Tuesday, December 5, 2023
Home > জাতীয় সংবাদ > ‘ত্রাণের টাকাও মেরে খাচ্ছে সরকারের লোকেরা’

‘ত্রাণের টাকাও মেরে খাচ্ছে সরকারের লোকেরা’

এপিপি বাংলা :  সরকারের লোকেরা আড়াই হাজার টাকা থেকে ৫০০ টাকা রেখে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ৫০ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দেবেন। আড়াই হাজার টাকা থেকে সরকারের লোকেরা ৫০০ টাকা রেখে দিচ্ছে। এটা কি ভণ্ডামি নয়? গরীব মানুষের সাথে প্রতারণা নয়? এরকম পরিস্থিতিতে এদেশের গরীব, অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের দিনযাপন করতে হচ্ছে।

শনিবার রাজধানীর জয় কালী মন্দির কাপ্তান বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা হামিদুর রহমান হাবিবের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই সরকার সংকট সমাধান করে না সংকট সৃষ্টি করে। সংকট সমাধান করলে ত্রাণ লুটপাট হতো না। করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করতে পারত না। লকডাউন শিথিল করে সারা দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে সরকার। প্রতিদিন হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছে। আগে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা ছিল, সরকার তা করেনি। সরকার করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে কোন ব্যবস্থা নেই। ৯০ পার্সেন্ট হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। মানুষ মরে যায় উনি দেখান ফ্লাইওভার। মানুষের চিকিৎসা নেই উনি দেখান ফ্লাইওভার। মানুষের লাশের ওপর দিয়ে উন্নয়ন করে। মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলেন। এটাকে দেখানো উন্নয়ন হচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে প্রত্যেক জায়গায় আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। আমাদেরকে সরকারের ত্রাণ দেয়া হয় না। আমাদের পকেটের টাকা দিয়ে খাদ্যসামগ্রী কিনে অসহায় মানুষদের মধ্যে বিতরণ করছি। আর সরকারের ত্রাণ গরিব মানুষ পাচ্ছে না।

‘সরকারের ত্রাণ চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা, তাদের দলীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়িতে। অপরদিকে আমরা যখন ত্রাণ দিতে যাচ্ছি তখন আমাদের নেতা-কর্মীদের গুম করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারপরও আমরা বসে নেই। আমরা মানুষের পাশে আছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *