Tuesday, December 5, 2023
Home > আঞ্চলিক সংবাদ > করোনা শনাক্ত চিকিৎসকের পরিবারকে বিতাড়নের চেষ্টা, থামালো প্রশাসন

করোনা শনাক্ত চিকিৎসকের পরিবারকে বিতাড়নের চেষ্টা, থামালো প্রশাসন

খাদিজা আক্তার ভাবনা : নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন মেডিক্যাল অফিসারের পরিবারের ১৮ সদস্যের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর তাদের এলাকা থেকে বিতাড়নের চেষ্টা চলছে। বাড়িটি লক্ষ্য করে স্থানীয়রা ইট-পাটকেলও ছুড়েছে বলেও অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি জানতে পেরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করেন।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ডা. শিল্পী আক্তারের ফতুল্লার কুতুবপুরের দেলপাড়া এলাকার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এখানেই আইসোলেশনে রয়েছেন পরিবারের ১৮ জন।
ডা. শিল্পী আক্তার বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে কে বা কারা যেন ইট-পাটকেল ছুড়েছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনে জানিয়েছি। থানা পুলিশও এসে ঘুরে গিয়েছে। আমাকে প্রশাসন থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী নিয়মিত এখানে আসা-যাওয়া করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতে ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মানসিক অবস্থা ভালো নয়। এখন তাদের সাপোর্ট দরকার। অথচ এলাকাতে হচ্ছে এর উল্টোটা। আমরা এখানকার স্থানীয়। তারপরও এই মানুষগুলো কেন এমন করছে বুঝতে পারছি না। তাছাড়া আমাদের বাড়িটি আগের থেকেই লকডাউন করেছি। কাউকে এখান থেকে বের হতে দেই না। বাইরে থেকেও কেউ ভেতরে আসতে পারে না। তারপরও আমাদের উৎখাতের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ডা. শিল্পী আক্তার আরও বলেন, ‘সবাইকে বাড়িতে রেখে তাদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে। অন্য চিকিৎসকরাও এসে দেখে গেছেন। সার্বক্ষণিক আমি এখানে আসা যাওয়া করবো। আবার অফিসিয়াল কাজও করবো। এই বাড়ির লোক বের না হলে ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তারপরও স্থানীয়দের কেউ কেউ হয়তো ভুল বুঝিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে।’
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক ওই এলাকায় গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল লোকজনদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করে বাড়িটিকে লকডাউন করেন। এরপর মাইকে এলাকাবাসীকে নিজ নিজ ঘরে থাকার অনুরোধ করে করোনা সম্পর্কে ধারণা দেন ইউএনও।
এ ব্যাপারে সদরের ইউএনও নাহিদা বারিক জানান, ডা. শিল্পী আক্তার নিজেই তার পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করছেন। তাদের বাসায় সাত বছর বয়সের একটি শিশু ছাড়া ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ইট-পাটকেল ছুড়েছে এমন খবর পাইনি। মানুষ ডিস্টার্ব করছে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা সেখানে অবস্থান করছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *