এপিপি বাংলা : করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা লোকজনকে দুই সপ্তাহের বেশি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে জানিয়েছে হংকং।
শুক্রবার পর্যন্ত এই ভাইরাসে ৭২৪জনের বেশি মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি। ঠিক এমন একটি সময়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের মহামারী রুখতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে হংকং।
খবরে বলা হয়, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা পর্যটকদের তাদের হোটেল কক্ষে একাকী থাকতে হবে কিংবা সরকারপরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে যেতে হবে।-খবর বিবিসির
আর চীন ফেরত হংকংয়ের বাসিন্দাদের এই সময়ের মধ্যে নিজেদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই নিয়মের লঙ্ঘন ঘটলে তাদের কারাদণ্ড ও জরিমানার শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
মধ্যরাতের ডেডলাইনের আগে চীনের সীমান্ত শহর শেনঝেনয়ে হাজার হাজার পর্যটক হংকংয়ে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে।
হংকংয়ে এখনো পর্যন্ত ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং একজন ব্যক্তি মারা গেছেন।
চীনে শুক্রবারে ৮৬ জনের বেশি মারা গেছেন। যেটা এই ভাইরাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। ২০০২-২০০৩ সালে সার্সে ৭৭৪জন মারা গিয়েছিলেন। কাজেই এই ভাইরাসে মৃত সেই সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
এদিকে ভোঁদর ও বাদুড়ের পর এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণে দায়ী করা হচ্ছে বিপন্ন প্রাণী বনরুইকে। চীনের একদল বিজ্ঞানী বলেন, এই ভাইরাসের আদি পোষক বাদুর হলেও মানুষের শরীরে বিস্তারে আরেকটি প্রাণীর ভূমিকা রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে বনরুই।
গুয়াংজু প্রদেশের দক্ষিণ চায়না কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ভাইরাসটির আরএনএ বিন্যাসের সঙ্গে বনরুইয়ের শরীরে পাওয়া করোনাভাইরাসের বিন্যাসের ৯৯ শতাংশ মিল পেয়েছেন। এ নিয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৭২৪জন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া প্রাণীদের একটি গায়ে আঁশযুক্ত একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী বনরুই। চীন ও ভিয়েতনামে কবিরাজি চিকিৎসায় পিঁপড়েখেকো এই প্রাণীর মাংস ও আঁশ ব্যবহার করা হয়।
ভাইরোলজির ভাষায় এ ধরনের পোষক প্রাণীকে বলা হয় মধ্যবর্তী বাহক। তবে চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণার এই ফল কতটা বিশ্বাসযোগ্য, সেই প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, নিশ্চিত করে বলার আগে এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।
করোনাভাইরাস রুখতে হংকংয়ের নতুন নিয়ম
