Wednesday, November 29, 2023
Home > জাতীয় সংবাদ > গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কূটনীতিকদের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কূটনীতিকদের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এপিপি বাংলা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় জোর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা সাত রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক, হতাশাজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তাদের কিছু বলার থাকলে কূটনৈতিক নিয়ম মেনে আমাদের জানাতে পারতেন।

ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের কোনো ভূমিকা দেখিনি। আমরা আমাদের মতো করে দেশ পরিচালনা করছি। আমি খুবই হতাশ। এটা খুবই হতাশাজনক ও দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাকস্বাধীনতার মর্যাদার সঙ্গে দায়বদ্ধতার বিষয়টি জড়িত। তারা যদি পোশাকশিল্পের ক্রয়াদেশ বাতিলের বিষয়ে কিছু বলেন অথবা আমাদের অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা নিয়ে এবং অন্তত ছয় মাস তাদের চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলেন, তবে খুশি হবে বাংলাদেশ। তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তারা সেটা কূটনৈতিক উপায়েই বলতে পারতেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা দেশের সাত রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ এর বর্তমান সংকটে নির্ভরযোগ্য ও প্রকৃত ঘটনাভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে তাদের মতামত দেন।

রাষ্ট্রদূতরা তাদের টুইট বার্তায়ও একই অনুভূতি শেয়ার করেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার টুইট বার্তায় বলেন, সর্বত্র জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের দেয়া নির্ভরযোগ্য এবং সত্য-ভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার অত্যান্ত জরুরি। চলমান কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বহাল রাখা অপরিহার্য যাতে সাংবাদিকদের কণ্ঠস্বর সংযত না হয়।

অন্যদিকে, নিজের টু্ইট বার্তা বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন লেখেন, সর্বত্র জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের দেয়া নির্ভরযোগ্য এবং সত্য-ভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার অত্যান্ত  জরুরি। সি-১৯ সংকটের মধ্যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমর্থন করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং গণমাধ্যম যেন তার কাজ করে যেতে পারে।

সত্য ও ন্যায়বিচারের জন্য নিজের জীবন, স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত কল্যাণকে ত্যাগ করা সব সাংবাদিককে শ্রদ্ধাও জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *