটি দীর্ঘদিন অযত্ন-অবহেলায় পড়ে ছিল। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই বধ্যভূমির স্থান সংস্কার করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
নতুন প্রজন্মকে পাকবাহিনীর নির্মমতা জানাতে বধ্যভূমি সংস্কার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
