নিউজ ডেস্কঃ আপনারা যারা আমার বা আমাদের বিগত কিছুদিনের কর্মযজ্ঞ দেখছেন এবং আমাদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছেন তারা খেয়াল করে দেখবেন, রিজেন্ট হাসপাতাল শুরু থেকেই বাংলাদেশের একমাত্র বেসরকারি হাসপাতাল যেখানে করোনা রোগীদের সেবা প্রদান করে হচ্ছে, এই সেবা দিতে গিয়ে আমাদের প্রতিটি কর্মী নিরলসভাবে বিগত ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ঘরের বাইরে অর্থাৎ তারা নিজের পরিবার পরিজন ছেড়ে একটানা ২৪ ঘন্টা, ৪৮ঘন্টা হাসপাতালে থেকে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, এর মধ্যে আমাদের বেশ কয়েকজন সহকর্মী আমাদের সাথে কাজ করতে করতে অর্থাৎ রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করেছেন (করোনা যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন), আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছেন আমাদের অগণিত সহকর্মী, এতো কিছুর পরেও আমরা এক ইঞ্চিও পিছপা হই নি করোনা রোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে, এই মুহুর্তে আমাদের রিজেন্ট হাসপাতাল মিরপুর ও উত্তরা শাখায় ভর্তি আছেন ৯৫ জন করোনা রোগী।দেশের বৃহৎ পরিসরের এবং নামকরা হাসপাতালগুলো যখন করোনা রোগীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, হাজারো রোগীকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন তাদের সাধ্য থাকার পরেও সেখানে রিজেন্ট হাসপাতাল তার সীমিত সাধ্যের মধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে।ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনাকে, যিনি করোনার এই যুদ্ধে সামনে থেকে সাহসের সাথে মোকাবেলা করে যাচ্ছেন দেশবাসীকে সাথে নিয়ে, ধন্যবাদ সাস্থমন্ত্রনালয়কে আমাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে করোনা রোগীদের সেবাদানে বিভিন্নভাবে সহায়তা করার জন্য। অভিনন্দন নবনিযুক্ত ২০০০ ডাক্তার এবং ৫০০০ নার্স যারা দেশ ও দেশের মানুষের সেবার লক্ষে যুক্ত হলেন সরকারী কাজের সাথে, ধন্যবাদ গণমাধ্যমকে আমাদের পাশে সেই শুরুর দিন থেকে থাকার জন্য, আমরাও আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি আমাদের গণমাধ্যমের ভাই বোন ও তাদের পরিবারের পাশে থাকর জন্য যখন তারা অসুস্থ হয়ে আমাদের হাসপাতালে এসেছেন, রিজেন্ট হাসপাতালে বিভিন্ন পর্যায়ের গণমাধ্যম কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনা রোগের সেবা দিয়ে আসছে রিজেন্ট হাসপাতাল এমনকি বেশ কয়েকটি জাতীয় গণমাধ্যমে রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে পার্টনারশিপে আবদ্ধ হয়েছে,তাদের যে কোন পর্যায়ের কর্মিদের সাস্থ সেবায় রিজেন্ট হাসপাতাল সবসময় তাদের পাশে থাকার ব্যাপারে। আমরা মানুষ, আমাদের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক, দুই একজন আমাদের ভাই আমাদের ব্যাপারে না জেনেই রিপোর্ট করে ফেলেন, যেটা আমাদের ব্যাথা দেয়, আমাদের কষ্ট দেয় এবং মাঝে মাঝে আমাদের উৎসাহে ভাটা পরে, আমরা আশা করব আমাদের যে ভাইয়েরা আমাদের ব্যাপারে কিছু জানতে চান দয়া করে সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং সময় করে সরজমিনে এসে তারপর যা আপনি দেখবেন তাই লিখবেন বা রিপোর্ট করবেন, কিন্তু দয়া করে কারো কান কথা শুনে বা একপক্ষীয় কিছু শুনে কিছু না লেখার আকুল আবেদন থাকল আপনাদের প্রতি, আমরা অন্তর থেকে বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্তে এই যুদ্ধে আমরা এবং গণমাধ্যম পাশাপাশি আছি এবং থাকব।দয়া করে যে বা যারা এই কাজটা করলেন তাদের কাছে আমাদের আবেদন দয়া করে কোণ রিপোর্ট করার আগে দয়া করে একবার হলেও সরজমিনে এসে, দেখে তারপর রিপোর্ট করুন, নিজে বাচুন এবং অন্যকে বাচতে সাহয্য করুন, সত্যের সাথে থাকুন, দেশের এই পরিস্থিতিতে গুজব এবং বিভ্রান্তি তৈরি থেকে বিরত থাকুন।
