Wednesday, December 6, 2023
Home > বিশেষ সংবাদ > লোক সমাগমে না যেতে বললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি নেই!

লোক সমাগমে না যেতে বললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি নেই!

 

এপিপি বাংলা : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশও এই ভাইরাসের ঝুঁকিমুক্ত নয়. এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণ কমাতে জনসমাগম এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হলেও খোলা রয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। এই দ্বিমুখি নীতি নিয়ে সরব এখন সোশাল মিডিয়া। ফেসবুক বেশিরভাগ মানুষই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন।

সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পরিবেশ এখনো হয়নি।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেবেন।চিকিৎসকরাতো বলছেনই লোক সমাগমে না যেতে।স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিজগিজ করছে ছাত্রছাত্রী ষ্টাফরা।পরিবেশ কি খুব স্বাস্হ্যকর?ক্যাম্পাস ও হলের পরিবেশ কেমন? তাহলে আগাম সচেতনতা ও সতর্কতার প্রশ্ন কোথায় দাঁড়ালো?আমাদের সন্তান বা শিক্ষক ষ্টাফরা আক্রান্ত হলেই ব্যাবস্হা নেবেন?কবে বন্ধের পরিবেশ হবে!ভারতে দুজন মারা গেছে।তার আগেই দিল্লীর সব প্রাইমারী স্কুল বন্ধ।আমাদের সন্তানরা যখন স্কুলে যায় বড় ভয় হয়।অজানা আশংকায় থাকি।’

শারমিন মোস্তফা নামে একজন অভিভাবক লিখেছেন, ‘করোনা ভাইরাস বাংলাদেশ এ, গ্যদারিং প্লেস এ সবাই কে যেতে মানা করা হয়েছে। কিন্তু স্কুল, কলেজ বন্ধ করেনি।আমার প্রশ্ন হলো – আমাদের স্কুল এ ২২০০ ছাত্র ছাত্রী। এতগুলা বাচ্চা একত্রে থাকা কি রিস্কি নয়? নার্সারি, কেজি, ওয়ান, টু যখন ছুটি হয় অনেক ভিড় হয়। বাচ্চারাকে ভিড় এরিয়ে টেনে বের করতে হয়। তার ওপর বাড়তি রিকশাওয়ালারা। গার্ডিয়ানদেরও হয়ে যায় ঠেলাঠেলি অবস্থা। এমন অবস্থায় স্কুল খোলা রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত?’

রাজিব আহমেদ নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এখনো কি স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সময় হয়নাই? বুঝলাম না কর্তৃপক্ষ কি কেও মারা যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেছে নাকি? কি এমন ক্ষতি হবে যদি ১০-১৫ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ রাখা হয়? পরে তো এক্সট্রা ক্লাস করেও কাভার করা যাবে। বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে একবার মহামারী আকার ধারণ করলে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে দাড়াবে ভাবা উচিত ।’

ফারাহ দীবা দীপ্তি লিখেছেন, ‘সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা উচিত! উন্নত বিশ্বে উন্নত চিকিৎসার এত সুব্যবস্থার পরও তারা করোনাভাইরাসের চিকিৎসাতো দূর, মৃত্যুও ঠেকাতে পারছে না! সেখানে বাংলাদেশ কীভাবে সামাল দেবে, আল্লাহই জানেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলে অন্তত আমরা আমাদের সন্তানদের সুরক্ষা করার বা রোগ হয়ে থাকলে তা থেকে অন্যের মাঝে সংক্রমিত হওয়াটাতো রোধ করতে পারব।’

স্কুলশিক্ষক আহমেদ সাইফ লিখেছেন,‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয় ক্লাশরুম আর পরীক্ষার হলে। এই দুইটা জায়গায় হাত না দিয়ে একের পর এক সচেতনতা বৃদ্ধির নির্দেশনা পাচ্ছি! একজন শিক্ষক হিসেবে আমার অবজারভেশন হলো, প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা মোটেও উচিত হবে না, বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *