Tuesday, December 5, 2023
Home > আন্তর্জাতিক > পশ্চিমবঙ্গে করোনা রোধে মাঠে ৬০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী

পশ্চিমবঙ্গে করোনা রোধে মাঠে ৬০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী

এপিপি বাংলা : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা প্রতিরোধে জোর লড়াই শুরু করা হয়েছে। রাজ্য থেকে করোনাকে বিদায় দেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছেন আশার ৬০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। পরামর্শ দিচ্ছেন কীভাবে বাড়িতে থেকেই প্রতিরোধ করা যাবে করোনাকে।
মঙ্গলবার ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে মমতা এ কথা বলেন। তিনি লিখেছেন, আশার কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে নামানো হয়েছে করোনাযুদ্ধের মাঠে। ৭ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত এই কর্মীরা রাজ্যের ৫ কোটি ৫৭ লাখ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন। খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
মমতা জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁরা ৮৭২ জনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং ৯১ হাজার ৫১৫ জনের মধ্যে ফ্লু জাতীয় অসুস্থতা পেয়েছেন। এরপর এঁদের মধ্য থেকে ৩৭৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৬২ জনের মধ্যে পাওয়া গেছে করোনা পজিটিভ। তাঁদের দেওয়া হয়েছে করোনার চিকিৎসা।
গতকাল বিকেলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সাংবাদিক সন্মেলনে জানান, রাজ্যের লাল ও কমলা জোনে রয়েছে ৫১৬টি কনটেনমেন্ট জোন। এর মধ্যে কলকাতার লাল জোনে রয়েছে ৩১৮টি কন্টেমেন্ট জোন। হাওড়ায় ৭৪ ও উত্তর ২৪ পরগনায় ৮১টি।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল জানানো হয়েছিল, ২৬৪টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে কলকাতায়। হাওড়ায় রয়েছে ৭২টি। আর উত্তর ২৪ পরগনায় রয়েছে ৭০টি। রাজ্যের অন্য জোনে লকডাউন গতকাল থেকে শিথিল করা হলেও কনটেনমেন্ট জোনগুলোতে লকডাউন আরও কড়া করা হয়েছে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৫ জন। মারা গেছে ৭ জন। এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭১ জনের। এখন সরকারি কোয়ারিন্টিনে আছে ৪ হাজার ৭১২ জন। হোম কোয়ারিন্টনে আছে ৫ হাজার ৫৬১ জন। সরকারি কোয়ারিন্টন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭২৭ জন। আর হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৬২৮ জন।
ভারতে করোনা প্রতিরোধে গত ৪ মে থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন। চলবে ১৭ মে পর্যন্ত। তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনে ভারত সরকার অনেকটাই ছাড় দিয়েছে। খুলেছে দোকানপাট, হাটবাজার ও শিল্প কারখানার একাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *