মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামঃ বছর ঘুরে পূণরায় আর মাত্র ০১দিন পর আসছে পবিত্র মাহে রমজান। রজমান আসলে দেখা যায় বহির্বিশ্বের বহুদেশ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ভর্তুকি দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য কমিয়ে সর্বসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় নিয়ে আসে। আর এই রমজান কে লক্ষ্য করে আমার দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ি প্রতিবছর দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেই। প্রতিবারের ন্যায় এবারও অসাধু ব্যবসায়িরা অধিক মোনাফার লোভে এরিমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি চাউল, ডাল সহ মসলার মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত কিছুদিন পূর্বেও যে পণ্যের দাম আদার মূল্য ১৫০টাকা ছিল আজ সে আদার মূল্য ৩৫০টাকা। যে চাউলের বস্তার মূল্য ছিল ২১০০ টাকা আজ সে বস্তার মূল্য ২৪-২৫০০ টাকা। রমজান মাসে চাউল ও মসলার মূল্য স্থিতিশীল এই অসাধু ব্যবসায়িদের লাগাম যদি এখনি টেনে না ধরা হয়। তবে তারা চাউল, ডাল সহ মসলার মূল্য শুধু মধ্যবিত্ত নয় বিত্তবানদেরও ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল হামিমের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান ও মহাসচিব আল্লামা এম এ মতিন বলেন, চুর ডাকারের যেমন বুক-পিঠ নেই, ঠিক তেমনি এই অসাধু ব্যবসায়িদেরও বুক-পিঠ নেই। তারা তাদের সামান্য মোনাফার জন্য দেশের মানুষকে যেমন কষ্ট দেই, তেমনি বহির্বিশ্বে এই সোনার দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি চাউল, ডাল সহ মসলার মূল্য স্থিতিশীল রেখে সর্বসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় রাখতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় প্রশাসনের কড়া নজরদারির দাবি করেন।
বিবৃতিতে বৈশ্বিক মহামারী অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের ফলে জীবন বাচাতে বিশ্বব্যাপী যখন চলছে অঘোষিত জীবনযুদ্ধ। শত চেষ্টার পরেও যখন বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্র গুলো থামাতে পারছে না লাশের মিছিল। তখন এ মহামারী থেকে বাচতে বিশ্বব্যাপী চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে দেশের শপিংমল-ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানচলাচল সহ খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর সকল আয়ের উৎস গুলো। যার ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো সহ মধ্যবিত্ত মানুষ গুলো পড়েছে ভিষণ বিপাকে। এই করুণ সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ক্রয়মূল্য খেটে খাওয়া মানুষ গুলো সহ মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার ভিতরে রাখতে দেশব্যাপী সরকার, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডিলার নিয়োগ করে বিতরণ করছে। তখনও এই দেশের অসাধু ব্যবসায়ি গুলো সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে বরং তাদের চিরাচরিত নিয়মে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বাড়িয়েই যাচ্ছে। তাই এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রয়মূল্য সর্বসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখতে এই অসাধু ব্যবসায়িদের চিন্থিত করে আইনের আওতায় আনারও নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এখনি যদি অসাধু ব্যবসায়িদের চিন্থিত করে শাস্তির আওতায় আনা না হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উর্ধগতির ফলে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের মত দেশের মানুষ না খেয়ে মরতে হবে।